ধরেন আপনার শরীর খারাপ। নতুন এলাকার কোন ডাক্তার কেমন সেটা জানা নাই তাই ভাবলেন সব ডাক্তারের কাছে গিয়ে একটু যাচাই করবেন। তো পুরো সপ্তাহজুড়ে এ্যাপয়েন্টমেন্ট নিলেন, ডাক্তারের চেম্বারে গেলেন। সব ডাক্তার দেখানো হলে তার চক্ষু চড়কগাছ। সর্বমোট ৫০ টা টেস্ট এবং কিছু টেস্ট এইচআইভি ও যক্ষ্মার টেস্টও আছে। অথচ সপ্তাহ পর তার খারাপ লাগা আর নাই। সে সুস্থ। সবচেয়ে মজার কথা হলো ১০ জন ডাক্তারের প্রাগনোসিস ১০ রকম এবং সেখানে ১০ টা রোগের নাম উল্লেখ আছে।
আবার শবে বরাতের রাতে কত রাকাত নামাজ পড়বেন এই ভেবে এলাকার হুজুর আর মাদ্রাসার আলেমদের সাথে একটু কথা বলতে গেলেন। দেখা গেলো ১০ জনের দুজন আপনাকে মারতে তেড়ে আসলো এই বলে যে শবে বরাত পালন বেদায়াত। তিনজন বললো তাদের মাদ্রাসাতে কোরান খতম হবে সারা রাত। ১০০ টাকা হাদিয়া দিয়ে ঢুকতে হবে, মানে কোরান শরীফ শোনানো হবে টিকিট কেটে। ৪ জন বললো নফল রাকাত ১০, ২৫, ১০০ রাকাত পড়তে। বাকি একজন বললো আল্লাহর সব দিনই সমান। যেকোনো এবাদত ছোয়াবের। কিছুক্ষন পর আপনার মাথা ঘুরা শুরু করলো। দেশের ডাক্তার আর হুজুরদের মধ্যে কোনো ঐক্যমত্য নাই না কাহিনী কোথায় সেটা আপনার মাথাতে ঢুকাতে গেলে মাথা ফেটে যেতে পারে।
সেদিন শুনলাম হোলি আর্টিজান হামলা, ৫০০ বোমা হামলা, আব্দুর রহমান, বাংলা ভাই, মুফতী হান্নান সব নাকি সরকার আর ইহুদী নাছাড়াদের ষড়যন্ত্র। তারে এই লিংক দেখাতেই পারলে তেড়ে আসে। বিদেশ জীবনে এসেও দেশের নেতা, হুজুরদের এমন কঠিন ভালোবাসা দেখে মুগ্ধ হবার টাইম পেলাম না, পেছন থেকে ডেডলক দিয়ে রাস্তায় বসিয়ে দিয়ে বললাম ফের যেনো সামনে না আসে। কি যন্ত্রনা!
অনেকেই একটা কথা বলে ইসলামে কখনো জঙ্গি আক্রমন সমর্থন করে না। নীরিহ নিরস্ত্র মানুষ হত্যা এবং শিশু নারীদের ওপর নির্যাতনও সমর্থন করে না। আসলে এটা কতটুকু সত্য? যারা এই হামলা গুলো করেন তারা সবাই ইসলামিক স্কলারদের কাছ থেকে বাইয়াত নেন এবং তারা বিশ্বাসের কারনে নিজের জীবনটা পর্যন্ত তুচ্ছ করেন। কতটা আত্মবিশ্বাস এবং সাহসী হলে এই কাজটা করতে পারে সেটা আসলেই ভেবে দেখার মতো। স্বভাবতই আমি এই পোস্টে নিজের মতামত প্রদান করা থেকে বিরত থাকবো। আমি শুধু ইসলামিক দলিল উল্লেখ করে ঘটনার বর্ননা হুবহু তুলে ধরে নিজে বোঝার চেস্টা করবো আইএসআইএস, বোকো হারাম, আল কায়েদা এমনকি ১৯৭১ সালে পাকবাহিনী কর্তৃক বাঙ্গালীদের নৃশংস গনহত্যা ও ধর্ষন এগুলো সহী ইসলামের সাথে কতটুকু মেলে।
নিয়ম:
**ভুল ত্রুটি হলে অবশ্যই উল্লেখ করুন, সুন্দরভাবে বলুন। যদি আসলেই দেখি তাহলে শুধরে দেবো।
** ব্যাক্তিগত আক্রমন করলে আপনিও ব্যাক্তিগত আক্রমনের শিকার হবেন। নিজেকে কন্ট্রোল করতে না পারলে প্লিজ এই পোস্ট পড়বেন না।
নাখলার ডাকাতী
সূরা বাকারার ২১৬-২১৮ নম্বর আয়াত:
