-
-
-
-
-
-
-
-
-
নাইট কোচের ড্রাইভাররা
ঢাকা টু উত্তরবঙ্গ- এই রুটের নাইটকোচগুলোর সকল ড্রাইভার ঘুমায়! হেল্পার-সুপার ভাইজাররা জেগে থাকে। মাঝে মাঝে তারাও ঘুমায়। একবার এরকম একটা ঘটনা দেখেছি। নাইট কোচের সামনের দিকের একটা সিটে বসে যাচ্ছি। গাড়ি চলছিল আনুমানিক ১০০ কি.মি. গতিতে, যাত্রীরা নিশ্চিন্তে ঘুমাচ্ছিল। আমিও ঘুমাচ্ছিলাম। হঠাৎ ঘুম ভাঙ্গতেই খেয়াল করলাম ড্রাইভার, হেলপার, সুপারভাইজার সবাই ঘুমাচ্ছে। আমি কিছু বলার আগেই সুপারভাইজারের ঘুম ভেঙ্গে গেল। সেও ব্যাপারটা বুঝতে পারলো। সাথে সাথেই ড্রাইভারকে ডাকলো। একটা পানির বোতল দিল, ড্রাইভার চলন্ত গাড়িতেই চোখে মুখে পানি দিল। তারপর বোতলের বাকী পানিটা সুপারভাইজার হেলপারের মাথায় ঢেলে দিয়ে তাকে জাগালো। এই নিয়ে তারা অনেক হাসাহাসি করলো... আর আমি বাকী পথে এক ফোঁটাও ঘুমাইনি।
কিছু করার নাই। সিস্টেমটাই এমন। যে ড্রাইভার সারারাত (৮/৯ ঘন্টা) গাড়ি চালিয়ে যাবে, তাকেই আবার ২/৩ ঘন্টা বিরতির পরে ঐ গাড়ি নিয়েই ফিরতে হবে। এরকম অবস্থায় তো তারা ঘুমাতেই পারে। তবে এরপর থেকে নাইট কোচে জার্নি করলে কেমন যেন একটা অস্বস্তি থাকে মনের মধ্যে। মনে হয়, সবাই বুঝি ঘুমাচ্ছে!
আইএসপি প্রব্লেম!
বাসায় কিংবা অফিসের পিসি থেকে সামুতে ঢুকতে পারি না মেলা দিন! প্রক্সি দিয়ে চেষ্টা করি নি। তারপর একদিন আবিস্কার করলাম মোবাইল ব্রাউজারে সামু আসে। নোটিশ বোর্ডের লেখাটা পড়লাম। মনটা খারাপ হয়ে গেল । তবে মোবাইল ব্রাউজারের দৌড় ঐ পর্যন্তই। মোবাইলে ব্রাউজ করতে, পড়তে কিংবা লগিন করতে ভাল লাগে না! তবে অফিস কিংবা বাসায় যখনি পিসি নিয়ে বসি, কিছুক্ষণ পর পর সামুর হোম পেজটা একবার রিফ্রেশ করার চেষ্টা করি এই ভেবে যে, হঠাৎ করে হয়তো সামুর উপর থেকে নিষেধাজ্ঞা উঠে গেল কিন্তু আমি জানলাম না! তাই সে সুযোগ টা যেন মিস না হয় সেজন্য বার বার রিফ্রেশ বা রিলোড করি। তেমনি ভাবে এখনো তাই করছিলাম এবং হঠাৎই দেখলাম সামু লোড হচ্ছে!!! আহা, মনটা খুশিতে ভরে গেলো। সামুতে খুব নিয়মিত লগিন না করলেও কিংবা লেখা না দিলেও, একজন নিয়মিত পাঠক আমি... তাই পড়ার সুযোগ ফিরে পেয়ে ভাল লাগছে। কিন্তু সমস্যা কি সত্যি সত্যি সমাধান হয়ে গেছে? এখন কি সব আইএসপি থেকেই সামুকে পাবো?
বাড়ি ভাড়া
বললাম, বাড়ি তৈরিতে কোন রড ব্যবহার করেছেন?
ভদ্রলোক চোখ পিটপিট করে তাকালেন।
বললাম, না মানে, রড তো খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটা বিষয়! জানতে হবে EMF এর অবস্থা কেমন?
ভদ্রলোক বিড়বিড় করে বললেন, EMF....
আমার বউ ঠিক এই উত্তরটার অপেক্ষায় ছিল। বললো, EMF মানে বুঝলেন না? Elongation at Maximum Force অর্থাৎ প্রসারণ সহসশীলতায় সর্বোচ্চমাত্রা পরীক্ষিত কিনা!
ভদ্রলোক বোঝার চেষ্টা করছেন আমরা বাসা ভাড়া নিব নাকি ফাইজলামি করতেছি! বললাম, দেখুন চাইলেই তো রড বদলে ফেলা যায় না, কাজেই বাসা ভাড়া নেবার আগে সবদিক বিবেচনা করে ভাড়া নিতে হবে। ইদানিং যে পরিমাণে ভূমিকম্প হচ্ছে তাতে তো জান-মালের ভয় সবারই আছে। তবে আপনি যখন জানাতে চাচ্ছেন না তখন বরং বাদ দেই। এবার বলুন, গ্যারেজের কি অবস্থা?
ভদ্রলোক বললেন, আপনার মোটর সাইকেল রাখতে পারবেন।
বললাম, তা তো পারবোই কিন্তু আপনার গ্যারেজ তো অনেক ছোট! শুধু বাইক না একটা গাড়িও রাখতে হবে, প্রাইভেট কার। আমার বউ ওটা ব্যবহার করে।
ভদ্রলোক আবার বিরক্ত হয়ে যাচ্ছে বলে মনে হচ্ছে। বললেন, সরকারী চাকরি করে এই বয়সেই বউয়ের জন্য গাড়িও কিনে ফেলেছেন? ফাইজলামি করেন নাকি?
খ্যাক খ্যাক করে একটা হাসি দিয়ে বললাম, নিচ তলায় দুই রুমের একটা বাসা, কোনরকম একটা বাথরুম আর কিচেনের জন্য যদি বিল ছাড়া চৌদ্দ হাজার টাকা ভাড়া চাইতে পারেন তাইলে আমার একটা গাড়ি আর একটা বাইক পার্কিং করতে দোষ কী? ফাইলামি আপনি করেন না আমি?
বি.দ্র.: আজকে আমরা বাসা চেঞ্জ করলাম! তবে যেটার বর্ণনা দিলাম সেটা না। খুবই চমৎকার একটা বাসা। চারতলার ওপর.... দক্ষিণমুখী.... অফুরন্ত আলো বাতাস... সবচেয়ে মজার হলো, জানালার পাশে কৃষ্ণচূড়া ফুল ফুটে আছে, আমার বউ হাত দিয়ে ফুল ছিড়ছে.... কেমন শান্তি শান্তি একটা পরিবেশ।
ফটো ক্রেডিট: গুগল মামা। তবে বাসার সামনের কৃষ্ণচূড়ার ২টা ছবি আমার তোলা।
সর্বশেষ এডিট : ২০ শে মে, ২০১৬ রাত ১২:৪৮