somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

রাম রহিম ভাই ভাই!!!!!!!!!!!!!!

০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১২ বিকাল ৫:১১
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
দেওবন্দীদের হাকীকত দেখুন!!!!! চরম মুসলিম বিদ্বেশী মূতিপূজারী মুশরিকদের সাথে ওহাবীপন্থী দেওবন্দীদের সখ্যতা দেখুন!!!!!!!!!!!!!!

তাদের এক মাহাফিলে প্রধান অতিথি হিসাবে বাবা রামদেব কে আমন্ত্রণ জানায়....


মুসলমান দ্বীন ইসলাম তথা পবিত্র কুরআন-সুন্নাহকে বিশ্বাস করবে, অনুসরণ করবে আবার সাথে সাথে বেদ্বীন-বদদ্বীনদের হারাম-নাজায়িয নিয়মনীতিও বিশ্বাস করবে, অনুসরণ করবে তা দ্বীন ইসলামে একেবারেই গ্রহণযোগ্য নয়। বরং তা দ্বীন ইসলামে সম্পূর্ণরূপেই হারাম ও নাজায়িয। অর্থাৎ মুসলমানকে বেদ্বীন-বদদ্বীনদের সমস্ত প্রকার হারাম-নাজায়িয নিয়মনীতি ও কাজগুলো বর্জন করে শুধুমাত্র পবিত্র কুরআন-সুন্নাহকেই পরিপূর্ণভাবে অনুসরণ করতে হবে। এর সাথে বেদ্বীন-বদ্দ্বীনদের নিয়মনীতি যে ব্যক্তি তলব বা অনুসরণ করবে, সে গুমরাহ ও ক্ষতিগ্রস্তদের অন্তর্ভুক্ত হবে। মহান আল্লাহ পাক ইরশাদ করেন, “যারা একবার মুসলমান হয়ে পুনরায় কাফির হয়ে গেছে, আবার মুসলমান হয়েছে এবং আবারো কাফির হয়েছে এবং কুফরীতে নিমজ্জিত থেকেছে, আল্লাহ পাক তাদেরকে ক্ষমা করবেন না, তাদেরকে পথ দেখাবেন না।”
প্রসঙ্গক্রমেই অত্র লেখায় মুশরিক দেওবন্দীদের কুকীর্তির কিছু প্রমাণ উল্লেখ করা হলো-

১. দৈনিক যুগান্তর পত্রিকার ০২/১২/২০০৮ তারিখে উল্লেখ করা হয়েছে, “ভারতের দেওবন্দে অবসি'ত উপমহাদেশের সব চেয়ে বড় মাদরাসা দারুল উলুম থেকে সম্প্রতি প্রকাশিত এক পুস্তিকায় মুসলমানদের উদ্দেশ্যে বলা হয়, হিন্দুসহ ভারতের অন্য ধর্মাবলম্বীদের ধর্মীয় অনুভূতির প্রতি শ্রদ্ধা প্রদর্শন করাটা জরুরী। তাই তারা ইচ্ছা করলে গরুর পরিবর্তে উট, ভেড়া, ছাগলের মতো অন্য কোন পশুর কুরবানী করতে পারেন।” নাঊযুবিল্লাহি মিন যালিক!
অথচ বলা উচিত ছিল যে, মুশরিক হিন্দুসহ অন্যান্য ধর্মাবলম্বীদের জন্য পবিত্র ‘দ্বীন ইসলাম’-এর প্রতি শ্রদ্ধা প্রদর্শন করাটা জরুরী। সেহেতু মুশরিক হিন্দুসহ অন্যান্য ধর্মাবলম্বীরা যেন মুসলমানদের জন্য হালাল পশু গরু কুরবানীতে কোন প্রকার বাধা প্রদান না করে। কারণ গরু কুরবানীতে বাধা প্রদান করা হলে মুসলমানদের ধর্মীয় অনুভূতিতে প্রচণ্ড আঘাত লাগে। তাই মুশরিক হিন্দুসহ অন্যান্য ধর্মাবলম্বীদের এমন কিছু করা উচিত নয়, যাতে একমাত্র চিরন্তন সত্য পবিত্র দ্বীন ইসলামের উপর আঘাত আসে।
২. শুক্রবার নয়াদিল্লিতে ভারতীয় মুসলিমদের আয়োজিত গণতান্ত্রিক কনভেনশনে মুসলিম নেতা মাওলানা সৈয়দ আসাদ মাদানীর সঙ্গে সোনিয়া গান্ধী। আগামী লোকসভা নির্বাচনে কংগ্রেস ক্ষমতায় গেলে ভারতের মুসলমানদের সমস্যা সমাধান করা হবে বলে কনভেনশনে সোনিয়া গান্ধী অঙ্গীকার করেন। এপি (তথ্য সূত্র: মুক্তকণ্ঠ, শনিবার ৩১, জুলাই ১৯৯৯) অথচ দ্বীন ইসলামে রাজতন্ত্র, সমাজতন্ত্র, গণতন্ত্র, ভোট-নির্বাচন করা পদপ্রার্থী হওয়া, নারী নেতৃত্ব মানা, বেপর্দা হওয়া, ছবি আঁকা, তোলা, তোলানো ইত্যাদি হারাম ও নাজায়িয।
৩. গত ৩ নভেম্বর ২০০৯-এ মুশরিক দেওবন্দীদের মাদরাসার ৩০তম বার্ষিক অনুষ্ঠানে মুশরিক দেওবন্দীরা রামদেব নামে এক মুশরিক হিন্দু যোগীকে প্রধান অতিথি হিসেবে দাওয়াত দেয়। এছাড়া উক্ত অনুষ্ঠানে আরো উপসি'ত ছিল উত্তর প্রদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পি চিদাম্বরাম, স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শচীন পাইলট, সমাজবিদ অগনিবেশ। মুশরিক দেওবন্দ মাদরাসার ছাত্র ও শিক্ষকরা হাততালি দিয়ে হিন্দু বক্তাদের প্রশংসা করেছে অথচ দ্বীন ইসলামে ইহা হারাম ও নাজায়িয কাজ। সবচেয়ে মারাত্মক কুফরীর ঘটনা ঘটায় মুশরিক নাপাক ঋষি রামদেব। সে গীতা থেকে মন্ত্র পাঠ করে উপসি'ত সকলকেই যোগব্যায়ামের ছবক দেয়, যার দ্বারা পরোক্ষভাবে দেওবন্দীদের মুশরিক হিন্দু ধর্ম গ্রহণের দীক্ষা দেয়া হয়। আর এভাবেই মুসলমান নামধারী পশুর চাইতেও অধম সৃষ্টির নিকৃষ্ট মুনাফিক দেওবন্দী গংদের মুশরিকীর হাক্বীক্বত প্রকাশ পায়। অর্থাৎ কালের স্রোতে সন্দেহাতীতভাবে আজ প্রকাশ্যেই এই সত্যটিই প্রমাণিত হলো যে, দেওবন্দীরা হচ্ছে পশুর চাইতেও অধম সৃষ্টির নিকৃষ্ট মুনাফিক ধর্মব্যবসায়ী উলামায়ে ছূ’ এবং মুশরিক হিন্দুদের অন্তর্ভুক্ত। নাঊযুবিল্লাহি মিন যালিক!
মহান আল্লাহ পাক ইরশাদ করেন, “তোমরা তোমাদের সবচেয়ে বড় শত্রু হিসেবে পাবে ইহুদীদেরকে। অতঃপর যারা মুশরিক (হিন্দু) তাদেরকে।” (সূরা মায়িদা/৮২)


