মানুষের কঙ্কালের উপর গড়া অট্টালিকা
রক্তে পরিপূর্ণ ফোর হুইলারের ফুয়েল ট্যাংক
ফানুসের মতো উড়তে থাকে টাকা রুফ টপ লাউঞ্জে
বিড়াল পুশির ইন্সুরেন্সে লাখ টাকা প্রিমিয়াম
৪২ ইঞ্চি টেলিভিশনেও আঁটছে না কারো চোখ
উল্টানো খুলি থেকে বের হচ্ছে এসির হিমেল বাতাস
মানবতাকে ধর্ষণ করছে পুঁজিবাদ রগড়ে রগড়ে!
মানবতা
খিলক্ষেত,২ চৈত্র ১৪২০.
________________________________
আমার মৃত্যুর জন্য কেউ দায়ী নয়
আমি নিজেকে নিজে হত্যা করেছি
উন্মত্ত পৈশাচিক ক্রোধে আচ্ছন্ন হয়ে
নিজের অপূর্ণতা গুলোকে পূর্ণতা দিতে যেয়ে
কতবার আবিষ্কার করেছি নিজেকে
শূন্য ভুবনে, স্নিগ্ধ লগনে; অবেলায়।
স্বপ্ন বুনতে বুনতে এতো উপরে উঠে গেছিলাম আমি
যেখানে অসীমেরও সীমা হারিয়ে গিয়েছিলো
কিন্তু ত্রিমাত্রিক মন চতুর্থ মাত্রায় প্রবেশ সহ্য করতে পারেনি!
ভেঙে চুরমার একাকার হয়ে গেছে সব খেলাঘর
শেষে উন্মত্ত পৈশাচিক ক্রোধে আচ্ছন্ন হয়ে
আমি নিজেকে নিজেই হত্যা করেছি
তাই আমার মৃত্যুর জন্য কেউ দায়ী নয়!
আমার মৃত্যুর জন্য কেউ দায়ী নয়
খিলক্ষেত, ২২ ফাল্গুন ১৪২০.
__________________________________
চকচকে ব্লেডটা হাতে নিতেই
মনের ভেতর একটা শিহরণ জেগে উঠলো
আলতো করে খোঁচা দিলাম
বাম হাতের মধ্যমার ডগায়
ফিনকি দিয়ে ছুটে বের হলো রক্ত, লাল টকটকে!
ইচ্ছা করলে এখন গলায় দিয়ে দিতে পারি
লম্বা একটা পোঁচ!
গলগল করে বের হবে রক্ত, লাল টকটকে!
রক্তের কালচে লাল ধারার সাথে মাটিতে মিশে যাবে
আমার আত্মা, আমার অস্তিত্ব!
অস্তিত্ব
খিলক্ষেত, ২১ ফাল্গুন ১৪২০.
_________________________________
ঠুকে দাও মাথায় আরও কয়েকটি পেরেক
ঢুকিয়ে দাও কানের ভেতর তপ্ত শিক
টেনে ছিঁড়ে ফেলো আমার জিহবা
হৃৎপিণ্ডে করে দাও অজস্র ছিদ্র ত্রিশূল দিয়ে
তবু, আমি বেসে যাবো ভালো আমার নিষ্ঠুর ভালোবাসা!
ভালোবাসা
খিলক্ষেত, ৭ ফাল্গুন ১৪২০.
অকবি হওয়ার মজাই আলাদা! মনের ভেতরে বিক্ষিপ্ত ভাবে ঘুরে বেড়ানো বিচ্ছিন্ন লাইন গুলো একসূতোয় গেঁথে ফেলাই অকবির কাজ। যা খুশি যে ভাবে যত খুশি একটা পর একটা লাইন সাজিয়ে যাও। লেখা শেষ হওয়ার পর যদি কোন মানে দাঁড়ায় তো ভালো, না হলেও কোন সমস্যা নাই!