মাওলানা তেতুল মিয়া এবং প্রচলিত বর্বর ইসলামিক আইন-১
প্রচলিত বর্বর ইসলামী আইন এবং অপরিপক্ক গাধার মূলা ইসলামী অর্থনীতি-২
১.
সুইডেনে আসার পর মেলা মানুষের সাথে রুম শেয়ার করছি। ছাত্রাবস্থায় ঘুম থিকা পয়লা উইঠাই মাথায় ঘন্টা বাঁচতো টাকা কেমনে বাচান যায়। তাই এক রুমে ২ জন তিনজন কখনো একলাও থাকছি। তো কালের আবর্তে রুমে এক আফ্রিকান উঠলো আরেক উঠলো স্বদেশী। তো আফ্রিকান পোলাটার সাথে পয়লা দিন পরিচয় হইয়াই জানবার পারলাম হালায় নাকি এলাকার মসজিদের পেশ ইমাম। শুইনা থ হইয়া যাই। এই চ্যাংড়া কালু ইমাম সেইডা তো খেয়াল করি নাই। নামাজ পড়তে গেলে ইমামের দিকে কুনো দিন তাকাই নাই। সবার লাস্টে গিয়া লাস্টের কাতারের লাস্টের দিকে দাড়াই যাতে কইরা নামাজ শেষ হওয়া মাত্র আমি পল্টি দিতে পারি। তো একদিন সাহস কইরা সামনের কাতারে দাড়াইয়া দেখি হালায় আসলেই ইমাম।
রুমে বইসা কুনো কাম আছিলো না। কম্পিউটার সায়েন্সে পড়লেও ল্যাপী জীবনে খুলছে কিনা সন্দেহ। সারাদিন ফুনে কুন জায়গার কুন ছোলিমের কি সমস্যা তারে সমাধান কয়। সারাদিন বক বক। তো স্বদেশী রুম মেট মেলা ক্ষেপা। ঘুমাইলেও শালার মশলা থামে না।
তো একদিন রুম মেট কয়,"ভাই, একটা বিচার করেন।"
: কি হইছে?
: হালায় টয়লেটে খাড়াইয়া মুতে।
: কন কি? হালায় ইমাম, খাড়াইয়া মুতে কেন?
রুমে আমার শরীর অপেক্ষাকৃত পেটানো থাকায় আমিই মাতব্বর আছিলাম। ওমনি তৎক্ষনাত ইংলিশে কওয়া শুরু করলাম,"বটু, ফুন রাখ?"
: কি হইছে আলি?
: শুট ইউর আলি এ গুল্লি। কমোডে বলে খাড়াইয়া মুতোস? তুই না ইমাম? তুই করছোস কি? তুই তো নাফরমান হইয়া গেছস। তোর মতো নাফরমানের পিছে আমি নামাজ পড়ি ভাবতেও আমার বমি আসতেছে!
: এহ! খাড়াইলে মুতলে নাফরমান হয় কইছে কেডায়?
: খাড়া, অখনি রেফারেন্স খুজতেছি!
খালি মনে আছে কুটিকালে ইসলাম শিক্ষায় পড়ছিলাম খাড়াইয়া মুতা নাকি ইসলামে নিষিদ্ধ, কারন শয়তানও নাকি তখন খাড়াইয়া মুতে। বুখারী শরীফ, তিরমিজি, কোরান, সব ঘাটলাম। এমুন কি একজায়গায় পাইলাম নবীজি সাঃ ও নাকি খাড়াইয়া মুতছে। তয় কিছু তরিকা আছে। তরিকা মতো মুতলে জায়েজ। আমি একবার ডাইনে তাকাই আরেকবার বায়ে তাকাই।
: বটু, ইসলামে কি কইছে এইডা কথা না, কথা হইলে খাড়াইয়া মুতলে ছিটা আসে এইটা আসল কথা।
: কই ছিটা আসছে আমারে দেখাও। আমি খুব সাবধানেই মুতি।
এইবার স্বদেশীর দিকে তাকাই। হালায় কানে হেডফোন লাগাইছে। জোরতে কেশা বিবির গান শুনতেছে। যন্ত্রনায় পড়লাম। লাস্টে কুটিকালের ইসলাম শিক্ষা আমারে ব্লাফ মারবো হেইডা জীবনেও ভাবি নাই!
২.
