শিনতাও ধর্ম: এক নজরে
শব্দগত উৎপত্তি: শিনতাও জাপানীদের প্রধান ধর্ম। শিনতাও শব্দটি চাইনিজ "শিন" ও "তাও" শব্দ দুটির সংযোগ। "শিন" মানে হল স্বর্গীয় আত্মা আর "তাও" মানে হল পথ। এভাবে শিনতাও শব্দটির অর্থ দাঁড়ায় "আত্মার পথ"। শিনতাও ধর্মের কোন ঈশ্বর অথবা প্রবর্তক নেই। এ ধর্মে মৃত্যু পরবর্তীকাল সম্পর্কে কোন ধারণাও নেই।
শিনতাও ধর্মে যে সব প্রার্থনার অনুষ্ঠান হয় তার মূল লক্ষ্য "কামি"দের সাথে সংযোগ স্থাপন। কামিরা ঈশ্বর বা দেবতা নয়। তারা আত্মা মাত্র। "কামি" আত্মারা মানুষের সুখ চায়। এ আত্মাদের সাথে যদি মানুষ যথাযথ আচরণ করে তাহলে তারা মানুষের সু-স্বাস্থ্য, সম্পদ, সুখ, ব্যবসায় সফলতা , পরীক্ষায় ভাল ফল আনয়নে সহায়তা করে। শিনতাও ধর্মের উপাসনা সমাধিমন্দিরে অনুষ্ঠিত হয়। শিনতাও ধর্মের একনিষ্ঠ অনুসারীর সংখ্যা আনুমানিক ৪ কোটির মত। শিনাতাও ধর্ম পালন করে না, কিন্তু জন্মগতভাবে শিনতাও, এমন অনুসারির সংখ্যা ১০ কোটির মত। জাপানীদের মধ্যে শতকরা ৯০ জন শিনতাও ধর্মের অনুসারী।
শিনতাও ধর্মের প্রধান বৈশিষ্ট্য:
• শিনতাও ধর্মের আক্বিদা এ জগতের মধ্যেই সীমাবদ্ধ। পরকালীন জগৎ সম্পর্কে এর কোন ধারণা নেই।
• এ ধর্মের কোন “ধর্ম গ্রন্থ” নেই।
• এ ধর্মটি জাপানের মধ্যেই সীমাবদ্ধ। জাপানের বাইরে এর চর্চা নেই বললেই চলে।
• শিনতাও ধর্মের কোন প্রবর্তক নেই।
• শিনতাও ধর্মে কোন ঈশ্বরের ধারণা নেই।
• এ ধর্মটি আঞ্চলিক হওয়ায় এর কোন প্রচারণামূলক (মিশনারী) কার্যক্রম নেই।
• আঞ্চলিক ও স্থানীয় সমাধি মন্দিরে এর প্রার্থনাক্রম অনুষ্ঠিত হয়।
• এ ধর্মে বিশ্বাস নয়, আনুষ্ঠানিকতাই মুখ্য। এটি একটি আনুষ্ঠানিকতা বা Ritual ভিত্তিক ধর্ম।
তথ্যসূত্র: http://www.islaminbox.tk