তোমাদের উপর যুদ্ধ ফরয করা হয়েছে, অথচ তা তোমাদের কাছে অপছন্দনীয়। পক্ষান্তরে তোমাদের কাছে হয়তো কোন একটা বিষয় পছন্দসই নয়, অথচ তা তোমাদের জন্য কল্যাণকর। আর হয়তোবা কোন একটি বিষয় তোমাদের কাছে পছন্দনীয় অথচ তোমাদের জন্যে অকল্যাণকর। বস্তুতঃ আল্লাহই জানেন, তোমরা জান না।সম্মানিত মাস সম্পর্কে তোমার কাছে জিজ্ঞেস করে যে, তাতে যুদ্ধ করা কেমন? বলে দাও এতে যুদ্ধ করা ভীষণ বড় পাপ। আর আল্লাহর পথে প্রতিবন্দ্বকতা সৃষ্টি করা এবং কুফরী করা, মসজিদে-হারামের পথে বাধা দেয়া এবং সেখানকার অধিবাসীদেরকে বহিস্কার করা, আল্লাহর নিকট তার চেয়েও বড় পাপ। আর ধর্মের ব্যাপারে ফেতনা সৃষ্টি করা নরহত্যা অপেক্ষাও মহা পাপ। বস্তুতঃ তারা তো সর্বদাই তোমাদের সাথে যুদ্ধ করতে থাকবে, যাতে করে তোমাদিগকে দ্বীন থেকে ফিরিয়ে দিতে পারে যদি সম্ভব হয়। তোমাদের মধ্যে যারা নিজের দ্বীন থেকে ফিরে দাঁড়াবে এবং কাফের অবস্থায় মৃত্যুবরণ করবে, দুনিয়া ও আখেরাতে তাদের যাবতীয় আমল বিনষ্ট হয়ে যাবে। আর তারাই হলো দোযখবাসী। তাতে তারা চিরকাল বাস করবে।আর এতে কোন সন্দেহের অবকাশ নেই যে, যারা ঈমান এনেছে এবং যারা হিজরত করেছে আর আল্লাহর পথে লড়াই (জেহাদ) করেছে, তারা আল্লাহর রহমতের প্রত্যাশী। আর আল্লাহ হচ্ছেন ক্ষমাকারী করুনাময়।
ক্বাথীরে এর তাফসীর দেখে নিতে পারেন। আমি একটু ঘটনাটা সংক্ষেপে বলি:
নবী মোহাম্মদ ৭-৮ জনের একটা দলকে বাতেনে নাখলা পাঠালেন নজরদারীর জন্য। সে চিঠিতে বলা ছিলো তাদের মধ্যে থেকে যারা এই অভিযানে অংগ্রহন করতে চায় না, তারা যেনো ফেরত না আসে! তো এক জায়গায় লেখা আছে ২ জন ফিরা গেছে আবার এই তাফসীরে বলা আছে কেউ যায় নাই। এর মধ্যে তাদের মধ্যেকার দুজন নিজেদের ঘোড়া হারায়া ফেলে। একটা উপযুক্ত স্থানে অবস্থান করলে তারা একটা মরুযাত্রীদলের দেখা পায় যারা কোরাইশদের অন্তর্ভূক্ত। এদের মধ্যে একজন মুক্ত দাসীও ছিলো। ঐ মরুযাত্রীদল যখন এই মুহাজীর সাহাবীদের দল দেখতে পায় তখন তারা ভয়ে সঙ্কিত হয়ে যায়। তখন মুহাজীর সাহাবীদের মধ্যে উকাসা বিন মিহসানের মাথা টাক দেখে কুরাইশরা শন্কামুক্ত হয় এই ভেবে যে এরা মনে হয় ওমরা হজ্জ্ব করা দল, মানে তীর্থযাত্রী।এরা কোনো ক্ষতিসাধন করবে না। উল্লেখ্য ঐ মরুযাত্রীদল শুস্ক কিশমিশ যা মক্কার আঙ্গুরের বাগানে চাষকৃত, খাদ্যদ্রব্যাদী আর বিক্রি করার জন্য জিনিসপত্র ব হন করছিলো তাদের ভারবাহন কারী গাড়ীতে।এদিকে মুহাজীররা জানতো না সেদিন কি বার ছিলো। আর তারা নিজেদের মধ্যে বলাবলি করছিলো যে আল্লাহর নামে এদের ছেড়ে দিলে এরা পবিত্র জায়গায় প্রবেশ করবে এবং তাদের থেকে পালিয়ে আশ্রয় নেবে। আর যদি মারো, তাহলে পবিত্র মাসেই মারা হবে। এরই মধ্যে ওয়াক্কিদ ইবনে তামিম একটা তীর ছুড়ে মারে এবং ঐ তীরে বিদ্ধ হয়ে কুরাইশ আমীর বি হাদামী জায়গায় মারা যায়। এটা দেখে দুজন সারেন্ডার করে আরেকজন ধস্তাধস্তি করে জায়গায় পটল তুলে। পরে ঐ দুজন সহ যাবতীয় মালামাল আর মালবহনকারী গাড়িটি মুহাজীর সাহাবীরা নবিজী সাঃ এর কাছে নিয়ে আসে এবং এই অভিযান থেকে সংগৃহিত মালামালের ৫ ভাগের এক ভাগ তাকে দিতে চাইলে নবিজী সাঃ প্রথমেই বলে, আমি তোমাদের পবিত্র মাসে যুদ্ধ করতে বলি নাই।