মেজাজ গরম হইয়া রানতে শুরু করলাম, মাগার একখান ঝামেলা হইছে, তরকারীতে লবনের বদলে চিনি দিয়া দিছি। মনখান চাইলো আকাশে উইড়া যাই। কিন্তু সমস্যা হইলো যদি পানির কামান লাগাইয়া রকেটের মতো উইড়া যাইতে হয় তাইলে সেকেন্ডে ৫ গ্যালন পানি সজোরে মাটিতে ছাড়তে হইবো। এত পানির ডিব্বা কই পামু?
যাই হোউক, আমাগো এই পুরা দুনিয়াটাই আমার কাছে খাসীর মাংসই লাগে। নানান রকমের মশলা দিয়া পাকানো এই দুনিয়ার খাসীর মাংস।নাহ....ক্ষুধা লাইগা গেলো।
দুনিয়া আসলে কি দিয়া তৈরী সোজা হিসেবে কইতে গেলে এনার্জী দিয়া তৈরী। এনার্জীগুলান তন্তুকারে বিভিন্ন ভাবে প্যাকেট আকারে আটকায় যায় এবং বিভিন্ন রকম কনার মতো আচরন করে। এগুলো হইলো মৌলিক কনা। মানে এই কনা গুড়া করলে আপনে খালি এনার্জী পাইবেন। যদি বেশী পরিমানে ফাটান তাইলে এটম বোমার মতোন ফাইটা যাইতে পারে, তাই সাবধান।
তো কি কি কনা দিয়া তৈরী এইটা দেখতে হইলে আপনের সামনে যেইটা দাড়াইবো সেইটা হইলো স্ট্যান্ডার্ড মডেল। অনেকে হয়তো স্ট্যান্ডার্ড মডেল কারে কয় সেইটাই বুঝে না।
সোজা ভাষায় বুঝাই, যীশু খ্রিস্ট পয়দা হওনের মেলা আগে থিকাই জ্ঞানী গুনী আতেলরা মনে করতো সবকিছু চারটা জিনিস দিয়া তৈরী। মাটি পানি বায়ু আর আগুন।
এরপর যীশুখ্রিষ্ট পয়দা হইলো, তার ধর্মের বানী প্রচারের ঠেলায় রোমবাসীর কান পইচা যায়, ব্যাটারে ক্রুশে ঝুলায়। এরপর ইসলাম ধর্ম আসে। নানা কাহিনী বেকাহিনী নিয়া নানা কিছু হয়। যাই হোউক, আজকা থিকা কয়েকশ বছর আগে মেন্ডেলীফ নামের এক ভদ্রলোক একটা তালিকা দিলো যারে কই আমরা পর্যায় স্মরনী।
আমার মনে হয় বাংলাদেশে এমুন কোনো বান্দা নাই যে কেমিস্ট্রি পড়তে গিয়া এই জিনিসটার মুখোমুখি হইতে হইছে। তাও তো এখনকার পোলাপান গো সাত জনমের ভাগ্য যে এগুলা মুখস্হ করতে হয় নাই। আমাগো সময় ক্লাস নাইনে উঠলে যদি কোনো বান্দা সায়েন্স নেয় তার পর্যায় স্মরনী মুখস্হ করন ফরজে আইন হইয়া যায়।
যাই হোউক, পর্যায় স্মরনী হইলো মৌলিক পদার্থে নাম যা দিয়া এই দুনিয়ার তাবৎ কিছু তৈরী। কিন্তু মানুষ দিন দিন এমুন ট্যাটনা হইছে যে পর্যায় স্মরনী দিয়া তাগো পেট ভরে নাই। ট্যাটনা পাবলিক ল্যাবে বইসা ডাইল খাইয়া এইসব মৌলিক পদার্থে ইজ্জতে হানা দিছে। ইজ্জতে হানা দিয়া এগুলারে গুড়া কইরা এর ভিতর থিকা ইলেক্ট্রন প্রোটন নিউট্রন ঘরের বৌ পর্যন্ত বাইর কইরা ফেলাইছে। কন তো কামডা কি ঠিক হইলো?
খালি এইটাই না, ঐ ইলেক্ট্রন প্রোটনরেও গুড়া করলো। গুড়া করতেই থাকলো। তারপর সর্বশেষ এমুন কনিকা বাইর করলো যা দিয়া এই সব অনু পরমানু গঠিত হইছে। এইসব মৌলিক কনিকার তালিকাই বলে স্ট্যান্ডার্ড মডেল। তো এই কনিকা গুলান মানুষ গুড়া করতে করতে বাইর করে নাই।
প্রথমে মঘা বিজ্ঞানীরা ক্যালকুলেশন করলো। গ্লাসগো শ্যালডন নামের একজন ট্যাটন এই কামটা শুরু করে আর ফাইনম্যান সেইটারে লাই দেয়। দেখেন ইকোয়েশনের সাইজ দেখেন। ওরে সামনে পাইলে পুরো চৈত মাসের ঠাডা রোইদে খাড়া করাইয়া কইতাম ক নিজে নিজে কি লেখছোস!!!!
পরিস্কার কইরা দেখার জন্য!
কেমনে ডেরিভেশন হইলো সেইটা জানার জন্য এই বই!
যাই হোউক, স্ট্যান্ডার্ড মডেলই যখন সবকিছু তাইলে কওন যায় এইটা দিয়াই সবকিছুর ব্যাখ্যা দেওন সম্ভব। কিন্তু সমস্যা হইলো এই মডেলে গ্রাভিটির কুনো কথা নাই, নিউট্রিনোর ওসিলেশন আর ডার্ক ম্যাটার নিয়া কুনা উচ্চবাচ্য নাই। আফসোস কি বাত। এত বড় একখান ইকোয়েশন তাও এই তিনখান বাদ পড়ছে। যদি এই তিনখান যোগ হয়, তাইলে এইটার সাইজ কত হইবো?
তাও ট্যাটনারা গ্রাভিটির জন্য একখান কনিকা ক্যালকুলেশন করছে সেইটা হইলো গ্রাভিট্রন। ডার্ক ম্যাটারের জন্য নিউট্রিনোর দিকে নজর রাখতেছে আর আরেকটা কনিকার কথা ভবিষ্যদ্বানী করতে সেইটা হইলো নিউট্রালিনোস।
যাই হোউক, এই তিনখান কুশ্চনের উত্তর পাইলে মোটামোটি থিওরী অব এভরিথিং সম্পর্কে আমরা ধারনা পামু। এখন কথা হইলো এইটা দিয়া কামটা কি?
কাম কিছুই না, ট্যাটনাগো মাথায় ভূত চাপছে যে দুনিয়ার সবকিছুর ব্যাখ্যা একটা ইকোয়েশনের মাধ্যমে কইয়া দিবো। আমাগো ভূত ভবিষ্যত, বর্তমানের সকল প্রশ্নের এমনকি অমরত্বও হইতে পারে এমনকি অসীম শক্তির অধিকারীও হইতে সাহায্য করতে পারে!
যেহেতু ট্যাটনা গো নিয়ত খুবই মহৎ সেহেতু এগো বাতচিত শুনতে সমস্যা কি?
আমার তো ভালো লাগে!
সর্বশেষ এডিট : ০৯ ই জুন, ২০১৬ রাত ১:২২