বিজ্ঞান কি বলে বাল্যবিবাহ নিয়া ?
বাংলাদেশ দক্ষিন এশিয়ার মধ্যে বাল্যবিবাহের জন্য চ্যাম্পিয়ন। যদিও পুরো বিশ্বে আরবের মুসলমানরা বাল্যবিবাহরে পেডোফিলিয়ার পর্যায়ে নিয়া গেছে। আফ্রিকানরা যেইটা করে সেইটা হইলো তারা অন্ধকারে পতিত শিক্ষা দীক্ষা নাই। কিন্তু আরবীগুলানের শিক্ষা থাকা সত্বেও তারা বাল্যবিবাহরে পেডোফিলিয়ার পর্যায়ে নিয়া গেছে।
যাই হোক তার আগে দেখি বিজ্ঞান কি বলে:
প্রিকোশিয়াস পুবার্টি: প্রিকোশিয়াস পুবার্টিনামটা কঠিন হইলেও সোজা বাংলা্য যেসব মাইয়াদের পিরিয়ড হয় অতি অল্প বয়সে সেটারে বলে প্রিকোশিয়াস পুবার্টি। অল্প বয়স বলতে ১০ বছরের নীচে। এর কারন অনেক তবে একে দুই ভাবে ভাগ করা যায়। যদি কারন গুলো পিটুইটারী গ্রন্থি রিলেটেড হয় তাইলে তাকে বলে কেন্দ্রিয় কারন।
কেন্দ্রীয় কারন গুলোকে এভাবে সাজানো যায়:
ক) মস্তিষ্কের নিবারকমূলক কাজ যে অংশ সম্পাদন করে তাতে সমস্যা (ট্রমা, ইনফেকশন, রেডিয়েশনের কারনে) হলে
খ) মস্তিষ্কের নিউরন সেলে যদি হাইপোথেলামিক হামারটোমানামক নন ক্যান্সারাস টিউমার হইলে
গ) চামড়ায়ল্যাঙ্গারহ্যানস সেল হিস্টিওসাইটোসিস হইলে
ঘ) চামড়ায় ম্যাকিউন- অলব্রাইট সিনড্রোমদেখা দিলে
তবে উন্নয়নশীল দেশে কেন্দ্রিয় প্রিকোশিয়াস পুবার্টি হয় বেশীরভাগ সেন্ট্রাল নার্ভাস সিস্টেমে যদি ইনফেকশন (টিউবোরকিউলোসিস) হয়।উন্নত দেশে অনেক সময় অবেসিটি এবং অতিরিক্ত অসম্পৃক্ত চর্বি এবং ডায়েটের কারনেও এটা হতে পারে। আরও অনেক কারন আছে যেগুলো লেখলাম না।
জার্নাল ঘাটাঘাটি কইরা পইড়া লন।
কেন্দ্রিয়র পর আরেকটা হইলো পারিপার্শ্বিক। যদি অস্বাভাবিক কোনো উৎস হতে সেক্স স্টেরয়েড বেশী নিঃসরিত হয় তাইলে এইটা হইতে পারে। রক্তে কর্টিসেলের মাত্রা খুব কম থাকে আর এন্ড্রোজেনের মাত্রা থাকে।
কারন সমূহের মধ্যে:
ওভারীতে টিউমারহইলে, এড্রিনালিন হরমোনগ্রন্থিতে টিউমার হইলে, ওভারীর আশেপাশে জীবানুজমে টিউমারের সৃষ্টি করলে, জীন মিউটেশনের কারনে দেহের মধ্যে থাকা এনজাইম সমূহ যদি এড্রিনালিন গ্রন্থির কারনে কোলেস্টেরল থেকে কর্টিসেলে পরিণত হয় তখন দেহে কনজেনিটাল এড্রিনাল হাইপারপ্লাশিয়া দেখা দেয় এর কারনে।
এখন কথা হলো এই প্রিকোশিয়াস পুবার্টি অনেকটা এসব রোগ আর এবনরমাল কারনে হতে পারে। আবার দেখা যায় যেসব শিশুরা ছোটবেলা থেকে নিকটাত্মিয়দের কাছে সেক্সুয়াল এবিউজের শিকার হয় তাদের সেক্স স্টেরয়েড খুব বেশী পরিমানে নিঃসরিত হয় তার ফলেও এটি ঘটে। সমস্যা হলো পুবার্টি হয়ে গেলে ওভারী, বুক, শারীরিক গঠনে এগিয়ে গেলেও তার হাড়ের গঠন বৃদ্ধি বন্ধ করে ম্যাচুরিটিতে চলে আসে। ফলে সে খর্বকায় হয়। মানসিক ভাবে অপরিপক্কতা বিরাজ করে, এবং শরীরের অন্যান্য অন্ত্র এসব পরিপক্ক গ্রন্হিদের সাথে খাপ খাওয়াতে পারে না। ফলে শরীরে প্রজননতন্ত্র গত সমস্যা লেগেই থাকে।
ফলে যেই মেয়ে এমনেই এসব জটিলটা ব হন করে তাকে যদি নিয়মিত যৌনমিলনের মাধ্যমে অন্তঃসত্বা বানিয়ে দেয়া হয়, তাহলে তার কি হতে পারে সেটা নীচে বলি!