এই কথা বলার পর সাহাবীরা কান্নায় মুশরে পড়ে এই ভেবে যে তারা ইসলাম থেকে বরখাস্ত হয়ে গেলো বুঝি। তখন নবী মোহাম্মদ সুরা বাকারার এই আয়াত সমূহ নাজিল করে। মূলত কুরাইশ যুদ্ধ বন্দিদের ধরে নিয়ে আসলে ইহুদীদের মাধ্যমে কুরাইশরা জানায় যে তোমরা চুক্তি ভঙ্গ করেছো, পবিত্র মাসে তোমরা যুদ্ধ করেছো। মূলত ঐদিন ছিলো রজবের প্রথম রাত্রী আর জামিদিউল উখরার শেষ রাত্রী। মুহাজীরগনের এই সময়টা তাদের মাথায় ছিলো না। আয়াতের সারমর্ম হলো "এই মাসগুলোতে যুদ্ধ করা হারাম বটে কিন্তু হে মুশরিকরা! তোমারাদের মন্দ কার্যাবলী মন্দ হিসেবে এর চেয়েও বেড়ে গেছে।তোমরা আমাকে অস্বীকার করছো।তোমরা আমার নবী সাঃ ও তার সহচরদেরকে আমার মসজিদ হতে প্রতিরোধ করছো।তোমরা তাদেরকে সেকান হতে ব হিস্কৃত করেছো। সুতরাং তোমরা ঐ সব কার্যাবলীর দিকে দৃষ্টিপাত করো যে সেগুলো কতটা ঘৃন্য।"
এই ঘটনা থেকে বোঝা যায় নিরস্ত্র মানুষ যাদের দ্বারা কোনো মুসলমানদের ক্ষতি হয়নি কিন্তু তারা যদি নির্যাতনকারী গোত্রের অন্তর্ভূক্ত হয় তাহলে তাদেরকে হত্যা করা নবী মোহাম্মদ সমর্থন করেছেন এবং কোরানে তার বৈধতা দিয়ে আয়াত ডাউনলোড করেছেন। যদিও নবী মোহাম্মদ পবিত্র মাসে যে যুদ্ধবিরতী চলবে সেই চুক্তি ভঙ্গ করেছিলেন।
বানু কুরায়জা:
বানু কুরায়জার গনহত্যা সংঘটিত হয় ৬২৭ খ্রিস্টাব্দে ৫ হিজরী জিলক্বাদ মাসে। কোরানের আল আহযাবের ২৬-২৭ নম্বর আয়াতে আছে:
কিতাবীদের মধ্যে যারা কাফেরদের পৃষ্টপোষকতা করেছিল, তাদেরকে তিনি তাদের দূর্গ থেকে নামিয়ে দিলেন এবং তাদের অন্তরে ভীতি নিক্ষেপ করলেন। ফলে তোমরা একদলকে হত্যা করছ এবং একদলকে বন্দী করছ।তিনি তোমাদেরকে তাদের ভূমির, ঘর-বাড়ীর, ধন-সম্পদের এবং এমন এক ভূ-খন্ডের মালিক করে দিয়েছেন, যেখানে তোমরা অভিযান করনি। আল্লাহ সর্ববিষয়োপরি সর্বশক্তিমান।
এই দুটো আয়াতের তাফসীরে ক্বাথীরে যেভাবে আছে সেটা জানতে এখানে ক্লিক করুন। আলেমরা বানু কুরায়জার গনহত্যাকে জায়েজ করতে যেটা বলে থাকেন সেটা হলো তারা নাকি নবী মোহাম্মদের সাথে চুক্তি ভঙ্গ করেছিলো এবং মুসলিমদের বিরুদ্ধে যেয়ে মক্কাবাসীদের সাথে যোগদান করেছিলো। তাদের দাবি অনুযায়ী, যেহেতু চুক্তি ভঙ্গ করা এবং মক্কাবাসীদের সহায়তা করা বিশ্বাসঘাতকতা সেহেতু পুরো বানু কুরাইজা গোত্রের পুরোপুরি ধ্বংস প্রাপ্য।
