somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

এই পোস্ট শেয়ার না করে পারলাম না, :| :|

১৩ ই আগস্ট, ২০১৩ বিকাল ৪:১৭
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

:|


ভন্ডপীর দেওয়ানবাগীর মুখোশ উন্মোচন :=
******************************
**********



নাম-- মাহবুব এ খোদা,
সর্বস্তরে দেওয়ানবাগী নামে পরিচিত।

জন্ম ২৭ শে অগ্রহায়ন ১৩৫৬ বাংলা মোতাবেক
১৪ ই ডিসেম্বর ১৯৪৯ ইংরেজী।

জন্মস্থান ব্রাক্ষনবাড়ীয় জেলার আশুগঞ্জ
থানাধীন বাহাদুরপুর গ্রামে।
পিতা সৈয়দ আব্দুর রশিদ সরদার।
মাতা জোবেদা খাতুন ।
ছয় ভাই দুই বোন। ভাইদের
মধ্যে সর্ব কনিষ্ঠ।
এক নজরে দেওয়ানবাগীর কিছু আকিদা ও
উক্তি সমূহঃ

“আমার অসংখ্য মুরিদান স্বপ্ন ও কাশফের
মাধ্যমে আল্লাহর দীদার লাভ করেছে।
আমার
স্ত্রী হামিদা বেগম ও আমার
কন্যা তাহমিনা এ খোদা স্বপ্নের
মাধ্যমে আল্লাহকে দাড়ী গোফ বিহীন যুবকের
ন্যায় দেখতে পায়।”
– (সুত্রঃ আল্লাহ কোন পথেঃ২৩)
সাংবাদিক সম্মেলনে তিনি বলেন

“শুধু
আমি নই, আমার স্ত্রী কন্যা সহ লক্ষ্য লক্ষ্য
মুরিদানও আল্লাহকে দেখেছেন”

সুত্রঃ (সাপ্তাহিক দেওয়ানবাগ)

“দেওয়ানবাগে আল্লাহ ও সমস্ত নবী রাসূল,
ফেরেস্তারা মিছিল করে এবং আল্লাহ
নিজে শ্লোগান দেন।”
– সুত্রঃ (সাপ্তাহিক
দেওয়ানবাগ, মার্চ ১৯৯৯ ইং)

“আমি এক ভিন্নধর্মের লোককেওজীফা ও আমল
বাতলে দিলাম। ক’দিন পর ঐ
বিধর্মী স্বপ্নযোগে মদিনায় গেল। নবিজীর
হাতে হাত মিলালো। নিজের সর্বাঙ্গে জিকির
অনুভব করতে লাগলো। তারপর থেকে ওই
বিধর্মী প্রত্যেক কাজেই অন্তরে আল্লাহর নির্দেশ পেয়ে থাকে।”

সুত্রঃ (মানতের নির্দেশিকাঃ২৩,
সূফী ফাউন্ডেশন, ১৪৭ আরামবাগ, ঢাকা)

“কোন লোক যখন নফসীর মাকামে গিয়ে পৌঁছে,
তখন তাঁর আর কোন ইবাদাত লাগেনা।”

(আল্লাহ কোন পথে,পৃঃ ৯০)

“জিব্রাইল বলতে আর কেও নন,স্বয়ং আল্লাহ-ই
জিব্রাইল।”
–সুত্রঃ (মাসিক আত্মার বাণী, ৫ম
বর্ষ, ১ম সঙ্খ্যাঃ২১)

“সূর্যোদয় পর্যন্ত সাহরী খাওয়ার সময়।
সুভে সাদেক অর্থ প্রভাতকাল।
হুজুরেরা ঘুমানোর জন্য তারাতারি আযান
দিয়ে দেয়। আপনি কিন্তু খাওয়া বন্ধ করবেন
না। আযান দিয়েছে নামাজের জন্য। খাবার
বন্ধের জন্য আযান দেয়া হয়না।”
– সুত্রঃ (মাসিক আত্মার বাণী,
সংখ্যাঃ নভেম্বরঃ ৯৯, পৃঃ ৯)

“মানুষের জন্ম থেকে মৃত্যুপর্যন্ত
হায়াতে জিন্দেগী কে পুলসিরা বলা হয়।”

সুত্রঃ (আল্লাহ কোন পথে, তৃতীয় সংস্করনঃ ৬০)

