পাঠ প্রতিক্রিয়াঃঃঃ

জীবন অভিজ্ঞতার অনন্য কাব্যিক বয়ানঃ
♦♦ জীবনের ভুল এডিট করা যায় না♦♦


জীবন আসলে কী --- এ নিয়ে আমাদের তত্ত্বের শেষ নেই। হাজার বছরের উপাত্ত দিয়েও আমরা জীবনের সুনির্দিষ্ট কোনো সজ্ঞা দাঁড় করাতে পারি না; পাঠ্যক্রমের কোনো বিষয়ের মতো কাউকে বলতে পারি না---জীবন মানে এই। জীবন কি স্থান ও কালের আপেক্ষিকতায়... বাকিটুকু পড়ুন

ওরা বলে, আরেকটি বিশ্বযুদ্ধ অত্যাসন্ন।
নয় মাত্রার ভূমিকম্প কানাঘুষা করছে পরশির বারান্দায়।
নিজের সংসারে ভাঙা কুলা যদিও,
তবুও টের পাই এসবের অস্তিত্ব জন্ম নিচ্ছে ধীরে।
আর জাতীয় মুক্তির দিনে যেসব খেঁক শিয়াল
যক্ষীর ধন পাহারায় রক্ষী সেজে মওজ করেছে অমরায়;
তারা হঠাৎ আশ্বাস দেয় অমরত্বের।

যেসব গুচ্ছবোমা এখনও অবিস্ফোরিত ভিয়েতনামে
এবং আফগানিস্তান সিরিয়ায় যে বুলেটগুলো রক্ত-মাংসের পার্থক্য বুঝে... বাকিটুকু পড়ুন

বড়শি থেকে ছুটে গিয়ে একটি মাছ
ধরা দিলো উৎ পেতে থাকা জালে।
তারপর কেটে গেল চুয়াল্লিশ বছর।
গল্প থেকে উপাখ্যান; অবশেষে রূপকথার গীতিকায়
চাঁদের কুমারের হাড়িতে ভাগ বসিয়েছে জগৎ শেঠের ভাই পো।
পদ্মা মেঘনা যমুনা যেখানে এক হয়ে মিশে গেছে,
তার থেকে তেরো নটিকাল মাইল দূরে
রাজনৈতিক আধিপত্য যেখানে শিথিল;
পারলে আরো দূরে---
প্রণালি, পরিখার নজর এড়িয়ে
বাংলাদেশ বিচরণ করুক... বাকিটুকু পড়ুন

ফিচার:
পথের - চলায় কোনো ক্লান্তি নেই। পথিকের পদভার তাকে দেয় গৌরব ও চঞ্চলতার আনন্দ। কিন্তু পরিবর্তিত প্রেক্ষাপট কতক পথকে করে তুলে গুরুত্বপূর্ণ, আর দূর্ভাগ্যের জীর্ণ চাদরে ঢেকে যায় কিছু পথের গতি রেখা। আঞ্চলিক জীবনের এমনি একটি পথের গৌরব পুণরুদ্ধারের কাহিনী এটি।

কবি ও কবিতা শাসক কিংবা সংবিধানের দাবি তুলেছে কোথাও --- এ নজির প্লেটোর প্রজাতন্ত্র থেকে আজকের গণতান্ত্রিক (?) ব্যবস্থায় কোথাও খুঁজে পাওয়া যাবেনা। তবুও হোমারের প্রতি দুর্বলতা সত্ত্বেও প্লেটো তাঁর প্রজাতন্ত্রে কবি ও কবিতাকে ঠাঁই দিতে কুণ্ঠাবোধ করেছিলেন। প্লেটো ঠিকই উপলব্ধি করেছিলেন কবিতার সম্মোহনী শক্তি সম্পর্কে। এবং কবি শাসক হলে... বাকিটুকু পড়ুন