দেখি আসলে যুদ্ধের সময় বানুকুরায়জার ভূমিকা কি ছিলো: মুসনাদ আহমেদ ইবনে হানবলের ২২৮২৩ হাদিস অনুসারে আবু সুফিয়ান মোহাম্মদের ওপর আক্রমনের জন্য কুরায়জা গোত্রের সাহায্য কামনা করছিলো, তারা অসম্মতি জানায় এবং উল্টো মোহাম্মদের ডাকাতদলকে অস্ত্রশস্ত্র দিয়ে সাহায্য করে। অস্ত্রশস্ত্র কি কি দিয়েছিলো সেটা আল ওয়াকীদির সীরাতে বর্ননা আছে। যেহেতু আল ওয়াকিদীর বেশ দুর্নাম ছিলো সেসময়ে তাই সেই অস্ত্রশস্ত্রের ব্যাপারে ডিটেইলে যাচ্ছি না। তবে আবু সুফিয়ানকে ফিরিয়ে দেবার ব্যাপারটা ইসহাকের ৬৮৩ নম্বর পৃষ্ঠায় এভাবে বর্নিত আছে যে "তারপর আবু সুফিয়ান বললেন : “ওহে কুরাইশ, আমরা কোনো স্থায়ী শিবিরে নেই ; আমাদের ঘোড়া ও উট মারা যেতে চলেছে ; বানু কুরাইজা আমাদের প্রতি কথার খেলাপ করেছে এবং আমরা তাদের ব্যাপারে উদ্বেজক খবর শুনেছি। তোমরা ঝড়ের হিংস্রতা দেখতে পারো যা আমাদের জন্য না রান্নার পাত্র বাকি রাখছে, না রাখছে তাবু। আমি চলে যাচ্ছি”।"
তাহলে প্রশ্ন আসতে পারে সূরা আহযাবের ২৬-২৭ নম্বর আয়াতের ক্বাথীরের তাফসীরে প্রথমেই বর্ননাকৃত হুয়ায় বিন আখতাব বিন নাদারী যখন বানু কুরায়জার গোত্র প্রধান কা'ব বিন আসাদকে রাজী করাতে হিমশিম খাচ্ছিলো তাহলে সে কেন পরে রাজী হলো এবং এটাই বা মোহাম্মদ কখন কি করে জানলো।
তার আগে একটি হাদিস দেই সহী মুসলিমের: আমরা মসজিদে একসাথে বসেছিলাম এমন সময় মোহাম্মদ আমাদের কাছে এসে বলে: চলো ইহুদীদের কাছে যাই। সবাইমিলে তাদের কাছে গেলে মোহাম্মদ তাদেরকে ডেকে বলতে থাকলেন: হে ইহুদীদের জামায়েত, ইসলাম গ্রহন করো তাহলে তোমরা নিরাপদ থাকবে। তারা বললো, আবুল কাসেম তোমার কাছে খোদার বার্তা এসেছে। নবী বললো: আমি এটাই চাই যে খোদার বার্তা তোমাদের কাছে পৌছে দেয়া হয়েছে, ইসলাম গ্রহন করো এবং নিরাপদে থাকো। তারা বললো: আবুল কাসিম, তুমি বার্তা পৌছে দিয়েছ আমাদের। আবারও নবী মোহাম্মদ একই কথা তিনবার বললেন এবং তারাও তিনবার একই উত্তর দিলো। তারপর নবী মোহাম্মদ যোগ করলেন এই পৃথিবীর সবকিছু আল্লাহ এবং তার নবীর অধিকারে এবং আমার ইচ্ছা তোমাদের এই জমি থেকে বিতাড়িত করি। যাদের এখানে জমি আছে সব বিক্রি করে দাও অন্যথায় তোমাদের জানা উচিত এই পৃথিবীর সবকিছু আল্লাহ ও তার নবীর(তোমাদেরকে সবকিছু ছেরে যেতে হবে)।
আবার স হী মুসলিমের আরেকটা হাদিসে এসেছে: উমর ইবনে খাত্তাব বর্নিত একদা তিনি মুহাম্মদকে বলতে শুনেছেন যে আমি আরব পেনিনসুলা থেকে সকল ইহুদী ও খ্রিস্টান বিতাড়িত করবো এবং একানে মুসলিম ছাড়া কেউ থাকতে পারবে না।
এছারা বানু কুরায়জার সাথে মোহাম্মদের যে চুক্তি হয়েছিলো তার প্রেক্ষাপট আবু দাউদের এই হাদিসে পাওয়া যায়: তারা মোহাম্মদের সাথে চুক্তি করতে অস্বীকার করলো এবং মোহাম্মদ তাদের সাথে লড়লো সেদিনই। তারপরের দিন সে বানু কুরায়জার কাছে তার সৈন্য সামন্ত নিয়ে গিয়ে চুক্তি করার জন্য প্রশ্ন করলে অবস্থা বেগতিক দেখে তারা চুক্তি করে। তারপর মোহাম্মদ তার সৈন্য সামন্ত নিয়ে আবারো বানু নাদিরের কাছে ফিরে গিয়ে আবারও লুট তরাজ শুরু করে যতক্ষন না তারা আত্মসমর্পন করে এবং তারা ঐ এলাকা ছেড়ে যেতে সম্মত হয়। চুক্তির ফলে তারা তাদের উটে করে নিজেদের জিনিসপত্র এবং ঘরের দরজা ও জানালার কাঠ ব হন করে নিয়ে যায়। এরফলে বানু নাদেরের সকল খেজুর গাছ শুধুমাত্র মোহাম্মদের হস্তগত হয় এবং আল্লাহ এগুলো তাকেই দান করে।