শুধু রামদেব আর রবিশঙ্করই নয়, তারা চরম মুসলিম বিদ্বেষী সোনিয়া গান্ধিকেও স্টেজে নিয়ে তার সাথে ছবি তুলেছে এবং গর্বের সাথে প্রচার করেছে।


এই দেওবন্দিগুলো তাদের জন্মলগ্ন থেকেই হিন্দুদের সাথে মেলামেশা, সম্পর্ক এবং ইসলামকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে হিন্দুদের সাথে পারিবারিক সম্পর্কও করে থাকে। ছবিতে তৎকালিন দেওবন্দীদের নেতা খান আব্দুল গাফফার (বাদশাহ খান) ও গান্ধির হাস্যজ্যল ছবি দেখা যাচ্ছে।



যারা হিন্দুদের কে ভাই হিসেবে গ্রহণ করে “রাম রহিম ভাই ভাই” এমন ঘোষণা দেয়া এসমস্ত মুসলিম নামধরী ওহাবীপন্থী দেওবন্দী (হাক্বিকতে হিন্দু)দের সমস্ত মুসলিম দেশ থেকে বিতাড়িত করা হোক!!!
৭টি মন্তব্য ১টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

কমলার জয়ের ক্ষীণ ১টা আলোক রেখা দেখা যাচ্ছে।

লিখেছেন সোনাগাজী, ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ৯:১৮



এই সপ্তাহের শুরুর দিকের জরীপে ৭টি স্যুইংষ্টেইটের ৫টাই ট্রাম্পের দিকে চলে গেছে; এখনো ট্রাম্পের দিকেই আছে; হিসেব মতো ট্রাম্প জয়ী হওয়ার কথা ছিলো। আজকে একটু পরিবর্তণ দেখা... ...বাকিটুকু পড়ুন

বিড়াল নিয়ে হাদিস কি বলে?

লিখেছেন রাজীব নুর, ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ৯:২৪



সব কিছু নিয়ে হাদিস আছে।
অবশ্যই হাদিস গুলো বানোয়াট। হ্যা বানোয়াট। এক মুখ থেকে আরেক মুখে কথা গেলেই কিছুটা বদলে যায়। নবীজি মৃত্যুর ২/৩ শ বছর পর হাদিস লিখা শুরু... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। বকেয়া না মেটালে ৭ নভেম্বরের পর বাংলাদেশকে আর বিদ্যুৎ দেবে না আদানি গোষ্ঠী

লিখেছেন শাহ আজিজ, ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ৯:৪১





বকেয়া বৃদ্ধি পেয়ে হয়েছে কোটি কোটি টাকা। ৭ নভেম্বরের মধ্যে তা না মেটালে বাংলাদেশকে আর বিদ্যুৎ দেবে না গৌতম আদানির গোষ্ঠী। ‘দ্য টাইম্স অফ ইন্ডিয়া’-র একটি প্রতিবেদনে এমনটাই... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। ভারত থেকে শেখ হাসিনার প্রথম বিবৃতি, যা বললেন

লিখেছেন শাহ আজিজ, ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২৪ দুপুর ১২:৩২



জেলহত্যা দিবস উপলক্ষে বিবৃতি দিয়েছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শনিবার (২ নভেম্বর) বিকালে দলটির ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এটি পোস্ট করা হয়। গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার... ...বাকিটুকু পড়ুন

=বেলা যে যায় চলে=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৪:৪৯



রেকর্ডহীন জীবন, হতে পারলো না ক্যাসেট বক্স
কত গান কত গল্প অবহেলায় গেলো ক্ষয়ে,
বন্ধ করলেই চোখ, দেখতে পাই কত সহস্র সুখ নক্ষত্র
কত মোহ নিহারীকা ঘুরে বেড়ায় চোখের পাতায়।

সব কী... ...বাকিটুকু পড়ুন

×