শীতল পাটির হিম।
লেপানো মাটির দেয়াল, নিপুণ ঝাঁটের মেঝে;
নকশাদার ঝিল্লি গলে,
নামছে ধূলো ধূলো আলো।
ফি-বছর বদলে না দেয়া ক্যালেন্ডারের পাতা,
ভিনদেশী কোন পুষ্পমঞ্জরীর ছবি হয়ে সাঁটা থাকে-
আরো কিছু দিন।
অপটু হাতের গাছ-পাখি-ফুল;
আর কথামালা,
মেয়েলী গন্ধের রেশ ছড়িয়ে চলে।
আলো আঁধারি অন্দর পেরুলেই- ধোঁয়া ঝাঁঝালো হেঁশেল।
স্মৃতি হাতড়ে এখানেই দেখা মেলে মায়েদের।
আমাদের মা, মাতামহী কিংবা প্রমাতামহীরা-
প্রজন্মের ছায়া বহন করে চলছেন;
বংশলতিকা ছাড়াই।
(মা দিবসে ভাবছিলাম মা'কে ফোন করে শুভেচ্ছা জানাই। কিন্তু সেই সাবলীলতাটুকু কখনোই ছিলনা। বিকেলে আম্মাই ফোন করে খবর নিলেন। আজকে মনে পড়লো ছোটবেলায় দেখা মা, নানী আর সেইসব নারীদের আলাদা পৃথিবীর ছবি। পুরুষশাষিত বংশলতিকায় তাদের নাম হয়তো থাকে না; কিন্তু বন্ধন সেই চিরন্তন)