তার মানে বানু কুরায়জা মোহাম্মদের সাথে চুক্তি করতে একরকম বাধ্য হয়ে। এবং যখন দেখে কুরাইশ ঘাতাফান সবাই মিলে মোহাম্মদকে নিশ্চিহ্ন করার জন্য এগিয়ে আসে তখনও তারা রাজী হয় নি। তবে হুয়ায়ের অতিরিক্ত জোড়াজুড়িতে গোত্রপ্রধান মৌখিক ভাবে সম্মতি দিলেও এটা বলে যে যদি কুরাইশরা মোহাম্মদকে নিশ্চিহ্ন করতে না পারে তাহলে তাকেও যেনো বানু কুরায়জার ভাগ্য বরন করে নিতে হয়, ক্বাথীরের আহযাবের ২৬-২৭ নম্বর আয়াতের তাফসীর অনুসারে। কিন্তু যুদ্ধ চলাকালীন সময় মুহাম্মদ তার এক গুপ্তচরকে কোরাইশ প্রধান আবু সুফিয়ানের কাছে পাঠালে স্পস্ট তার বয়ানে ফুটে উঠে বানু কুরায়জার অসম্মতি প্রকাশের কথা।
আহমেদ ইবনে হানবলের লেখা মুসনাদের বইয়ের ২২৮২৩ নম্বর হাদিসে পুরোপুরি তুলে দিলাম:
হুতাইফা ইবনে আল ইয়ামান বর্নিত মোহাম্মদ আমাকে বললো,"ও হুতাইফা, যাও এবং কোরাইশ বাহিনীর মধ্যে ঢুকে দেখে আসো ওরা কি করছে এবং একটা শব্দ বলবে না কাউকে যতক্ষন না ফিরে আসো"। তাই আমি ওদের সেনাবাহিনীর মধ্যে ঢুকে পড়ি যখন আল্লাহ ঠান্ডা ঝড়োবাতাস প্রবাহিত করছিলেন ফেরেশতাদের ডানার আঘাতে এবং ওদের সৈন্যরা যা করছিলো আমিও তাই করতে থাকলাম- এবং সব কিছু পরখ করতে থাকলাম তাদের আগুন সহ সবকিছু। তাই আবু সুফিয়ান বিন হার্ব যিনি কিনা প্যাগান কুরাইশদের সেনাপতি এসে দাড়ালেন এবং জিজ্ঞেস করলেন," কে তুমি?" তখন আমি বললাম,"আমি অমুকের ছেলে তমুক (আরবের এক্সপ্রেশনে যার মাধ্যমে কোনো ঘটনার সাথে সাজুজ্জ রেখে কারো ছেলে হয়ে পরিচয় দেয়া)" তখন আবু সুফিয়ান বললো," হে কুরাইশের বাসিন্দা, আল্লাহর কারনে তোমার থাকার জায়গা আর থাকার মতো নাই (অর্থাৎ পরিস্থিতি খারাপ); ঘোড়া, উট ঝড়ে মারা যাচ্ছে, বানু কুরায়জা বিশ্বাসঘাতকতা করেছে আমাদের সাথে, আমরা ওদের কাছ থেকে এমন কিছু পেয়েছি যা আমরা পছন্দ করিনি(তারা তাদের দূর্গের মধ্যে প্রবেশ করতে দেয় নি) এবং এই ঝড় আমাদেরকে খারাপ সময় দিচ্ছে। আল্লাহর কছম, আমাদের বাহিনী দাড়াতে পারছে না, আগুন ঠিকমতো জ্বলছে না এবং কোনো কাঠামোই ঠিক মতো দাড়াতে পারছে না। তাই আমি ফেরার জন্য ফিরে যাচ্ছি।"
তার মানে এই গুপ্তচরের বক্তব্যই স্পস্ট যে বানু কুরায়জা আসলেই কুরাইশদের সাথে তাদের সখ্যতা রক্ষা করেনি। ইবনে ইশহাকের সীরাতের ৬৮৩ নম্বর পৃষ্ঠাতেও একই বর্ননা পাওয়া যায়।