পেলভিক ফ্লোর!
কোমড়ের হাড়ের বৃদ্ধি যথাযথ না হওয়ায় যখন বাচ্চাটাকে ব হন করে তখন তার কোমড়ে প্রচুর প্রভাব পড়ে। ফলে বয়স যখন ২৫-২৬ হবে তখন সে খুব স হজেই অস্টিরিওপোসিস মানে হাড় ক্ষয় রোগে আক্রান্ত হবে। অনেক সময় আমরা দেখি একজন স্বাস্থ্যবতী মহিলা হাটতে হাটতে হঠাৎ পড়ে গিয়ে পায়ের হাড় ভেঙ্গে ফেললো। পরে এক্সরে করে দেখা গেলো তার পায়ের হাড় গুলো ক্ষয় ক্ষয় হতে সরু হয়ে গেছে। এমনকি গ্রামে অনেকে লাঠিতে ভর করে পুরো কুজো হয়ে হাটে। কারন তাদের কোমড়ের হাড্ডি ভেঙ্গে গেছে। অনেকে ৩০ এর পরই আজীবন পঙ্গুত্ব এবং গেটোবাতে ভুগতে থাকে।
সূত্র: লাইভ সায়েন্স
ফিস্টুলা।
অল্প বয়সে (ধরা যাক ৯ বছর বয়সে, কিছু স্টাডিতে ১২-১৩ বছর বয়সেও বলা আছে) গর্ভবতী হলে যখন শিশুটির ডেলিভারীর টাইম আসে তখন ভ্যাজিনা দিয়ে বের হবার সময় ভ্যাজিনার ওয়াল আর রেকটাম বা ব্লাডারের ওয়ালের মধ্যবর্তী স্থানে একটা গর্তের সৃষ্টি করে। এমন সময় অনেক মেয়েই পিচকি জন্ম দেবার সময়ই মারা যায়। যারা বেচে যায় তখন দেখা যায় পিচকির মাথাটা যখন ঠেলা দেয়া হয় তখন গর্ত সৃষ্টি হলেও সেটা খুব বেশী বড় না হওয়ায় আটকে যায়। তখন ঠেলাঠেলির চাপের পিচকির মাথার কিছু অংশ আর মায়ের পেলভিক ফ্লোরের নরম টিস্যু ছিড়ে যায়।তখন মেয়েটির টয়লেটের জিনিস আর প্রস্রাব সেই গর্ত দিয়ে চলে যায় যা একটা ভয়ংকর পরিস্থিতির সৃষ্টি করে পরে যা ভ্যাজিনা দিয়ে বের হয়ে যায় (ভাই, এই ব্যাপারটা আমার লিখতেই শরীরে গায়ের রোম খাড়া দিয়ে উঠতেছে কত ভয়াব হ একটা ব্যাপার)। এর পরেও যদি মা আর পিচকি বেচে থাকে মায়েদের এই সমস্যা আর স হজে ছাড়ে না। এবং তারা মেন্টালি আর ফিজিক্যালি ধ্বংস হয়ে যায় এবং অনেকের বিয়েও ভেঙ্গে যায়। তারপরও কি বলবেন বাল্যবিবাহ দরকার?
