কাক ভোরে সেই মিছিল ধরে; মাতৃভাষার ছবি আঁকে।
ভিন শাসনের রক্ষ শ্বাপদ, ঝাঁপিয়ে পড়ে রক্ত তৃষায়
লুটিয়ে পড়ে আমার সে ভাই -প্রাণ সঁপে কোন ভালবাসায়।
চাইছি ক্ষমা তোমার কাছে!
আন্দোলনের মুষ্ঠি উড়ে- ষাট দশকের দামাল দিনে
তরুণ আসাদ বিদায় হাসে, বাঁধলো স্বদেশ এ কোন ঋণে!
যেই শিশুটি দাঁড়ায় সম্মুখ- রণ চিৎকার ছোট্ট বুকে
লড়াই করেই বাঁচবো নাহয়-চাই না করুণ মৃত্যু ধুঁকে।
চাইছি ক্ষমা তোমার কাছে!
একাত্তরে লক্ষ শহীদ। রক্ত চোষা হায়না হাসে।
আনলো যারা ছিনিয়ে প্রভাত-হারিয়ে গেছে কোন আকাশে।
মায়ের ছিন্ন শাড়ির আড়াল- লজ্জা নত কিশোর ছেলে
এতই সহজ মা কে ছোঁয়া? কত তরুণ জীবন দিলে।
বহুরূপীর ঘ্রাণ লুকিয়ে- সাপের খোলস রঙ বদলায়।
যুদ্ধফেরত যে বীর সেনা -আক্ষেপ তার রোজ পিছু ধায়।
চাইছি ক্ষমা তোমার কাছে!
মনে পড়ে- সেই মুঠো হাত- উদোম গায়ে সেই প্রতিবাদ
নুর হোসেনের উল্কি লেখা, নব চেতনার করলো আবাদ।
মিলন বসুনিয়ার মতো গণ মানুষের দামাল জোয়ার
ভাঙলো আগল তবুও হায়- বসে চেনা পশুর খোঁয়াড়।
চাইছি ক্ষমা তোমার কাছে!
আজকে দেখি রক্তলুলোপ - পশুরা সব মানুষ সাজে
সেই তোমাদের মনে পড়ে-বুকের ভেতর কষ্ট বাজে।
কোন চেতনায় তোমরা জাগো? পারবে কি আজ পথ দেখাতে?
জিততে হবে দেশের লড়াই- মৃত্যু নাহয় হোক ধোঁকাতে।
অন্য কালে অন্য সময়- এই চেতনার কোন তরুণ
চাইবে না আর ক্ষমা কারো-আনবে প্রভাত রাঙা অরুণ।