somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

যুদ্ধাপরাধের বিচার: ইয়াহিয়া ও টিক্কার সঙ্গে বৈঠকে ‘দুষ্কৃতকার’ (মুক্তিযোদ্ধা) মোকাবেলার নীলনকশা করে গো’আযম

১৩ ই জুন, ২০১২ বিকাল ৩:০৫
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

গো’আযম ১৯৭১ সালের ১ ডিসেম্বর পাকিস্তানের রাজধানী রাওয়ালপিন্ডিতে পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া খানের সঙ্গে আবারও ৭০ মিনিটের একটি বৈঠক করে। এই বৈঠকে রাজাকার বাহিনীর সংখ্যা বৃদ্ধি করার দাবি জানানো হয়। সাধারণ জনগণ, যাদেরকে গো’আযম দুষ্কৃতকারী আখ্যায়িত করতো, তাদের মোকাবেলা করার উদ্দেশ্যে দেশের আদর্শ ও সংহতিতে বিশ্বাসী লোকদের হাতে অস্ত্র সরবরাহ করার জন্য পাকিস্তান সরকারের প্রতি আহ্বান জানায়। গো’আযম দখলকৃত বাংলাদেশে সহযোগী বাহিনীর নিয়ন্ত্রণ কমে আসা এবং নিশ্চিত পরাজয়ের সম্ভাবনা দেখে ‘ফাইনাল সল্যুশন’-এর পরিকল্পনা হিসেবে ব্যাপক আকারে ও নির্বিচারে বাংলাদেশে বুদ্ধিজীবী হত্যার পরিকল্পনা নেয়, যা উক্ত বৈঠকে থেকে ১৬ ডিসেম্বর ১৯৭১ বাংলাদেশ দখলদারমুক্ত হওয়া পর্যন্ত জামাত, রাজাকার, আল-বাদর, আল-শামসের সদস্যদের দ্বারা বাস্তবায়িত হয়, যা ১৯৭১ সালের ২ ডিসেম্বর দৈনিক ইত্তেফাকে ছাপা হয়।
অপরাধের পরিকল্পনার অংশ হিসেবে গো’আযম জেনারেল টিক্কা খানের কাছে একটি প্রস্তাব পেশ করে। ১৯৭১ সালের ৪ এপ্রিল গো’আযম এবং অন্যরা ‘নাগরিক কমিটি’ নামের একটি ‘ক্রিমিনাল অর্গানাইজেশন’ গঠনের পরিকল্পনা নেয়। নাগরিক কমিটি পরবর্তীতে শান্তিকমিটি নামে কুখ্যাত ক্রিমিনাল অর্গানাইজেশনে পরিণত হয়। গো’আযম ১৯৭১ সালের ৯ এপ্রিল অনেকের সঙ্গে অপরাধ সংঘটনের লক্ষ্যে খাজা খয়ের উদ্দিনকে আহ্বায়ক করে শান্তিকমিটি নামে একটি ‘ক্রিমিনাল অর্গানাইজেশন’ গঠন করে। পরিকল্পনার অংশ হিসেবে শহরের বিভিন্ন এলাকা, ইউনিয়ন এবং মহল্লা পর্যায়েও শান্তিকমিটি গঠন করা হয়, যা কেন্দ্রীয় কমিটির নির্দেশ অনুযায়ী কাজ করত। ১৯৭১ সালের ৭ এপ্রিল দৈনিক আজাদ, দৈনিক পাকিস্তান, দৈনিক পূর্বদেশ পত্রিকায় ছাপা হয়।
১৯৭১ সালের ৪ মে অপরাধ সংঘটনের লক্ষ্যে ‘ক্রিমিনাল অর্গানাইজেশন’ শান্তিকমিটির শাখা সম্প্রসারণের লক্ষ্যে এলিফ্যান্ট রোডে একিউএ শফিকুল ইসলামের বাসায় এক সভা অনুষ্ঠিত হয়। এ সভায় আরও ছিলো খাজা খয়ের উদ্দিন, একিউএম শফিকুল ইসলাম ও আব্দুল জব্বার খদ্দর। এছাড়া গো’আযম আন্তর্জাতিক অপরাধ সংঘটনের জন্য উস্কানি প্রদান করেছে, যা আন্তর্জাতিক অপরাধ (ট্রাইব্যুনালস) আইন ১৯৭৩-এর ৩ (২) (এফ) ধারায় অভিযুক্ত।
০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

কমলার জয়ের ক্ষীণ ১টা আলোক রেখা দেখা যাচ্ছে।

লিখেছেন সোনাগাজী, ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ৯:১৮



এই সপ্তাহের শুরুর দিকের জরীপে ৭টি স্যুইংষ্টেইটের ৫টাই ট্রাম্পের দিকে চলে গেছে; এখনো ট্রাম্পের দিকেই আছে; হিসেব মতো ট্রাম্প জয়ী হওয়ার কথা ছিলো। আজকে একটু পরিবর্তণ দেখা... ...বাকিটুকু পড়ুন

বিড়াল নিয়ে হাদিস কি বলে?

লিখেছেন রাজীব নুর, ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ৯:২৪



সব কিছু নিয়ে হাদিস আছে।
অবশ্যই হাদিস গুলো বানোয়াট। হ্যা বানোয়াট। এক মুখ থেকে আরেক মুখে কথা গেলেই কিছুটা বদলে যায়। নবীজি মৃত্যুর ২/৩ শ বছর পর হাদিস লিখা শুরু... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। বকেয়া না মেটালে ৭ নভেম্বরের পর বাংলাদেশকে আর বিদ্যুৎ দেবে না আদানি গোষ্ঠী

লিখেছেন শাহ আজিজ, ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ৯:৪১





বকেয়া বৃদ্ধি পেয়ে হয়েছে কোটি কোটি টাকা। ৭ নভেম্বরের মধ্যে তা না মেটালে বাংলাদেশকে আর বিদ্যুৎ দেবে না গৌতম আদানির গোষ্ঠী। ‘দ্য টাইম্স অফ ইন্ডিয়া’-র একটি প্রতিবেদনে এমনটাই... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। ভারত থেকে শেখ হাসিনার প্রথম বিবৃতি, যা বললেন

লিখেছেন শাহ আজিজ, ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২৪ দুপুর ১২:৩২



জেলহত্যা দিবস উপলক্ষে বিবৃতি দিয়েছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শনিবার (২ নভেম্বর) বিকালে দলটির ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এটি পোস্ট করা হয়। গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার... ...বাকিটুকু পড়ুন

=বেলা যে যায় চলে=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৪:৪৯



রেকর্ডহীন জীবন, হতে পারলো না ক্যাসেট বক্স
কত গান কত গল্প অবহেলায় গেলো ক্ষয়ে,
বন্ধ করলেই চোখ, দেখতে পাই কত সহস্র সুখ নক্ষত্র
কত মোহ নিহারীকা ঘুরে বেড়ায় চোখের পাতায়।

সব কী... ...বাকিটুকু পড়ুন

×