যদি দরকার হয় তাইলে আরও নীচে পড়েন।
পুচকি যখন কয়েক সপ্তাহ হয় মায়ের পেটে তখন সে মায়ের খাবার ভাগ বসায়। তখন দেখা যায় মায়ের প্রেসার ৫০ শতাংশ বেড়ে যায় যা হার্টের ওপর চাপ পড়ে। পিচকি তখন মায়ের ক্যালসিয়াম আর পুস্টিতে ভাগ বসাইলে যেখানে মা নিজেই শারীরিক বৃদ্ধিতে আছে সেখানে যদি এমন একটা ভাগ বসায় তাহলে মা ও শিশু দুইটাই অপুস্টিতে ভুগে। সবচেয়ে বড় সমস্যা ফলিক এসিডে যার ফলে অল্প বয়সী মায়েদের পোলাপান একটু বেশী ভোদাই হয়। আর জাতী হিসেবে কেন আমরা গবেষনায় পিছিয়ে সেটা এই একটা মাত্র কারনে, আমাদের ব্রেন ঠিক মতো ডেভেলপই হয় নাই! এছাড়া মেয়ের কার্ডিওভাসকুলার সিস্টেমে এমন প্রেসার পড়ে যে মেয়েটা যৌবন পার হবার আগেই হার্টের নানা সমস্যায় পতিত হয়।
এছাড়া ফেলোপিয়ান টিউব যখন এমব্রায়ো ব হন করে তখন এর অপরিপক্কতার কারনে এর মধ্যে থেকে একটোপিক প্রেগনেন্সিঘটাতে পারে। এমন সময় যদি ইনফেকশন (ক্লামিডিয়া ইত্যাদি) দেখা দে্য তখন শিশুটি পরিপূর্ন হবার আগেই সর্বনাশ হইতে পারে,। আর যদি বলেন প্রেগন্যান্ট করুম না, খালি স হবসকরুম, তাইলে বলতে হয় পিচকি মেয়েটার শরীরিক রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম থাকায় দৈবিক স হবসের কারনে এসটিডিতে আখ্রান্ত হবার সম্ভাবনা প্রচুর থাকে। ক্লামিডিয়া তেমনি একটা প্রানঘাতি যার ফেল ফেলোপিয়ান টিউবে ইনফেকশন খুব দ্রুত ঘটতে পারে।
আমি আর বাচ্চার কি সমস্যা হতে পারে সেটা নিয়ে আর গেলাম না। কারন এটা স হজেই অনুমেয় যেখানে মায়ের জীবনের এমন ঝুকি সেখানে বাচ্চাটা মরে কি বাচে তার নাই ঠিক। তাই স্বাদঃীনতা পূর্ববর্তি আমাদের শিশুমৃত্যু আর মাতৃমৃত্যুর হার ছিলো খুবই বেশী।এখন যেটা আফ্রিকাতে বিদ্যমান।
ইসলাম কি বলে?
আসেন কিছু কোরানে আয়াত দেখি:
সূরা আন নুর আয়াত ৫৯:
وَإِذَا بَلَغَ الْأَطْفَالُ مِنكُمُ الْحُلُمَ فَلْيَسْتَأْذِنُوا كَمَا اسْتَأْذَنَ الَّذِينَ مِن قَبْلِهِمْ كَذَلِكَ يُبَيِّنُ اللَّهُ لَكُمْ آيَاتِهِ وَاللَّهُ عَلِيمٌ حَكِيمٌ
তোমাদের সন্তান-সন্ততিরা যখন বায়োপ্রাপ্ত হয়, তারাও যেন তাদের পূর্ববর্তীদের ন্যায় অনুমতি চায়। এমনিভাবে আল্লাহ তাঁর আয়াতসমূহ তোমাদের কাছে বর্ণনা করেন। আল্লাহ সর্বজ্ঞ, প্রজ্ঞাময়।
(অনুবাদ)
এই আয়াত অনুসারে বোঝা যায় বয়োপ্রাপ্ত কথাটা হইলো যখন আপনে বা যেই হোক পুরাপুরি বয়োঃপ্রাপ্ত না হবেন তাইলে বিয়া করনের অনুমতি চাইতে পারেন না। এছাড়া অনেক আয়াতেই বলা আছে যখন আপনি পুর্ন শক্তির অধিকারী না হবেন। স্বভাবতই এইটা পোলাগো ব্যাপারে বলা আছে।
