ভারত চন্দ্রের কবিতায় পাই, কপালে আগুন। তখনও মন্জু ভাই আবৃত্তি কর্মশালায় সুকান্তীয় হাঁক দিয়ে বেড়ান, লেনিন!
আমরা তখন ঢাকা কলেজের পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া নাইমের রাস্তায় চুরি করা ফুলের টব নিয়ে রাত বিরাতে দৌড়াই। কখনও কখনও স্বাদ জাগে মনে শ্যামলের কাঁধে হাত রেখে মাহতাবকে নিয়ে ধবলা চাঁদনী ফোম খাই, ফার্মগেট টু নিউমার্কেট দুই টাকা টেম্পুর সামনের ডাইনের সীটে বসে বিড়ি ফুঁকি পান্থপথের জ্যামে।
একদিন হলে ফিরতে দেখি পান্থ পাড়ে অহংকার চাঁপা ফুল এক নুয্যমান ভারে । তখনও কেবল দুই আঁখি ফনী মনসার ঝোঁপে তাল খুঁজে বেড়ায়। আমার রুমমেট বায়েজীদের ঝাকড়া চুলে পাগলামীর হাওয়া দোল খায়। বলি, হ্যান্ডস আপ! চাঁপা তুমি শাঁখারি ব্লগের ৩১৭ নম্বর সেলে কয়েদি হয়ে থাকো যাবত্জীবন।
তখনও হয়নি কাল, খুলেনি আঁখি, যাযাবর হাল যত ছুঁড়ে ফেলে যমুনার বুকে। ঘরে ফিরতেই সুবোধ ললাট ছেড়ে ফালি ফালি ঘাম কেবল পড়েছে টইটই ভ্রমনের ঘাড়ে।
একদিন, আমাদের তখন পড়ার বেলায় তিন বালক মুখ গুজে উঁইপোকা হয়ে বই কাঁটি- হিট, মাস, মোমেন্টাম চালাচালি করি চোথা থেকে চোথায়। হঠাত রাস্তায় এক চাঁপা ফুল হাতে দুষ্ট বালকের গান আমাদের চোখ খুলে দেয়। কিংবা নতুন আরেক চোখ তৃতীয় নয়ন- তোমরা যাকে বল সিক্সথ সেন্স অবলিক থার্ড আই- টুপ করে কপালে বসে যায় আগুনের গোলায় ঝলসে যওয়া পিউপিলে।
চাঁপাকে তাই দূর থেকে রাইফেল কাঁধে বলে উঠি, হল্ট!
***
(সম্প্রতি আবিষ্কৃত হয়েছে যে আক্ষরিক অর্থেই কারো কারো ক্ষেত্রে তৃতীয় নয়নের সৃষ্টি করা সম্ভব। ভিটামিন 'এ' সমৃদ্ধ পরিবেশে পিনিয়াল গ্লান্ড ব্যাঙ বা ব্যাঙাচির দেহে এই তৃতীয় চোখের জন্ম দেয়)