"রাজনীতি "এই মুহূর্তে দেশের সবচাইতে জঘন্য ও ঘৃনিত একটি শব্দের নাম। আর আমার এই শবদ্টার প্রতি অনেক পূর্ব হতেই phobia। কিন্তু তাতে কী আসে যায়। ঘুরে ফিরে আমাকে ঐ রাজনীতির কথাই সবচেয়ে বেশী শুনতে হয়।আর মানুষ হিসাবে জন্মানোর সবচাইতে বড় অসুবিধাটা মনে হয় এটাই।যে প্রসঙ্গটা শুনতে বেশি তেতো লাগে, ঘুরে ফিরে সেটাই বেশি শুনতে হয়।যেখানে আজও অনেক মানুষের ঘরে একবেলার খাবার মজুদ নেই,যেখানে মানুষ সন্ধার সময়ও জানে না রাতে কী খাবে?যেখানে মানুষের দ'ুবেলা মোটা চালের ভাত খেয়ে জীবন পাড়ি দেয়াই সর্বচ্চো লক্ষ্য,সেখানে রাজনীতির কি অর্থ থাকতে পারে আমার বোধগম্য নয়।যে যুবক গতকালকেও তার হবু বধুকে নিয়ে নতুন দিনের স্বপ্ন বুনেছিল,সে আজ নব বধুকে সঙ্গে নিয়ে নিয়ে আসার পথে দগ্ধ।আসলে সে তো দগ্ধ হয় নি,হয়েছে তার স্বপ্নগুলোর......যে মানুষটা পেট্রোল বোমার ভয়ে সপ্তাহব্যাপী ঘর হতেই বের হয় নি,সে আজকে জরুরী প্রয়োজনে ঘর হতে বের হতে না হতেই বার্ন ইউনিটে।এদের কেউই রাজনীতি নামক নিকষ কালো অন্ধকারে ঢাকা শব্দটার সাথে পরিচিত নয়।গুটিকয়েক চাটুকার ছাড়া দেশের কোন মানুষই কাদা ছোড়াছুঁড়ির এই রাজনীতি দেখতে চায় না।এই সহজ কথাটা বোঝার জন্য গবেষক হবার দরকার পড়ে না।তাই প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসনের প্রতি সব নিরহ, উৎসুক মুখগুলোর একটাই প্রশ্ন "আর কত রক্ত হলে রাজনীতি নামক এই নাটকের Happy ending টা মানুষ দেখবে???"
সর্বশেষ এডিট : ১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ দুপুর ২:০৪