★এই পৃথিবীতে অন্য এক পৃথিবী★


আরো দূরে---
আরো দূরের কোনো দেশ কিংবা সময়ে
মানুষের ইতিহাস যেখানে লেখা আছে
গল্প কিংবা কবিতায়;
তার সন্ধানে একদিন সময় যন্ত্র চালাবে
অভিযান।
তোমার বিভক্ত মন সমস্ত উৎপাদককে
উপেক্ষা করে
এই সমীকরণে দিচ্ছে সায়।
তোমার সাথে যাপিত প্রতিটি রাত
আমার ভবিষ্যৎকে ঠেলে দিচ্ছে কাশ্মির
নয়তো ফিলিস্তিনের অন্তহীন সঙ্ঘাতে।
তবু ভোরের আলোয় দেখা তোমার রূপালী
রূপ
মহাযুদ্ধ থেকে ভেসে আসা ধ্বংস... বাকিটুকু পড়ুন

মনে হয়েছিল, তোমাকে আমি খুঁজে পাবো মাঠে;
যে ঘাটে ভিড়ে না কখনো বাণিজ্য তরী,
নদীর যে শাখায় মাছরাঙ্গা শালিখের উড়া উড়ি---
আমার নোঙর তোমার সেই অগভীর জলেই করেছিল পদার্পন।

তারপর ভীষণ জোছনা রাতে---
যে সব মায়া হরিণীরা বনের পর্দা ছিঁড়ে মেলে ধরে নিজের লাজুক শরীর,
আমার শিকারি নখ তাকে ছোঁয়ার আগেই
তুমি তেপান্তরে হাওয়া।

আমার যে মনে হয়েছিল,... বাকিটুকু পড়ুন

একটা পরিত্যক্ত গ্রেনেড হাতে চাপিয়ে দিয়ে,
যখন শেষ করমর্দন করল পরাজিত সৈনিকটির সাথে;
সে জয়ী, তবু তার আস্তিন ভিজে গেল জলে।
বিস্ময়ে হতবাক বিজয়ী কন্টিনজেন্ট,
দস্তখতে কেঁপে উঠল সুদক্ষ ফিল্ডমার্শাল।
আহত সেনানীর পরিচর্যায় কেটেছে যার বিনিদ্র রাত,
তার বুকটাও গুমড়ে উঠল হঠাৎ।
শুধু যুদ্ধে যার কয়েকটা ফসলের মাঠ পুড়ে গেছে,
কিংবা কয়েকটা বকড়ির পাজরের হাড়টাও হয়েছে সাবাড়,
তাবুর ফোঁকড়ে... বাকিটুকু পড়ুন

এক মুঠো চমৎকার বাতাস---
ভূমির যে সবুজ বনে
একত্রে বাস করে কয়েকটা অনুজীব,
তাদের চাটু দিয়ে বলে, বর্ষা অতীত।

শরতের আকস্মিক বর্ষণে---
যে শুঁইপোকা প্রজাপতির পেলব দেহে বিলীন,
সঙ্গীর হঠাৎ পতনে বহুগামী নারীর মতো,
সমূহ আশঙ্কার ঝুলি কাধে গৃহস্থের আঙিনায় দারস্থ প্রকৃতি।

কোনো দিন ঘরে ফিরবে না বলে
যে পাখি দিগন্তে বিস্তৃত করেছিল ডানা,
দেবত্বের দাবীদার অস্পৃষ্ট সূর্ষ
খেয়ালি রাজার চতুর... বাকিটুকু পড়ুন

আদেশ অমান্যে স্বর্গচ্যুত শয়তান,
আদেশ মান্যে বিশ্বচ্যুত বনিআদম।
বেহেশতের ক্ষমতায় সর্বময়,
দুনিয়ার অধিকারে শয়তান?
তবে মানুষ কারা?
কোথায় মানুষের স্বাতন্ত্র?
নিরুত্তর তারকারা আলোর আঁচলে লুকায় মুখ।
তিরস্কারে সুরারোপ করে বনিজেহেল,
বনিমুয়াবিয়া ফোরাতে সজাগ স্বসস্ত্র প্রহরায়।
আর যে বিশ্ববোধ ঝরে পড়েছিল আকাশের বারিধারায়---
মাটির পঙ্কিলের সাথে মিশে
তার স্বাদ বিস্বাদে মলিন।
যাদের রাজপথ বিভ্রান্তির কংক্রিটে ঢাকা,
তারাই দায়িত্বে নিয়োজিত গণপূর্ত ভবনে।
বাকিটুকু পড়ুন

