গত এক দশকে প্রায় ২৫ হাজার প্রবাসীর লাশ এসেছে। শ্রমিকেরা মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ, হৃদ্রোগ, কর্মক্ষেত্রে দুর্ঘটনা, সড়ক দুর্ঘটনা, মালিকদের অত্যাচার কিংবা ক্যানসারে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন। কিছু ক্ষেত্রে আত্মহত্যা ও খুনের ঘটনা ঘটে।
প্রবাসীকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের ওয়েজ আর্নাস কল্যাণ বোর্ডের তথ্য অনুযায়ী, ২০০৬ সালে ১ হাজার ৪০২, ২০০৭ সালে ১ হাজার ৬৭৩, ২০০৮ সালে ২ হাজার ৯৮, ২০০৯ সালে ২ হাজার ৩১৫ জন, ২০১০ সালে ২ হাজার ৫৬০, ২০১১ সালে ২ হাজার ৫৮৫ জন, ২০১২ সালে ২ হাজার ৮৭৮ জন, ২০১৩ সালে ৩ হাজার ৭৬ জন, ২০১৪ সালে ৩ হাজার ৩৩৫ জন এবং ২০১৫ সালে ৩ হাজার ৩০৭ জন প্রবাসীর লাশ এসেছে। এর মধ্যে ২২ হাজার ৬৫১ জনেরই লাশ এসেছে ঢাকার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর দিয়ে।
এর মধ্যে ৫ হাজার ৭৩১ জনেরই লাশ এসেছে সৌদি আরব থেকে। এ ছাড়া সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে ২ হাজার ৫২০ জন, কুয়েত থেকে ২ হাজার ১৮৪ জন, ওমান থেকে ১ হাজার ১০২ জন, বাহরাইন থেকে ৫৩৪ জন এবং কাতার থেকে ৪৮৬ জনের লাশ এসেছে। অর্থাৎ, ৬১ শতাংশ লাশই এসেছে মধ্যপ্রাচ্য থেকে।
এত গেল সরকারি হিসাব
আর যেগুলি নীরবে বিদেশে মাটিচাপা পড়ে তার হিসাব কত?
গত ৪০ বছরে বাংলাদেশে ১০ লাখ ৪৬ হাজার ৩২ কোটি টাকার প্রবাসী–আয় এসেছে। কিন্তু এই প্রবাসী–আয়ের পেছনে আছে বহু করুণ কাহিনি। একটু বেশি আয়ের জন্য বিদেশে অমানুষিক পরিশ্রম করতে গিয়ে প্রায়ই বাংলাদেশিরা প্রাণ হারাচ্ছেন। অল্প বয়সে মারা যাচ্ছেন শ্রমিকেরা।
প্রবাসে শ্রমিকদের সবাই কমবেশি ঝুঁকিতে থাকেন। একাকী প্রবাস জীবন, সব সময় দুশ্চিন্তা, কাজের নিম্ন পরিবেশ—এসব কারণে প্রায়ই দেখা যাচ্ছে ৩০ বা ৩৫ বছর বয়সের একজন মানুষ হৃদ্রোগ বা মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণে মারা যাচ্ছেন। অথচ এই বয়সের একজন মানুষের মারা যাওয়া মোটেও স্বাভাবিক নয়। এর পাশাপাশি এখন যোগ হয়েছে নারী শ্রমিকদের ওপর অত্যাচার।
জনশক্তি, কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর (তথ্য) অনুযায়ী, ১৯৭৬ থেকে ২০১৬ সালের মার্চ পর্যন্ত ৯৮ লাখ ৮৯ হাজার ৫৫৫ জন বাংলাদেশি বিভিন্ন দেশে কাজ করতে গেছেন।
.........................................................
যাদের এত কষ্টের টাকায় আমাদের রিজার্ভ বাড়ে , তাতেও চোরাই লাইন, দুঃখে মনে হয় শালা কংকাল হয়ে যাই
অনেক খোঁজাখুঁজি করেও নেট এ বিদেশী শ্রমিক যা আদতে আধুনিক দাস দের প্রতি অবিচার নিয়ে কোনো অর্গানাইজেশন কাজ করে কিনা জানতে পারলাম না, অথচ আমাদের দেশে সাদা চামড়ার একটা মানুষ কে একটা চড় মেরে দেখেন, মাফ চাইতে চাইতে জান শেষ হয়ে যাবে,
আর নিরীহ শ্রমিক মারা গেলেও উনারা এসির বাতাস এর মায়া ছাড়তে পারেন না, লাশ দেশে পাঠাতে গড়িমসি ২ মাস ৪ মাস লেগে যায়,
গার্মেন্টস শিল্প নিয়ে কত কথা, রানা প্লাজা, তাজরিন এর পরে কত হইচই, হেন কারেঙ্গা, তেন কারেঙ্গা , শেষমেশ মলিন মুখের ছেলেমেয়ে গুলির আরও হাড়জিরজিরে অবস্তা হয়েছে , কারন কি, মালিকেরা আগের চেয়ে আরও কমদামে চুক্তি করতে বাধ্য হয়েছে,
কেস টা কি ? তোগো দেশ এই দেখ লাল,কালা,নীল,( কালারের অভাব নাই) সব ইনডেক্স ভায়োলেট করসো,
কাজ দিলে আমাদের দুর্নাম হবে , কম দামে কাজ করলে করবি না করলে নাই,
বিদেশী ব্র্যান্ড এর বেনিয়া কিছু পলিসি এর কথা আর একদিন বলব, ভাল থাকুন সবাই
খবরটা পড়ে অনেক মন খারাপ হল তাই আপনাদের সাথে শেয়ার করলাম
সর্বশেষ এডিট : ০২ রা মে, ২০১৬ সকাল ১০:০৭