জীবনের সমীকরণিক বন্ধ খাতাটা আজ আবারো খুলে বসলাম,
অর্ধকষা সমীকরণিক প্রতিজ্ঞার সমাধান সংক্রান্ত বিড়ম্বনায় আজ আবারো পতিত হলাম।
এই বিড়ম্বনার সূচনা ঠিক কবে থেকে শুরু হয়েছিল,
তার আদ্যোপান্ত পই পই করে হাতড়েও উদ্ধার করতে ব্যর্থ হলাম।
তবে,সম্ভবত তোমাকে আবিষ্কারের বহুদিন আগে যে এই যাবতীয় সমস্যায় মুষরে পরি নি,
তা আমি ঢের বুঝতে পারছি।
কি হতো,যদি এই আবিষ্কারের আগেই আমাদের এই সামষ্ঠিক আনাগোনা বন্ধ হয়ে যেত,
অন্তত আমাকে এত হতবিহ্বল হতে হোত না।।
যে নিষ্প্রভ চক্ষু আলোয় তুমি প্রতিদিনের সূর্যটা দেখো,
সেখানে যে আমার পুরোদস্ত এক দিন।
যে আলোর সায়রে তোমার দ্ব্যর্থহীন প্রতিদিনের চলাচল,
তার কোন খবর তো আমার কাছে কোনদিন পৌছবে না।
তাহলে,আমার এই এক চোখা দৃষ্টিপথের কি কোন মূল্য থাকতে পারে..??
এক চোখ স্বপ্ন প্রতিদিন তোমায় নতুন আঙ্গিকে ঘুম পাড়িয়ে দেয়,
আর আমি এক বুক ইচ্ছে নিয়ে হাত বাড়িয়ে রাখি।
জীবন নামের গোলকধাঁধার কারগারে আমরা যে আজন্ম কয়েদি,
সে কথা জানার পরেও কেনো যে আমার তোমার ঐ দু’চোখে চোখ পরে যায়,তা ভেবে পাই না।
পঙ্কিলতার অর্ধে তোমার সেই চোখগুলোর ভাষা পড়ার ব্যর্থ ইচ্ছাটা,
আমার নিভৃত নীলপদ্ম দীঘির নীল পদ্ম হয়েই না হয় থাকলো।
আজন্ম কৌতুহলী আমি না হয় তোমার আকাশের প্রজাপতিদের অথবা মনফড়িংয়ের সন্ধান এ জগতে নাই বা পেলাম।।
মহাকাব্যের পংক্তিমালায় আমাদের নাম চির অম্লান করার কোন করণীয়ই যে অদো সৃষ্টির দেখা পায় নি।
আমাদের কথা না হয় ডুবেই মরলো সেই ক্ষণজন্মা পঞ্চমী চাঁদের স্বাক্ষী হয়ে।।
তবুও, এই সপ্নিল আবিরের রাতে শব্দের শিকলে বন্দী অবাধ্য কবিতার পংক্তিমালারা যুগান্ত ধরে বয়ে বেড়াবে অস্ফুট সব প্রার্থনাগুলো।
ঘুম ভাঙা কিছু ছন্নছাড়া মেঘ খেয়ালী ছাদ ছুয়েঁ তোমার চোখের সেই ঘুমপরীদের কাছে গল্প শুনিয়ে যাবে বারেবারে।।
সর্বশেষ এডিট : ২০ শে নভেম্বর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:০২