“ আল্লাহ থেকে বিচ্ছিন্ন হওয়ার
ফলে আত্মা এক বিচ্ছেদ যাতনা ভোগ
করতে থাকে। প্রভূর পরিচয় নিজের
মাঝে না পাওয়া অবস্থায় মৃত্যু
হলে সে বেঈমান হয়ে কবরে যাবে। তখন তাঁর
আত্মা এমন এক অবস্থায় আটকে পড়ে যে, পুনরায় আল্লাহর
সাথে মিলনের পথ খুঁজে পায়না। আর তা আত্তার
জন্য কঠিন যন্ত্রনাদায়ক। আত্মার এরূপ
চিরস্থায়ী যন্ত্রনাদায়ক অবস্থাকেই
জাহান্নাম বা দোযোখ বলা হয়।”
–(আল্লাহ
কোন পথেঃ ৪৪)
দেওয়ানবাগী নিজেকে ইমাম
মাহদী দাবী করেন। অতঃপর
দরুদে মাহদী রচনা করে্ন ।
দরুদে মাহদীঃ

“আল্লাহুম্মা ছাল্লী আ’লা সাইয়্
ওয়ালা আ’লা ইমাম মাহদী রাহমাতাল্লিল
আলামীন ওয়ালিহী ওয়াছাল্লীম। ”
ময়লার স্তূপে অর্ধমৃত ও বিবস্ত্র অবস্থায়
রাসুল (সাঃ) কে দেখেছি। দেওয়ানবাগী ১৯৮৯
সালে নাকিএকটি ব্যতিক্রমধর্
দেখে ফেলেন।
এ স্বপ্ন সম্পর্কে তিনি বলেন,


আমি দেখি ঢাকা ও ফরিদপুরের
মধ্যবর্তী স্থান জুড়ে এক বিশাল বাগান ফুলে-
ফলে সুশোভিত।
ওই বাগানে আমি একা একা হেটে ব হঠাত
বাগানের একস্থানে একটি ময়লার স্তূপ আমার
চোখে পড়ে।
আমি দেখতে পাই ওই ময়লার স্তূপে রাসুল (সাঃ)
এর প্রানহীন দেহ মোবারক পড়ে আছে।
তাঁর
মাথা মোবারক দক্ষিন দিকে আর পা মোবারক উত্তর দিকে প্রসারিত।
বাম পা মোবারক
হাটুতে ভাজ হয়ে খারা অবস্থায় রয়েছে।

আমি তাকে উদ্ধার করার জন্য পেরেশান
হয়ে গেলাম।
আমি এগিয়ে গিয়ে তাঁর বাম
পায়ের হাটুতে আমার ডান হাত দ্বারা স্পর্শ
করলাম।
সাথে সাথেই তাঁর দেহ মোবারকে প্রাণ ফিরে এল।
তিনি চোখ
মেলে আমার দিকে তাকালেন।
মূহুর্তের মধ্যেই
রাসূল (সাঃ) সুন্দর
পোশাকে সুসজ্জিত হয়ে গেলেন।

তিনি উঠে বসে হাসি মুখে আমার
দিকে তাকিয়ে বললেন, হে ধর্মপূনর্জীবন দানকারী! ইতমধ্যেই আমার ধর্ম আরও পাঁচবার
পূনর্জীবন লাভ করেছে।
একথা বলে রাসূল
(সাঃ)
উঠে দাঁড়িয়ে হেটে হেটে সাথে চলে এলেন।
এরপর আমার ঘুম ভেঙে গেল। ”

সুত্রঃ (দেওয়ানবাগীর স্বরচিত গ্রন্থ
“রাসূল স. সত্যিই কি গরীব ছিলেন?”

১১-১২ প্রকাশকালঃ জুন ১৯৯৯।)

"দেওয়ানবাগী এবং তার মুরীদদের
মাহফিলে স্বয়ং আল্লাহ্, সমস্ত নবী, রাসূল
(সা), ফেরেস্তা, দেওয়ানবাগী ওতার মুর্শিদ
চন্দ্রপাড়ার মৃত আবুল ফজলসহ সমস্ত
ওলি আওলিয়া, এক বিশাল ময়দানে সমবেত
হয়ে সর্বসম্মতিক্রমে দেওয়ানবাগীকে মোহাম্মাদী প্রচারক
নির্বাচিত করা হয়।
অত:পর আল্লাহ
সবাইকে নিয়ে একমিছিল বের করে।
মোহাম্মাদী ইসলামের
চারটি পতাকা চারজনের_যথাক্রমে আল্লাহ,
রাসূল (সা), দেওয়ানবাগী এবং তার পীরের হাতে ছিল।
আল্লাহ,দেওয়ানবাগী ও তার পীর
প্রথম সারিতে ছিলেন। বাকিরা সবাই
পিছনের সারিতে।
আল্লাহ নিজেই
স্লোগান দিয়েছিলেন_
''মোহাম্মাদী ইসলামের আলো_
ঘরে ঘরে জ্বালো।"
(সূত্র: সাপ্তাহিক দেওয়ানবাগী পত্রিকা-
১২/০৩/৯৯ ) দেওয়ানবাগীর এক পাচাটা কুত্তা বলে (নাম
মাওলানা আহমাদুল্লাহ যুক্তিবাদী,)


