গো’আযম প্রথম দফা সাক্ষাতের পর আবার ১৯৭১ সালের ৬ এপ্রিল বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতাকে সঙ্গে নিয়ে গভর্নর হাউসে (বর্তমান বঙ্গভবন) লে. জেনারেল টিক্কা খানের সঙ্গে দেখা করে, যা ১৯৭১ সালের ৭ এপ্রিল দৈনিক আজাদ, দৈনিক পাকিস্তান এবং দৈনিক পূর্বদেশে ছাপা হয়। ঐ বৈঠকে গো’আযম ছাড়াও সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী হামিদুল হক চৌধুরী, জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের প্রাদেশিক শাখার সভাপতি পীর মোহসীন উদ্দিন আহমেদ (দুদু মিয়া), স্থানীয় আইনবিদ এ.টি. সাদী পৃথকভাবে জেনারেল টিক্কা খানের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে। ঐ সভাতেও পাকিস্তান সেনাবাহিনীকে সহায়তার জন্য বিভিন্ন দিক আলোচনা করা হয় এবং সহায়ক সংগঠন গঠন নিয়ে আলোচনা চলে। গো’আযম সহযোগী বাহিনীর সাহায্যে দ্রুত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আনার সঙ্কল্প ব্যক্ত করে।
ইসলাম রক্ষার নামে পাকিস্তানের সংহতি ও সার্বভৌমত্ব রক্ষার্থে শপথ গ্রহণ করা হয় ঐ বৈঠকে। একই সঙ্গে ষড়যন্ত্রমূলক এ বৈঠকে দেশের জনগণের আস্থা অর্জন ও তথাকথিত ‘ভারতীয় পরিকল্পনা এবং আগ্রাসনের’ বিরুদ্ধে যুদ্ধ করার জন্য মানুষকে সংগঠিত করার লক্ষ্যে বিভিন্ন নীতি ও পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়। এরই ধারাবাহিকতায় ১৯৭১ সালের ১৯ জুন পাকিস্তানের রাওয়ালপিন্ডিতে পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট জেনারেল আগা মোহাম্মদ ইয়াহিয়া খানের সঙ্গে বৈঠক করে। ঐ বৈঠকে পূর্ব-পাকিস্তানের সর্বশেষ পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা হয়। বিগত তিন মাসের কার্যক্রম পর্যালোচনা করে পরবর্তী কার্যক্রম বেগবান করার জন্য কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়, যা ১৯৭১ সালের ২০ জুন দৈনিক সংগ্রাম ও ২২ জুন দৈনিক সংগ্রামে ছাপা হয়। গো’আযম ১৯৭১ সালের ২০ জুন পাকিস্তান জামাতের প্রধান মাওলানা মওদুদীর সঙ্গে ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে এক বৈঠকে বসে।