অনেকে আবার বলেন সাফিয়া বিনতে আব্দ আল মুত্তালিব যিনি কিনা নবী মোহাম্মদের ফুপু ছিলেন সেই ঘটনার দিকে আঙ্গুলী নির্দেশ করেন। খন্দকের যুদ্ধে সকল মুসলমান পুরুষ যুদ্ধে চলে গেলে মদিনাতে সকল নারী এবং বৃদ্ধ শিশুরা অরক্ষিত হয়ে পড়ে তখন কবি হাসান ইবনে থাবিতের ফারি দূর্গে সবাইকে রাখা হয়। কিন্তু কবি হাসান ইবনে থাবিত যোদ্ধা ছিলেন না। রাতের বেলা সাফিয়া খুটখাট আওয়াজ শুনলে থাবিতকে বলেন গিয়ে দেখতে। থাবিত ভয় পেয়ে যান। তখন সাফিয়া চরম সাহসিকতায় একটা ড্যাগার হাতে নিয়ে অন্ধকারে গিয়ে দেখেন এক ইহুদী শাল পরিহিত অবস্থায় লুকিয়ে আছে। সাফিয়া তখনই তার সাথে ধস্তাধস্তি শুরু করে এবং গলায় ড্যাগার চালিয়ে জবেহ করে হত্যা করে। ঘটনাটার বর্ননা পাওয়া যায় ইবনে ইস হাকের সীরাতে। তবে সাহাবী ইবনে সা'দের সীরাতে ঘটনাটা খন্দকের যুদ্ধের কথা বলা হয় নি, বলা হয়েছে উহুদের যুদ্ধের কথা এছাড়া এর আর কোনো রেফারেন্স নেই এবং সেই ইহুদী কোন গোত্রের ছিলো তার কোনো বর্ননা নেই। তাই স্বাভাবিক ভাবেই বিনা পরিচয়ে তাকে বানু কুরায়জা ব নাদের বা কাইনুকা গোত্রের সন্দেহ করা সমুচিত এছাড়া মোহাম্মদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করার অনেক গুলো গোত্রই একতাবদ্ধ হয়েছিলো।
কিন্তু খন্দকের যুদ্ধে মীমাংসা শেষ হবার পরও সহী বুখারীর এই হাদিস অনুসারে জানতে পারি আসলে মোহাম্মদ কি চাইছিলেন জিব্রাইলের বার্তার নামে:
আয়শা বর্নিত সা'দ খন্দকের যুদ্ধে আহত হয়ে ফেরে যেখানে হিব্বান বিন আল আরাকা নামের এক কুরাইশ তাকে তীর মেরে আহত করে। হিব্বান ছিলো বানি মাঈস বিন আমির বিন লুয়াই গোত্রের যার তীরের আঘাতে হাতের প্রধান আর্টারী বিক্ষত হয়। মোহাম্মদ সাদের জন্য একটা তাবু খাটায় মসজিদে যাতে সে তার পাশে থেকে দেখা শুনা করতে পারে। যখন নবী খন্দকের যুদ্ধক্ষেত্র থেকে ফিরলো এবং তার অস্ত্র রাখলো এবং গোসল করতে গিয়ে জিব্রাইল এসে তার মাথা ঝাীয়ে ধূলা সাফ করতে লাগলো এবং বললো "তুমি তোমার অস্ত্র নামিয়ে রাখলে?" জিব্রাইল বানু কুরায়জার দিকে আঙ্গুলি দেখিয়ে বললো,"আল্লাহর নামে ওদেরকে আক্রমন করো।" তাই নবী মোহাম্মদ তাদেরকে ঘিরে ফেললো ............
এই বানু কুরায়জা অবরুদ্ধ করে রাখা হয়েছিলো টানা ২৫ দিন।
এর পরে কি হয়েছে সেটা আর না বলে বানু কুরায়জা কোনো উপায়ান্তর না দেখে সা'দকে বিচারকের দায়িত্ব দিতে সম্মতি হয় কারন সা'দ এক সময় তাদের গোত্রভুক্ত ছিলো।
ইবনে ইস হাকের বর্ননায়,"তখন তারা আত্মসমর্পণ করেন এবং নবীজী (সাঃ) তাদেরকে মদিনায় আল হারিসের আবাসস্থলে অবরুদ্ধ করলেন। তারপর তিনি মদিনার বাজারে গেলেন এবং সেখানে পরিখা খনন করলেন। তারপর তাদেরকে নিয়ে আসার জন্য পাঠালেন এবং তাদের মাথা কেটে ঐসব পরিখায় ফেললেন, তাদেরকে শ্রেণীবদ্ধভাবে নিয়ে আসা হয়েছিলো। তাদের মধ্যে আল্লাহ্র শত্রু আখতাব এবং কাব ছিলেন তাদের নেতা। তারা সংখ্যায় ৬০০ থেকে ৭০০ জন ছিলেন, আবার কারো কারো মতে ৮০০ থেকে ৯০০ জন। যাইহোক, তাদেরকে শ্রেণীবদ্ধ ভাবে আল্লাহ্র নবীর কাছে নিয়ে যাওয়ার সময় তারা কাবকে জিজ্ঞেস করলেন, তাদের সাথে কি করা হবে। তিনি জবাব দিলেন, তোমরা কি কখনওই বুঝবে না? তোমরা কি দেখছো না যাদের নিয়ে যাওয়া হচ্ছে তারা ফিরে আসছে না? এটা মৃত্যু! আল্লাহ্র নবী তাদেরকে পুরোপুরি