somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

প্রাকৃতিক সপ্তাশ্চর্যে বাংলাদেশ - চাই জোরালো প্রচারনা

১০ ই নভেম্বর, ২০০৭ ভোর ৪:০৫
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

মাছে ভাতে বাঙ্গালীদের জীবনে ভোট খানিকটা উৎসবের আমেজ বয়ে আনে। কিন্তু এই বছর সেই চিরাচরিত ভোটাভুটির উৎসবে যোগ হয়েছে এক ভিন্ন মাত্রা। কারণ, এই বার কোন ব্যাক্তি বা দলের বিশেষ মার্কায় ভোট দিতে হবে না। ভোট দিতে হবে মাতৃভূমি বাংলাদেশের জন্য।

গত ৭ই জুলাই ২০০৭ এ পর্তুগালের রাজধানী লিসবন থেকে বিশ্বের নতুন সপ্ত আশ্চর্যের নাম ঘোষনার পর বিশ্বের প্রাকৃতিক সপ্তাশ্চর্য মনোনয়নের জন্য ইন্টারনেটের মাধ্যমে ভোট গ্রহন করা শুরু হয়। ২০০৮ সালের ৮ই আগষ্ট পর্যন্ত মনোনয়নের জন্য পৃথিবীজুড়ে চলবে ভোটগ্রহন। প্রাপ্ত ভোট থেকে প্রথমে ২১টি প্রাকৃতিক আশ্চর্য মনোনিত করা হবে। এরপর ন্যাচারাল সেভেন ওয়ান্ডারস নির্বাচন কমিটির বিচারক পর্ষদ এই ২১টি মনোনিত প্রাকৃতিক আশ্চর্য সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ ও পরীক্ষা-নিরীক্ষার ভিত্তিতে চূড়ান্ত সাত বিজয়ী প্রাকৃতিক আশ্চর্যের নাম ঘোষনা করবেন।

সেরা সাত প্রাকৃতিক আশ্চর্যে বাংলাদেশকে জায়গা করে দিতে হলে ভোট দিতে হবে আমার, আপনার - আমাদের সবার। আর সে জন্য চাই জোরালো প্রচারনা। প্রচারনাই পারে আমাদের প্রাকৃতিক আশ্চর্যকে বিশ্বের দরবারে তুলে ধরতে। নিয়মমতে প্রত্যেক ভোটার মনোনয়নের জন্য একই সাথে সর্বোচ্চ সাতটি নামে ভোট দিতে পারবেন। বাংলাদেশের সেরা সাতটি প্রাকৃতিক আশ্চর্যের নামেও ভোট দিতে পারেন আপনি। কিন্তু লক্ষ্য হচ্ছে প্রথম ২১, তারপর সেরা সাত। তাই হিমালয়, নায়াগ্রা জলপ্রপাত, আমাজান, সাহারা মরুভুমির মত শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বীদের সাথে লড়াইয়ে টিকে থাকার মত প্রাকৃতিক বিস্ময় নিয়েই নামতে হবে ভোটযুদ্ধে। আর সেই কারণেই কক্সবাজার ও সুন্দরবন হবে আমাদের সেরা মনোনয়ন।

বাংলাদেশের কক্সবাজার ও সুন্দরবনকে প্রথম ২১ প্রার্থীর তালিকায় নিয়ে যাওয়া পুরোটাই নির্ভর করবে ভোটের ওপর। ভারতীয়দের কোটি কোটি ভোট যদি তাজমহলকে নতুন সপ্তাশ্চর্যে স্থান করে দিতে পারে তাহলে আমরা বিশ্বের ৮ম জনবহুল দেশ হয়েও কেন কক্সবাজার ও সুন্দরবনকে প্রথম ২১ প্রার্থীর তালিকায় নিয়ে যেতে পারবো না ? উপরন্তু, আমাদের এই দুই প্রার্থীর যোগ্যতাও কিন্তু অন্যদের তুলনায় কোন অংশে কম নয়। আমাদের কক্সবাজার বিশ্বের সবচেয়ে দীর্ঘ ও নিরবিচ্ছিন্ন বালুকাময় প্রাকৃতিক সমুদ্র সৈকত। পৃথিবীর একমাত্র ১২০ কি.মি. দীর্ঘ এমন বালুকাবেলা পর্যটকদের জন্য যে কতটা ঈর্ষনীয় তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। অন্যদিকে, আমাদের সুন্দরবন ইউনেস্কোর বিশ্ব ঐতিহ্য হিসেবে স্বীকৃত। এই সুন্দরবন হল পৃথিবীর সর্ব বৃহত ম্যানগ্রোভ বন যার স্থলভাগের আয়তন ৪,১৪৩ বর্গ কি.মি. এবং জলভাগের আয়তন ১,৮৭৪ বর্গ কি.মি.। সুন্দরবনের মোট আয়তনের ৬২ শতাংশই পড়েছে বাংলাদেশের মধ্যে।

