somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

সার্নের হিগস বোসন এক্সপেরিমেন্টে ৫ সিগমার কাহিনী কি?

১১ ই জুলাই, ২০১২ রাত ১০:০২
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

হিগস বোসন নিয়া সবাই লেইখা ফাটায় ফেলতাছে। ভালো দিক। ক্যাচালের পোস্ট পয়দা না কইরা বিজ্ঞান বিষয়ক লেখা আসলেই ভালো দিক।

আমরা সবাই জানি হিগস বোসন খুজনের লিগা আকাম হইছে এবং কোলাইডার গুলায় যেই কনিকার দিকে সবার নজর তার চালচলন সব হিগসীর মতোই। সার্নের লোকজন সবাই এইটারে হিগসী বইলা ডাকন শুরু করলেও সন্দেহবাদীরা এখনও সময় নিতেছে। সময় নিতে থাক, কারন একটা জিনিস নিয়া যতো বেশী গবেষনা হবে ততবেশী সেইটা নিয়া কাজ হবে। তবে সার্নের লোকজনও বইসা নাই। টেভাট্রনের উপর হিগসীরে নিয়া আরও কাজ করনের জন্য নির্দেশনা দিয়া এখন বাকী কোলাইডার গুলান ডার্ক ম্যাটার আর ডার্ক এনার্জী নিয়া কাজ শুরু করবো। সেই জন্য টিউনিং কেমন হবে সেইটার রূপ রেখা তৈরী করন শুরু হইছে। হিগসী যদি আসলেই না হয় তাইলে এইসব আরও পরবর্তী পরীক্ষাগুলাতেই ধরা খাবে!

যাই হোউক, এই হিগসীরে খুজতে গিয়া যে কথাটার দিকে সবাই আগে নজর দিছে সেইটা হইলো ৫ সিগমা। বিজ্ঞানী থিকা আমজনতা সবারই এমন দশা যে ৫ সিগমা লেখা থাকলেই তারা বিশ্বাস করবে নাইলে করবে না! যদিও অনেকেই জানি না এই সিগমা জিনিসটা কি!

আমরা যারা ম্যাট্রিকে থাকতে পরিসংখ্যান বিষয়টা ৪র্থ সাবজেক্ট হিসাবে নিছিলাম বা নেই তারা কিন্তু এইটা অলরেডী পইড়া ফেলাইছে। কেমনে পড়ছে তা নীচে পড়লেই বুঝবার পারবেন। কিন্তু আসল কথা হইলো এই যে এত বড় বড় গবেষনা বা থিওরী এরা পয়দা করে বা প্রমান করে তার সবই কিন্তু আমরা খুব ছোটবেলা থিকাই টেক্সট বই থিকা পইড়া আসছি। সমস্যা হইলো তারপরও আমরা জানি না। জানি না এই কারনে যে আমরা প্রাইভেট টিউটরের উপর নির্ভশীল এবং আমাদের শিক্ষা ব্যাবস্হা ঠিক এরকম ভাবেই হইতে শিখাইছে। এখন আপনেরে দুনিয়ার ভালো ভালো বই গলায় ঢুকাই দিলেও লাভ নাই!

যাই হোউক, আসল কথায় আসি! যারা পরিসংখ্যান পড়ছেন তারা একটু স্মরনে নেন স্ট্যান্ডার্ড ডেভিয়েশন কি? এর একক টা কি মনে আছে?

বই টা খুলেন। তারা সাথে সাথে উত্তর পাইয়া যাবেন। খুবই গোড়ার পড়ালেখা। আমার বাকী পোস্ট আর আপনেগো পড়নের দরকার নাই। কারন আপনেরা আমার চেয়ে বেশ ভালো কইরাই জাইনা গেছেন অলরেডী।

আর যারা পরিসংখ্যানের "ক" ও জানেন না তারা পড়েন। আট আনা পয়সা বাজারে পাওয়া যায় না মনে হয়। টাকার দাম নাই যেইখানে সেইখানে আটআনার খোজ কে রাখে!

যাই হোউক একখান আট আনা নেন। এর দুইটা পিঠ। একখান শাপলা ফুল আরেকখান হইলো লাউ কদু ফলফলালী। তো আমরা সাধারন একটা ধারনা নেই, যদি আমরা টস করবার চাই তাইলে দেখা যাইবো শাপলা ফুল পড়নের সম্ভাবনা ৫০% আর ফলফলালী পড়নের সম্ভাবনা ৫০%।

মানে হইলো ১০ বার টস করলে সাধারন কনসে্প্টে:
শাপলা পড়বো: ৫ বার
ফলফলালী পড়বো: ৫ বার

এই ধারনা আমি এইভাবে পাইলাম যে আকাশের সূর্য্য দৈনিক সাত সকালে পশ্চিম দিকে উঠে আর বিকাল বেলা পুব দিকে অস্ত যায়। আগামী ১০ দিন তাইলে দৈনিক ২০ বার উঠানামা করবো সূর্য্য।
তাইলে

পুব দিকে ডুব দিবো: ১০ বার
পশ্চিম দিকে উঠবো: ১০ বার

(পাঠকগন আমি মনে হয় সূর্য্যের উঠানামা গন্ডগোল করছি। মেলা দিন ভোর বেলা উইঠা সূর্য ডুবন আর বিকাল সুর্য উঠন দেখি নাই। আর অখন এমুন দেশে থাকি ৬ মাস সূর্য ডুবলে আর উঠে না, উঠলে আর ডুবে না। মাফ করেন আমারে!)