শেষ করে দেওয়ার আগ পর্যন্ত হত্যা চলতে থাকে। হুয়ায়কে আনা হলো একটি কুসুমিত পোশাক পড়িয়ে যার প্রত্যেক অংশে তিনি আঙুলের ডগা আকৃতির ছেঁদ করেছিলেন যেন সেটা নিয়ে যাওয়া না হয়, তার হাত দুটো একটি দড়ি দ্বারা তার গর্দানের সাথে বাধা ছিলো। যখন তিনি আল্লাহ্র নবীকে দেখলেন তখন তিনি বললেন, ‘আপনার বিরোধিতা করার জন্য আমি নিজেকে দোষারোপ করিনা, তবে যিনি ঈশ্বরকে পরিত্যাগ করেন তিনি পরিত্যক্ত হবেন’। তারপর তিনি লোকটির কাছে গেলেন এবং বললেন, ‘আল্লাহ্র আদেশ যথার্থ, বনী ইসরাইলীদের বিরুদ্ধে একটি গ্রন্থ, একটি ফরমান, এবং সর্বসংহার লেখা হয়েছে। তার তিনি বসলেন এবং তার কল্লা কেটে নেওয়া হলো। "
"আল্লাহ্র নবী বানু কুরাইজার কিছু বন্দিনী নারীদের বিন আব্দুল আশহালের ভাই সা’দ বিন জায়েদ আল আনসারির সাথে নজদে পাঠান এবং তিনি তাদেরকে ঘোড়া ও অস্ত্রশস্ত্রের বিনিময়ে বিক্রি করে দেন।"
আল্লাহ্র নবী তাকে তাদের কাছে পাঠালেন, এবং যখন তারা তাকে দেখলেন তারা তার সাথে সাক্ষাৎ করতে প্রস্তুত হলেন। নারী ও বাচ্চাকাচ্চারা কান্নাকাটি করতে করতে তার কাছে গেলেন, এবং তিনি তাদের জন্য দুঃখ অনুভব করলেন। তারা বললেন, ওহে আবু লুবাবা, তুমি কি মনে করো আমাদের মোহাম্মদের ফয়সালার ওপর বশ্যতাস্বীকার করা উচিৎ? তিনি বললেন হ্যা, এবং তার হাত দিয়ে তার গলা দেখিয়ে হত্যার ইংগিত দিলেন।তারপর তিনি তাদেরকে ছেড়ে চলে গেলেন এবং আল্লাহ্র নবীর কাছে ফিরে গেলেন না, তবে নিজেকে মসজিদের একটি স্তম্ভের সাথে আবদ্ধ করে রাখলেন এবং বলতে লাগলেন, যতক্ষণ পর্যন্ত আল্লাহ্ আমার কৃতকর্মের জন্য আমাকে মাফ করে না দিচ্ছে ততক্ষণ পর্যন্ত আমি এই জায়গা ছেড়ে যাবো না এবং তিনি আল্লাহ্র কাছে প্রতিশ্রুতি রাখলেন যে তিনি কখনওই বানু কুরাইজা গোত্রের কাছে যাবেন না এবং কখনওই সেই এলাকায় যাবেন না যেখানে তিনি আল্লাহ্ ও তার নবীর সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করেছেন। ইবনে ইসহাক : ৬৮৬
ক্বাথীরের তাফসীরে,"তারপর আল্লাহ্র নবী (সাঃ) তাদেরকে ভূমিতে পুতে ফেলার জন্য পরিখা খনন করতে আদেশ করলেন। তারপর তাদেরকে নিয়ে আসা হলো এবং শিরচ্ছেদ করা হলো। তাদের সংখ্যা ৭০০ থেকে ৮০০ জনের মধ্যে ছিলো। তাদের নাবালক সন্তান এবং মা বোনদেরকে বন্দী করা হয় এবং তাদের ধনদৌলত জব্দ করা হয়।
মুহাম্মদ হুসায়েক হাইকালের বর্ননায়,"নবী বানু কুরাইজা গোত্রের ধনদৌলত, নারী ও সন্তানসন্ততিদের মুসলিমদের মধ্যে ভাগ করে দিলেন জনসাধারণের উদ্দেশ্যে এক পঞ্চমাংশ ভাগ করে দেবার পর। অশ্বারোহী সৈন্যদের প্রত্যেকে দুটি করে ভাগ পেলো, একটি তার নিজের জন্য এবং অপরটি তার ঘোড়ার জন্য। সেইদিন মুসলিম বাহিনীর অধীনে ৩৬ জন অশ্বারোহী সৈনিক ছিলো। সা’দ ইবনে জায়েদ আল আনসারি মুসলিমদের সামরিক বল বৃদ্ধির উদ্দেশ্যে কিছু সংখ্যক বানু কুরাইজা বন্দি বন্দিনী নজদে পাঠান যেখানে তিনি তাদেরকে ঘোড়া এবং অস্ত্রশস্ত্রের বিনিময়ে বদল করেন।"
