রাতের পরে থাকা মাঠের উপর নির্জনতায়,
পূর্ণ কুমারী চাঁদ রাত জেঁগে চলে গেছে দূর নক্ষত্রের পার;
কথাহীন অস্ফুট হৃদয়- কত অমাবস্যা জেঁগে,
শিশিরে ভিজিয়ে গেছে গাঢ় অন্ধকার।
আজও খুলেনি কথার কপাট,
নব প্রভাতের ব্যর্থ সংবাদ দরজায়-
কড়া নেড়ে চলে যায় ফিরে আসে;
আলোহীন চোখ হৃদয়ের আশেপাশে।
আর কত রক্ত জবা কৃষ্ণচূড়ার লাল আগুন,
উপমাহীন কন্ঠস্বরে ফোঁটাবে না কথার কলি;
শপথের বুক- শপথের বাইরে –
নিত্যই দিয়ে গেছে হৃদয়ের জলাঞ্জলি।
শব্দকুন্তলে ছেয়ে গেছে হৃদয় ভাগাড়-
ডুবতে বসেছে নীল নলিনী চোখের গভীরতায় -
শপথের বাইরে জীবন,
জীবনের মানে খুঁজে মাঠের –
গভীরে যদি নির্জনতা ভাঙে;
তবে তুই ফিরে আসিস –
পূর্ণ কুমারী চাঁদ হৃদয় ভালবেসে ;
সবুজ নরম কথার হৃদয় ঘাসে।
ছাড় সেসব কথা -
আমি না হয় সূর্য হয়ে কেবল তোকেই শুকিয়েছি;
তোর অবর্তমানে অমাবস্যার আকাশ গাঙে ।
এক নৌকা মন মহাকাব্যে-
শব্দহীন উল্কা হয়ে ছুয়ে গেছে ছাই;
আমি হাজার বার শপথের বলি হব-
যদি তোর হৃদয়ে-হৃদয়ের কথা পাই।