"আমি স্বপ্নে দেখলাম হযরত ইব্রাহীম (আ)
নির্মিত মক্কারকাবা ঘর
এবং স্বয়ং রাসূলুল্লাহ (সা)
বাবে রহমতেহাজির হয়েছেন।
আমাকে উদ্দেশ্য করে নবী করীম (সা)
বলছেন_''তুমি যে ধারণা করছ যে, শাহ্
দেওয়ানবাগী হজ্জ করেননি আসলে এটা ভুল।

আমি স্বয়ং আল্লাহর নবী মোহাম্মাদ (সা) তার
সাথে আছি এবং সর্বণ থাকি। আর
কাবা ঘরওতার সামনে উপস্থিত আছে। আমার মোহাম্মাদী ইসলাম
শাহ্দেওয়ানবাগী প্রচার করতেছেন।

" এই হলো দেওয়ানবাগীর ভন্ডামী,
বাংলার জমিন তথা শাহজালাল, শাহপরাণ,
শাহ আমানত, শেরা বাংলার (রহঃ) এর বাংলায়
এই তথাকথিত ভন্ডপীরদের ঠাঁই নাই। নিজে জানুন এবং শেয়ার করে এই ভন্ডপীরদের
সম্পর্কে অন্যকে জানার সুযোগ করে দিন,
আশা করি, সবাই শেয়ার করবেন।


সৌজন্যে মোঃ হুমায়দী হুসাইন
১৩টি মন্তব্য ১৩টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। ভারত থেকে শেখ হাসিনার প্রথম বিবৃতি, যা বললেন

লিখেছেন শাহ আজিজ, ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২৪ দুপুর ১২:৩২



জেলহত্যা দিবস উপলক্ষে বিবৃতি দিয়েছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শনিবার (২ নভেম্বর) বিকালে দলটির ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এটি পোস্ট করা হয়। গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার... ...বাকিটুকু পড়ুন

এখানে সেরা ইগো কার?

লিখেছেন শূন্য সারমর্ম, ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৩:২৪






ব্লগারদের মাঝে কাদের ইগো জনিত সমস্যা আছে? ইগোককে আঘাত লাগলে কেউ কেউ আদিম রোমান শিল্ড ব্যবহার করে,নাহয় পুতিনের মত প্রটেকটেড বুলেটপ্রুফ গাড়ি ব্যবহার করে।ইগো আপনাকে কোথায় নিয়ে গিয়েছে, টের পেয়েছেন... ...বাকিটুকু পড়ুন

এবং আপনারা যারা কবিতা শুনতে জানেন না।

লিখেছেন চারাগাছ, ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৪:২৮

‘August is the cruelest month’ বিশ্বখ্যাত কবি টিএস এলিয়টের কালজয়ী কাব্যগ্রন্থ ‘The Westland’-র এ অমোঘ বাণী যে বাংলাদেশের পরিপ্রেক্ষিতে এমন করে এক অনিবার্য নিয়তির মতো সত্য হয়ে উঠবে, তা বাঙালি... ...বাকিটুকু পড়ুন

=বেলা যে যায় চলে=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৪:৪৯



রেকর্ডহীন জীবন, হতে পারলো না ক্যাসেট বক্স
কত গান কত গল্প অবহেলায় গেলো ক্ষয়ে,
বন্ধ করলেই চোখ, দেখতে পাই কত সহস্র সুখ নক্ষত্র
কত মোহ নিহারীকা ঘুরে বেড়ায় চোখের পাতায়।

সব কী... ...বাকিটুকু পড়ুন

মার্কিন নির্বাচনে এবার থাকছে বাংলা ব্যালট পেপার

লিখেছেন সৈয়দ মশিউর রহমান, ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৫:২৪


আমেরিকার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে বাংলার উজ্জ্বল উপস্থিতি। একমাত্র এশীয় ভাষা হিসাবে ব্যালট পেপারে স্থান করে নিল বাংলা।সংবাদ সংস্থা পিটিআই-এর খবর অনুযায়ী, নিউ ইয়র্ক প্রদেশের ব্যালট পেপারে অন্য ভাষার সঙ্গে রয়েছে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×