তো আমি এই ধারনা থিকা সোজাভাবে ধইরা নিলাম আট আনা টস মারলে ঠিক এমনি সমান ভাবে শাপলা শালুক আর ফলফলালী পাওন যাইবো!
কিন্তু আপনে আমি সবাই জানি এমন হইবো না।
তো আপনে এই ব্লগ পড়ন অবস্হায় ট্রাই মারেন।

ধইরা নিলাম আট আনা বাতাসে বাতাসে টসাইতে গিয়া দেখলান শাপলা ৭ বার পড়ছে আর বাকী কয়টা ফলফলালী।

মাগার আপনের ধারনা অনুযায়ী শাপলা পড়নের কথা ৫ বার কিন্তু পড়লো ৭ বার। তার মানে দেখা যাইতেছে যেই ফলাফল আসনের কথা সেইটা থিকা প্রাপ্ত ফলের মানের পার্থক্য আছে।

এখন আপনে শাপলা শালুকের কয়েনরে ১০ বার না, ১০০০০ বার টস মারলেন আর ঐখানে যদি ৭০০০ বার শাপলা উঠে তাইলে ধইরা নিতে হবে আপনের এইখানে অপ্রত্যাশিত নতুন থিওরী দেওন দরকার। কারন পার্থক্যের মান একই আছে।

এখন আপনে পরীক্ষার সংখ্যা বাড়াইতে থাকলেন। ১০ হাজার থিকা ১ লাখ, ১ মিলিয়নে চইলা গেলেন। কিন্তু আপনের এই পার্থক্যই যদি বিদ্যমান থাকে তাহলে আপনার থিওরীতে গন্ডগোল থাকবে। এইখানের পরিসংখ্যান গত ভুলের দিকে নজর তেমন না দিলেও চলবো!

তার মানে সংজ্ঞানুযায়ী সিগমা হলো এমন একটা একক যার মাধ্যমে পরীক্ষার মাধ্যমে প্রাপ্ত ডাটা থেকে আপনার আশানুরূপ ডাটার সাথে কতটা পার্থক্য রয়েছে সেটা নির্নয় করা!

তো পার্টিক্যাল ফিজিক্সে ৩ সিগমা মানে হইলো আপনে একটা পরীক্ষা ৭৫০ বার করলে ১ বার পার্থক্য পাইতে পারেন। এইটাকে আপনে বলতে পারে আপনে যে তত্বের পরীক্ষাগত দিক নিয়া কাজ করতেছেন সেটার ব্যাপারে আপনার আশাবাদী হওন উচিত!

আপনে যদি ৪ সিগমা পান তাইলে বলতে হয় আপনে ৩২০০০ বার পরীক্ষা চালাইয়া ১ বার এই ফ্লাকচুয়েশন পাইছেন। বলা যায় আপনে এইটারে একটা আবিস্কারের দিকে নিয়া গেছেন!

আপনে যদি ৫ সিগমা পান তাইলে বলতে হয় ৩.৫ মিলিয়ন বারের মধ্যে আপনের ১ বার এই ফ্লাকচুয়েশন হবে। এইটারে আপনি অবশ্যই একটা আবিষ্কার বলতে পারেন!


অখন বুঝ আসছে এই ৫ সিগমার কেরামতী?


সূত্র: উইকি!
সর্বশেষ এডিট : ০৯ ই জুন, ২০১৬ রাত ২:৩১
২১টি মন্তব্য ১৯টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

=বেলা যে যায় চলে=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৪:৪৯



রেকর্ডহীন জীবন, হতে পারলো না ক্যাসেট বক্স
কত গান কত গল্প অবহেলায় গেলো ক্ষয়ে,
বন্ধ করলেই চোখ, দেখতে পাই কত সহস্র সুখ নক্ষত্র
কত মোহ নিহারীকা ঘুরে বেড়ায় চোখের পাতায়।

সব কী... ...বাকিটুকু পড়ুন

মার্কিন নির্বাচনে এবার থাকছে বাংলা ব্যালট পেপার

লিখেছেন সৈয়দ মশিউর রহমান, ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৫:২৪


আমেরিকার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে বাংলার উজ্জ্বল উপস্থিতি। একমাত্র এশীয় ভাষা হিসাবে ব্যালট পেপারে স্থান করে নিল বাংলা।সংবাদ সংস্থা পিটিআই-এর খবর অনুযায়ী, নিউ ইয়র্ক প্রদেশের ব্যালট পেপারে অন্য ভাষার সঙ্গে রয়েছে... ...বাকিটুকু পড়ুন

সত্যি বলছি, চাইবো না

লিখেছেন নওরিন হোসেন, ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২৪ রাত ৮:০৮



সত্যি বলছি, এভাবে আর চাইবো না।
ধূসর মরুর বুকের তপ্ত বালির শপথ ,
বালির গভীরে অবহেলায় লুকানো মৃত পথিকের... ...বাকিটুকু পড়ুন

বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারা কি 'কিংস পার্টি' গঠনের চেষ্টা করছেন ?

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২৪ রাত ৮:১০


শেখ হাসিনা সরকার পতনের পর থেকেই আন্দোলনে নেতৃত্বদানকারী বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন নামক সংগঠন টি রাজনৈতিক দল গঠন করবে কিনা তা নিয়ে আলোচনা চলছেই।... ...বাকিটুকু পড়ুন

শেখস্থান.....

লিখেছেন জুল ভার্ন, ০৫ ই নভেম্বর, ২০২৪ দুপুর ১২:১৫

শেখস্থান.....

বহু বছর পর সম্প্রতি ঢাকা-পিরোজপু সড়ক পথে যাতায়াত করেছিলাম। গোপালগঞ্জ- টুংগীপাড়া এবং সংলগ্ন উপজেলা/ থানা- কোটালিপাড়া, কাশিয়ানী, মকসুদপুর অতিক্রম করার সময় সড়কের দুইপাশে শুধু শেখ পরিবারের নামে বিভিন্ন স্থাপনা দেখে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×