ফেসবুক বন্ধ হওয়াতে গতকাল থেকেই মেজাজ তা খুব খারাপ ছিল। আজকের সংবাদে ফেসবুক বন্ধ হউয়ার পিছনে বিটিআরসি ্যে যুক্তি দেখাইল তাতে আরো বেশি মেজাজ খারাপ হল।বিটিআরসির চেয়ারম্যান জিয়া আহমেদ বলেছেন "ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত হানতে পারে এমন কিছু ব্যঙ্গচিত্র ও ছবি ফেসবুকে প্রকাশ করা হচ্ছিল।" সেজন্য নাকি ফেসবুক বন্ধ করা হয়েছে। আচ্ছা ভাল কথা। তা ধর্মীয় অনুভূতিতেই যদি আঘাত হানে তাহলে ২৯ তারিখ কেন বন্ধ করল?২০ তারিখ করত।তাহলে তো সেটা আরো গ্রহনযোগ্য হত।তিনি ফেসবুক আবার খুলে দেওয়া প্রসঙ্গে বলেন "শাখা লিঙ্কগুলো বন্ধ করার পর ফেসবুক খুলে দেওয়া হবে।" এ কথাটা মনে হয় ওনার অজ্ঞানতার প্রকাশ। শাখা লিঙ্ক উনি বন্ধ করে দিতে পারেন,কিন্তু আবার যে কেউ খুলতে পারবে না,সেটা কি তিনি করতে পারবেন?
"যুবক গ্রেপ্তার: এদিকে ফেসবুকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও বিরোধীদলীয় নেত্রী খালেদা জিয়ার আপত্তিকর ছবি ও ব্যঙ্গাত্মক মন্তব্য প্রকাশ করার অভিযোগে মাহাবুব আলম (রডিন) নামের একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গতকাল শনিবার ভোরে পুরান ঢাকার ওয়ারীর র্যাংকিন স্ট্রিট এলাকা থেকে র্যাব-১০ ও গোয়েন্দা শাখার একটি যৌথ দল তাঁকে গ্রেপ্তার করে।
মাহাবুবকে গতকাল র্যাব সদর দপ্তরে সাংবাদিকদের সামনে হাজির করা হয়। তাঁর কাছ থেকে দুটি ল্যাপটপ, দুটি পাসপোর্ট, পর্নো সিডি ও ইমাম মেহেদীর সিডি জব্দ করেছে র্যাব।
তিনি কম্পিউটারে ওয়েবসাইট হ্যাকিং করার প্রযুক্তি জানেন বলে র্যাব কর্মকর্তা জানান। "
ইদানিং বাংলাদেশে একটা ক্রেজ চালু হয়েছে।র্যাব কাউকে গ্রেফতার করলেই তাকে হ্যাকার বলে পরিচিত করানো।অবাক এবং হাস্যকর লাগে যখন দেখি বাংলাদেশে হটাত করে এত হ্যাকার বের হয়ে গিয়েছে। আর দুই নেত্রি সম্পরকে ব্যঙ্গাত্মক মন্তব্য মন্তব্য করাই যদি তার একটা দোষ হয়ে থাকে তাহলে তো বাংলাদেশ র সব মানুষ কেই গ্রেফতার করতে হয়।আমাদের শ্রধ্যেয়(!) নেত্রী রা ব্যাঙ্গ করার মত কাজ করতে পারবেন,আর আমরা তাদের ব্যাঙ্গ করলে আমাদের গ্রেফতার করতে হবে! গনতান্ত্রিক দেশের নাগরিক হিসেবে সরকারের কাজের সমালোচনা অবশ্যই একজন মানুষ করতে পারবে।আর এই হছে আমাদের গনতান্ত্রিক দেশের নমুনা।
আমার ফেসবুক একাউন্টে আমার কিছু হারিয়ে যাওয়া বন্ধু ছাড়াও অনেক আত্নীয় আছে,যারা দেশের বাইরে থাকে।তাদের সাথে যোগা্যোগ করার জন্য আমার জন্য ফেসবুক ই একমাত্র উপায়,আমার কাছে এত টাকা নেই জ তাদের কে ফোন করব অথবা তাদের ও সময় নেই ফেসবুক ছাড়া অন্যকোন এপ্লিকেশন ব্যবহার করে আমার সাথে কথা বলবে। আমার তো মনে হয় আমার মত এমন মানুষ বাংলাদেশে অনেক আছে।অনেক মানুষ আছে যাদের রুটিরুজি ফেসবুক থেকে ই আসে।আমরা কি এই ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার জন্য তাদের ভোট দিয়েছিলাম?তাদের চামড়া কি এতই পাতলা যে সামান্য বাঙ্গচিত্রের জন্য যুদ্ধাপরাধিদের বিচার,দেশের বিদ্যূত,পানি ইত্যাদি সমস্যা রেখে ফেসবুক নিয়ে এখন উঠেপরে লাগা দরকার?এখন চিন্তা করতেও কস্ট লাগে যে সরকার যুদ্ধাপরাধিদের বিচার করার প্রতিশ্রুতি দিয়ে খমতায় এসেছে,তারাও শুধুমাত্র মুফতি আমিনী র মত মানুষের কথায় উঠবস করে। ধিক!
(এটা আমার প্রথম পোস্ট,হয়ত বা কিছু ভুল আছে,দয়া করে ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টি তে দেখবেন,ধন্যবাদ )