আল তাবারীর ভলিউম ৮ এবং পৃষ্ঠা ৩৮ অনুসারে, আল্লাহ্র নবী তাদের সকলকে হত্যা করতে আদেশ করলেন যারা বয়ঃসন্ধিকালে পৌঁছেছে।
যুদ্ধে শিশু হত্যার ব্যাপারে:
স হী বুখারী বর্নিত"নবীজী (সঃ) আল-আবওয়া অথবা ওয়াদ্দান নামক স্থানে আমার পাশ দিয়ে গেলেন এবং তাঁকে জিজ্ঞেস করা হল যে যেখানে নারী এবং শিশুদের বিপদে পড়ার সম্ভাবনা আছে সেখানে পৌত্তলিক যোদ্ধাদের আক্রমণ করা ন্যায়সঙ্গত হবে কিনা । নবীজী (সঃ) উত্তরে বললেন, " তারা (অর্থাৎ নারী এবং শিশুরা ) তাদের (অর্থাৎ পৌত্তলিকদের) থেকেই আগত । "
স হী মুসলিমে বর্নিত: সা'দ বিন জাসসামা বর্ণনা করেছেন যে, তিনি নবজি(সঃ) কে বললেন," আল্লাহর রাসুল, আমরা রাতের আক্রমণগুলোতে মুশরিকদের শিশুদের হত্যা করি ।" তিনি বললেন ," তারা তাদের থেকেই আগত ।"
কোরানের অহিংস বার্তা নিয়ে আসল তথ্য:
আমরা অনেকেই কোরানের মায়িদাহর ৩২ নম্বর আয়াতের উল্লেখ এভাবে করি: একজনকে হত্যা করে সে যেন সব মানুষকেই হত্যা করে। এবং যে কারও জীবন রক্ষা করে, সে যেন সবার জীবন রক্ষা করে।
কিন্তু পুরো আয়াতটা হলো: এ কারণেই আমি বনী-ইসলাঈলের প্রতি লিখে দিয়েছি যে, যে কেউ প্রাণের বিনিময়ে প্রাণ অথবাপৃথিবীতে অনর্থ সৃষ্টি করা ছাড়া কাউকে হত্যা করে সে যেন সব মানুষকেই হত্যা করে। এবং যে কারও জীবন রক্ষা করে, সে যেন সবার জীবন রক্ষা করে। তাদের কাছে আমার পয়গম্বরগণ প্রকাশ্য নিদর্শনাবলী নিয়ে এসেছেন। বস্তুতঃ এরপরও তাদের অনেক লোক পৃথিবীতে সীমাতিক্রম করে।
যদিও ইহুদীদের এক্সোডাস ২১:২৪ এ স্পস্ট বলা আছে An eye-for-eye and tooth-for-tooth would lead to a world of the blind and toothless.
এখন দেখি কোরানের মায়ীদাহর এই আয়াতের শানে নযুলে ক্বাথীরে কি বলা আছে The Ayah states, whoever kills a soul without justification -- such as in retaliation for murder or for causing mischief on earth -- will be as if he has killed all mankind, because there is no difference between one life and another.
অর্থ দাড়ায় আপনি কোনো কারন ছাড়া বিশৃঙ্খলার উদ্দেশ্যে হত্যা করলে সেটা অপরাধ বলে গন্য হবে। এখন কথা হলো সেই "কারনটা " কি। একটু নীচে গেলে পাবেন সা'দ ইবনে জুবাইর বলেছেন," যে একজন মুসলমানের রক্তক্ষরনে সমর্থন করে, সে যেনো পুরো মানবজাতীর রক্তক্ষরনে সমর্থন দিলো। যে একজন মুসলিমের রক্তক্ষরন বন্ধ করবে সে যেনো পুরো মানবজাতীর রক্তক্ষরন বন্ধে কাজ করলো।"
তার মানে এই কথাটা শুধু মুসলমানদের জন্যই প্রযোজ্য কারন নবী মোহাম্মদ এই উদ্দেশ্যেই আয়াত ডাউনলোড করছেন।
আপাতত এতটুকুই .....আলোচনার প্রয়োজনে ধর্ষন, গনহত্যা নিয়ে আরো আলোচনা করা যাবে যেখানে ইসলামপন্থীদের বক্তব্য তুলে ধরার চেস্টা করবো। পোস্ট বড় হয়ে গেছে
চলবে..................
সর্বশেষ এডিট : ১৩ ই জানুয়ারি, ২০২০ রাত ১২:৫০