কিন্তু সমস্যা বাজে এই এই আয়াতে: সূরা আত্ব-ত্বালাক্ব (মদীনায় অবতীর্ণ), আয়াত ৪
وَاللَّائِي يَئِسْنَ مِنَ الْمَحِيضِ مِن نِّسَائِكُمْ إِنِ ارْتَبْتُمْ فَعِدَّتُهُنَّ ثَلَاثَةُ أَشْهُرٍ وَاللَّائِي لَمْ يَحِضْنَ وَأُوْلَاتُ الْأَحْمَالِ أَجَلُهُنَّ أَن يَضَعْنَ حَمْلَهُنَّ وَمَن يَتَّقِ اللَّهَ يَجْعَل لَّهُ مِنْ أَمْرِهِ يُسْرًا
তোমাদের স্ত্রীদের মধ্যে যাদের ঋতুবর্তী হওয়ার আশা নেই, তাদের ব্যাপারে সন্দেহ হলে তাদের ইদ্দত হবে তিন মাস। আর যারা এখনও ঋতুর বয়সে পৌঁছেনি, তাদেরও অনুরূপ ইদ্দতকাল হবে। গর্ভবর্তী নারীদের ইদ্দতকাল সন্তানপ্রসব পর্যন্ত। যে আল্লাহকে ভয় করে, আল্লাহ তার কাজ সহজ করে দেন।
(অনুবাদ)
এখন স্বভাবতই বোঝানো যাচ্ছে এটা মেয়েদের ব্যাপারে আর বোল্ড করা অংশটা হইলো ঐসব মেয়ে যাদের এখনও ঋতুচক্র শুরু হয় নাই তাদেরকে বিয়ে করাটা জায়েজ কিন্তু মিলনের ব্যাপারে একটু বাধা নিষেধ আছে। তার মানে কোরানে বাল্যবিবাহ জায়েজ।
আর তাই নীচের স হী হাদীসে আমাদের মহানবী (সাঃ) এর আয়েশা (রাঃ) কে বিয়ে করার ঘটনা
Narrated 'Aisha: that the Prophet married her when she was six years old and he consummated his marriage when she was nine years old, and then she remained with him for nine years (i.e., till his death). —Sahih al-Bukhari, 7:62:64
অনেকেই ত্যানা পেচায়া চান তারা দেখাইয়া আয়েশা রাঃ রে ১৯ বানাইতে চায় কিন্তু লাভ নাই। সত্য এইটাই ইসলামে বাল্যবিবাহ জায়েজ।
সমাজ কি বলে?
বাঙ্গালী সমাজ কি বলে তার আগে দেখি আরবের সমাজে কি হয়।
ইয়েমেনে সরকারী ভাবে ১৯৯৯ সালের আগ পর্যন্ত মাইয়াদের বয়স রাখা হইছিলো ১৫-১৬। কিন্তু পরে উত্তর দক্ষিন ইয়েমেন একীভূত হবার পর মেয়েদের এই বয়সের কোঠা উঠায়া দেয়। ফলে সবাই স্বতঃস্ফূর্ত ভাবে ৬ থেকে ৮ এর মধ্যে ধরে নেয় যেটা সরকারীভাবে কোনো দন্ডনীয় অপরাধ নয়। এখন কেউ যদি ৫ বছরের মেয়েো বিয়ে করেন, ইয়েমেনের পুলিশ আপনাকে কিছুই বলবে না। ফলে এরকম ঘটনা মাঝে মাঝেই ঘটে। কন্যার বয়স ৮ আর পোলার বয়স ৪০, বাসর রাতে উপর্যুপরী মিলনের সময় আভ্যন্তরীন রক্তক্ষরনে মাইয়া মইরা যায়। এরকম ঘটনা প্রতিদিন ঘটে। গরীব বাপ মা বিয়া দেয় সোয়াবের আশায়, মাইয়া মরে শহীদের আশায়। এইটা একটা উদাহরন দিলাম। এরম ঘটনা মেলা আছে।