♠বিভীষণ ♠
------------
এক পাল নেড়ি কুত্তা উপয়ান্তর না দেখে
ব্যভিচারী পুরুষের শেষ বীর্যের মতো লালা ঢেলে দেয়
অমসৃণ কংক্রিট সময়ের উপর।
তারপর হাজারটা কুত্তী-কুকুরীর ভিতর
সৃষ্টির আদি কীট উন্মুক্ত করে দেয়
এক ঝাক ভদ্র সাহেবী কুকুর।

পরাজিত শেষ কুত্তাটা পিছনে তাকায় হঠাৎ ---
ডগ স্কোয়াডে সদ্য কমিশন্ড কুকুরটা উচিয়ে ধরে সঙিন
হেড কোয়াটার থেকে আসে... বাকিটুকু পড়ুন

বুশ খোকা
(অরুন্ধতী রায়, আমরা কবে মনুষ্যত্ব অর্জন করব!)

বুশ খোকা, বাড়ি যাও।
তোমার মা তোমার জন্য কানমলা নিয়ে বসে আছে।
পাড়ার কাউকে তুমি দেখতেই পারো না,---
ঝগড়াটে ছেলে একটা!
তোমারে দেখলে বাঁদরগুলারেও সভ্য মনে হয়,
তুমি যখন দাঁত কেলিয়ে কথা বল---
শুকরেরাও ছুটে পালায় কস্তূরী বনে।
কোন কুক্ষণে যে পয়দা তোমার---
লজ্জ্বায় কুপোকাত তোমার বাবা।
তোমার বউতো আবার ভেবেই আগুন,
জামাইরে... বাকিটুকু পড়ুন

ইরির ন্যাড়া ক্ষেতে যারা ধান কেটেছে কিছু কাল,
তারা চলে যায় এই পৃথিবীরই অন্য কোনো জগতে।
আমরা ধান পেয়ে চাল গিলে মাদি ইঁদুরের মতো ভারি করি পেট।
ধানের গন্ধে আমাদের বধুরা হয় আরো নীলাভ; ইন্দ্রিয়ের তীক্ষ্ণতায়
চতুর্মুখী আঘাতেও --- বিলাসীতায় যে রাজপুত্রের বাহিত হয়েছে প্রহর
তার মতো --- ক্ষুদ্র সামন্তের কাছে তবু পরাজিত হয় বারবার।
উপযুক্ত... বাকিটুকু পড়ুন

সর্বশেষ অর্থে অনুভূতির সাথেই কবিতার কারবারিক সম্পর্ক বেশি। অনুভূতি! কার অনুভূতি? কবিতাকে আমরা কবির অনুভূতির (ব্যক্তিক) শৈল্পিক প্রকাশ বলেই জানি। তাই কী? কবি মাত্রই কি বহু মাত্রিক অভিজ্ঞতায় পরিপুষ্ট কোনো ব্যক্তি? হয়তো! নয়তো নয়। জীবনের নানা স্তরে যাতায়াতের অভিজ্ঞতা প্রত্যেক মানুষেরই থাকে। এবং সেই সব অনুভূতির ভাষিক দলিল-দস্তাবেজেরও ঠাঁয়... বাকিটুকু পড়ুন

★★ইতিহাস★★
--------------------------
তোমারে যতই ঠেলি শত শতাব্দীর প্রান্ত সীমায়,
তুমি ততই নিকট সীমান্তে হুমড়ি খেয়ে পড়।
তোমার ভাবনায় নষ্ট আমার যতগুলো বিনিদ্র রাত,
আলোর ডানায় তারও অধিক স্বপ্নের কুয়াশা তুমি।
সমুদ্রের অতলান্তে ডুব সাঁতারে ক্লান্ত ডুবুরি আমি,
তুমি দ্বীপান্তরের পরিযায়ী, অন্তিম অাশ্রয় দিকভ্রান্ত নাবিকের।
তোমার উপখ্যানে সাম্রাজ্যের গৌরবও ম্লান-নাজুক;
সেই কীর্তি কীর্তনেই আমি যুগান্তরী পথিক।

মহাকালের মধুর বাসরেও... বাকিটুকু পড়ুন