দয়স্তোভস্কির পাশে-হিটলারের 'মাইন ক্যাম্ফ',
শেলফের মাঝখানটা বইয়ের ভারে আরেকটু নত-
মাঝে মাঝে একটু ঝাড়মোছ, একটু নাড়াচাড়া।
কালো ফ্রেমের চশমাটা খাপের ভেতর,
মানিব্যাগে এখনো শুকিয়ে যাওয়া কাঁদার দাগ!
কনফারেন্স থেকে পাওয়া নিত্য সঙ্গী ব্যাগটা-
সেভাবেই- সেদিনের ছাঁপ মাখা।
এলোমেলো খসড়া লেখার কাগজগুলি-
ঠাঁই পেয়েছে ড্রয়ারের আঁধারে;
সমাধানের তীব্র সুখানুভূতি আর-
স্পর্শ করে না ছেঁড়া পাতাগুলোকে।
কাঠের আলমারিটা তালাচাবি দেয়া-
মাঝে মাঝে- রোদে দেয়ার ছলে,
মা নেড়ে চেড়ে দেখেন কাপড় গুলো
রোদের তাপে শুকিয়ে আসে- চোখের জলের দাগও।
নিঃসঙ্গ রুমটাতে কম্পিত চরণে-
বাবা আসেন, হাতে সিগারেট-
মনে পড়ে- অভিমানে ছাড়তে চাওয়া-
'তুই ই নাহয় সিগারেট খা!'
আর ফেলা হয়নি রাংতা পেপারে মুড়ানো প্যাকেট।
বুকের ভেতর কষ্টের বাস্প আর ধোঁয়া-
মিশে একাকার- জ্বালা ধরায় চোখে।
অচিন শহর পেড়িয়ে আসে- দানব যান,
মধ্যরাতের নিঃস্তব্ধতা চিরে-যান্ত্রিক গর্জনে
মিলিয়ে যাওয়া লাল বাতির চোখ-
একলা সড়কে দাড়িয়ে
মনে করিয়ে দেয়-
মধ্য প্রহর পেরিয়েও বাতি জ্বলতো যেই রুমে
সেখানে এখন পাঁচ বছরের জমাট আধাঁর-
তবুও-
আমরা হেটে চলি আমাদের গন্তব্যে-
জানি, একদিন আমরাও আসছি
- ভাই আমার।।
উৎসর্গ: এনামুল আজিম রানা (১০ই অক্টোবর ১৯৭৬- ২৬শে জুন ২০০৩)