একাকী বসে একটি ছেলে ভাবছে, একটি কবিতা লিখতে হবে আজকে,
কবিতা লিখতে হবে তাকে নিয়ে, সেই মায়াবতী মেয়েটিকে নিয়ে-
যার প্রতিটি পদক্ষেপ ছেলেটির ভালো লাগে, ভালো লাগে তার সাথে কাটানো প্রতিটি মুহূর্ত;
ছেলেটি চুপচাপ ভাবে, কবিতার শুরু নিয়ে সে ভাবতে বসে,
কিন্তু মনের গহীনে ভেবেও সে কোনো শব্দ খুঁজে পায় না, পায় না খুঁজে কোনো বাক্য,
এতো ভালোবাসার এই মায়াবতী মেয়েটিকে সে কিভাবে বোঝাবে-
"তার সাথে তুলনীয় কোন শব্দ এই পৃথিবীতে নেই,-
যে শব্দ দিয়ে মেয়েটির চোখের গভীরতাকে পরিমাপ করা যায়।"
"তার সাথে তুলনীয় কোন বাক্য পৃথিবীতে নেই,-
যে বাক্য মেয়েটির মনের সৌন্দর্যকে প্রকাশ করতে পারে।"
ছেলেটি অসহায় হয়ে বসে থাকে, তার হয়তো আর কবিতাই লেখা হবে না,
মেয়েটির প্রতি তার ভালোবাসা প্রকাশের কোনো ভাষাই যে সে খুঁজে পাচ্ছে না,
সে শুধু চুপচাপ বসে থাকে, বসে থেকে অপেক্ষা করতে থাকে,
একটি কবিতা লেখার জন্য সে অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করতে থাকে,
যে কবিতাটি হবে শুধু সেই মেয়েটিকে নিয়ে, মেয়েটির প্রতি তার ভালোবাসা নিয়ে।
মেয়েটির প্রতি ছেলেটি গভীর এক মায়া অনুভব করে, সে মেয়েটিকে ভালোবাসে,
মেয়েটির হাসি, মেয়েটির কথা - সবই তার ভালো লাগে,
ভালো লাগে তার সব - মেয়েটির সুরেলা কন্ঠ, চোখের দৃষ্টি সব।
ছেলেটির এই ভালোবাসা দিন দিন বেড়েই চলেছে...
ছেলেটি অপেক্ষা করবে, সারাজীবন অপেক্ষা করবে,
হয়তো মেয়েটি কখনোই তার হবে না, তারপরও ছেলেটি অপেক্ষা করবে,
পাবো না জেনেও অপেক্ষা করার নামই তো ভালোবাসা, অকৃত্রিম ভালোবাসা।
ছেলেটি চেষ্টা করবে, নিজের সবটুকু দিয়ে ছেলেটি তার সর্বোচ্চ চেষ্টাটুকু করবে,
মেয়েটিকে সে হারিয়ে যেতে দিবে না কখনো, কারণ,-
এই মেয়েটি ছাড়া ছেলেটি অসম্পূর্ণ, মূল্যহীন হয়ে যাবে ছেলেটির বেঁচে থাকা।
উৎসর্গঃ কেয়া
সর্বশেষ এডিট : ২৭ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ ভোর ৫:২৩