আফগানিস্তানে মিনিমাম ১৫ থাকলেও জিরগা সিস্টেমে ৫ থেকে ৮ বছরের মাইয়া বিয়া হয় অহরহ। ইরানে মাইয়া ১৩ আর পোলা ১৫ হইলে বিয়া করতে পারে। তয় বাপ যদি চায় মাইয়ারে ৯ বছর বয়সেও বিয়া দিতে পারে। সৌদিতে ৯ বছরের মাইয়া বিয়া দেয়া সরকারী ভাবে স্বতঃসিদ্ধ।
পরিসংখ্যান:
এইবার আসি পরিসংখ্যানে। বিজ্ঞান তো মেলা কথাই কয়। কয়টা প্রতিষ্ঠিত আর কয়টা সত্য হয়? কথা ঠিক।
স্বাস্হ্য: ১৫-১৯ বছর বয়সের মাতৃমৃত্যুর হার ২০ বছরের উপ্রে মায়েদের মাতৃমৃত্যু হারের দ্বিগুন। আর ১৫ বছরের নীচে হইলে ৭ গুন বেশী। তার মানে বয়স যতো কমবে, সন্তান জন্ম দেবার সময় মরনের চান্স তত বেশী! ১৮ বছরের নীচে পিচকি জন্ম দিতে গিয়া দেখা যায় ৩৫ থিকা ৫৫% শতাংশ কম ওজনের শিশু জন্ম দেয়যা শিশুর জন্য মারাত্মক জটিলতার সৃষ্টি করে এবং জীবনের ঝুকির মধ্যে ফেলে।
এছাড়া এই বাল্যবিবাহ সংসারের অশান্তি, স হিংস নির্যাতন, দারিদ্র্য, উন্নয়নে বাধার সাথে সরাসরি কাজ করে যেগুলো দিয়ে এই পোস্ট আর বড় করতে চাচ্ছি না।
এখন কিছু প্রশ্ন:
১) পোস্টের টাইটেলে বর্বর প্রচলিত ইসলামিক আইন কেন?
উত্তর: কারন আমরা যুগ যুগ ধরে দেখে আসছি এই হাদিস কোরান দেখাইয়া বাল্যবিবাহ সমানে চলতাছে। ফলে আমাদের দেশ জাতী পুরাই অথর্ব হইয়া গেছে। জনসংখ্যার সাইজ আর অশিক্ষা কুশিক্ষা, অপুস্টি কুনটা নাই দেশে। অথচ প্রচলিত এই বর্বর ইসলামিক আইন গুলা যেসব দেশে নিয়ন্ত্রন করছে তারা জনসংক্যা সাইজে রাইকা দেশটারে সুন্দর সাজাইছে।
২) আপনে নাস্তিক?
উত্তর: জ্বি না। আমি প্রাকটিসিং মুসলমান যদিও ইদানিং সেটা করা হয় না। যেটা গুনাহের কাজ। তবে নবিজী সাঃ কেন এটা করলো এটার ব্যাখ্যা আমার কাছে নাই। যেসব ব্যাখ্যা আলেমরা দেয় মন চায় জুতা মারি। ছেলে ভুলানো ব্যাখ্যা আমার পছন্দ না। দ্বিতীয় কথা আমার মতামত ইসলামে এটাকে আইন করে নাই, বরংচ স্বতঃস্ফূর্ত করছে। কিন্তু অন্যান্য দেশে শরীয়াহ আইন কইরা যেমনে পালন করছে এটা বর্বরতা। কিন্তু প্রশ্ন থেকে যায় ইসলাম যদি সার্বজনীন শান্তির ধর্ম হয় তাহলে কিভাবে এমন ভয়ানক আর হঠকারী কাজের অনুমতি দেয় যাতে করে প্রানহানি স হ সামাজিক বিশৃঙ্খলা ঘটে?
কমেন্টে আলোচনা কাম্য!
ঠ্যাংলিখা: আমি ডাক্তার না, এমনকি ম্যাট্রিকে আমার বায়োলজী পর্যন্ত আছিলো না। কিন্তু আজ পর্যন্ত দেখলাম না কোনো ডাক্তার বৈজ্ঞানিক দৃস্টিকোন এবং এনাটমি দিক থেকে বাল্যবিবাহের ক্ষতিকর দিক নিয়া লেখছে। তারা যদি লেখতো আরও ভালোভাবে নির্ভুলভাবে লেখতো। যাই হোক, আমার জানা আর বোঝায় ভুল থাকতে পারে। কমেন্টে শুধরে দেবেন আশা করি! বাল্যবিবাহ প্রতিরোধ করা আমাদের অতীব কর্তব্য হওয়া উচিত!
সর্বশেষ এডিট : ০৭ ই মার্চ, ২০১৯ ভোর ৫:২০