কক্সবাজার ও সুন্দরবনকে বিশ্বের দরবারে তুলে ধরতে হলে যেভাবে সম্ভব প্রচারনা বাড়িয়ে ভোট সংখ্যা বাড়াতে হবে। ইন্টারনেটে ইয়াহু বা গুগল গ্রুপে প্রচুর বাংলাদেশীরা আছেন। সেসব গ্রুপে এ ব্যাপারে প্রচারনা চালাতে হবে। ইদানিং বাংলা ব্লগিংয়ের নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হয়েছে এবং প্রচুর বাঙ্গালী প্রায় নিয়মিত বাংলা ব্লগিং করছেন। এ ধরনের ব্লগিং সাইটগুলোতে এই ব্যাপারে জোর প্রচারনা চালাতে হবে। মাইস্পেস, ফেইসবুক বা হাই৫ এর মত সামাজিক যোগাযোগের সাইটগুলোতে এই ব্যাপারে গ্রুপ খুলতে হবে। ইতোমধ্যে যদি কোন গ্রুপ থেকে থাকে তাহলে তাতে যোগদান করে অন্যান্য বন্ধুদেরকেও আমন্ত্রন জানাতে হবে। বাংলাদেশে যত সাইবার ক্যাফে আছে সেগুলোতে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদেরকে এ ব্যাপারে ভোট দেওয়ার জন্য উৎসাহিত করতে হবে। প্রবাসী বাংলাদেশি, যাদের ইন্টারনেট অনেক সহজলভ্য ও দ্রুতগতির তাদের আরও বেশি বেশি ভোট আমাদেরকে এগিয়ে নিয়ে যাবে সাফল্যের শিখরে।

বাংলাদেশ জনসংখ্যার দিক থেকে বিশ্বে ৮ম। কিন্তু বাংলাদেশে ইন্টারনেট ব্যবহারের হার অনেক কম। যারা ইন্টারনেট ব্যবহার করেন তাদেরকে বেশি বেশি ইমেইল অ্যাকাউন্ট খুলে ভোটের পরিমাণ বাড়িয়ে দিতে হবে। ২০০৮ সালের ৮ম আগষ্ট পর্যন্ত চলবে এই মনোনয়ন পর্ব। ততদিনে ভোটে ভোটে সয়লাব করে দিতে হবে। বাংলাদেশকে তুলে ধরতে হবে বিশ্বের সেরা সাত প্রাকৃতিক আশ্চর্যের তালিকায়। তাই চলুন ভোট দিই আর অন্যকে বলি কক্সবাজার ও সুন্দরবন কে ভোট দিন। আমারা আমাদের মূল্যবান সময়ের একটু কি দিতে পারি না প্রিয় বাংলাদেশকে বিশ্বের দরবারে মনোনিত করার জন্য? আসুন, আমরা একে কর্তব্য হিসেবে ধরি, প্রাকৃতিক সপ্তাশ্চর্যের মধ্যে যেন থাকে আমার প্রিয় স্বদেশের নাম।

(প্রথম আলো “ঈদসংখ্যা ২০০৭” এ পল্লব মোহাইমেনের লেখার পরিমার্জিত রূপ)


কিভাবে ভোট প্রদান করবেন? জানতে হলে এই লিংকে ক্লিক করুন।

ফেইসবুক গ্রুপ প্রাকৃতিক সপ্তাশ্চর্যে বাংলাদেশ। প্রায় তিন হাজার বাংলাদেশি নিয়ে গঠিত “প্রাকৃতিক সপ্তাশ্চর্যে বাংলাদেশ” বিষয়ক সর্ববৃহৎ গ্রুপ। আজই যোগদান করুন।
সর্বশেষ এডিট : ১০ ই নভেম্বর, ২০০৭ দুপুর ২:২০
১৮টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

কমলার জয়ের ক্ষীণ ১টা আলোক রেখা দেখা যাচ্ছে।

লিখেছেন সোনাগাজী, ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ৯:১৮



এই সপ্তাহের শুরুর দিকের জরীপে ৭টি স্যুইংষ্টেইটের ৫টাই ট্রাম্পের দিকে চলে গেছে; এখনো ট্রাম্পের দিকেই আছে; হিসেব মতো ট্রাম্প জয়ী হওয়ার কথা ছিলো। আজকে একটু পরিবর্তণ দেখা... ...বাকিটুকু পড়ুন

বিড়াল নিয়ে হাদিস কি বলে?

লিখেছেন রাজীব নুর, ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ৯:২৪



সব কিছু নিয়ে হাদিস আছে।
অবশ্যই হাদিস গুলো বানোয়াট। হ্যা বানোয়াট। এক মুখ থেকে আরেক মুখে কথা গেলেই কিছুটা বদলে যায়। নবীজি মৃত্যুর ২/৩ শ বছর পর হাদিস লিখা শুরু... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। বকেয়া না মেটালে ৭ নভেম্বরের পর বাংলাদেশকে আর বিদ্যুৎ দেবে না আদানি গোষ্ঠী

লিখেছেন শাহ আজিজ, ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ৯:৪১





বকেয়া বৃদ্ধি পেয়ে হয়েছে কোটি কোটি টাকা। ৭ নভেম্বরের মধ্যে তা না মেটালে বাংলাদেশকে আর বিদ্যুৎ দেবে না গৌতম আদানির গোষ্ঠী। ‘দ্য টাইম্স অফ ইন্ডিয়া’-র একটি প্রতিবেদনে এমনটাই... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। ভারত থেকে শেখ হাসিনার প্রথম বিবৃতি, যা বললেন

লিখেছেন শাহ আজিজ, ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২৪ দুপুর ১২:৩২



জেলহত্যা দিবস উপলক্ষে বিবৃতি দিয়েছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শনিবার (২ নভেম্বর) বিকালে দলটির ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এটি পোস্ট করা হয়। গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার... ...বাকিটুকু পড়ুন

=বেলা যে যায় চলে=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৪:৪৯



রেকর্ডহীন জীবন, হতে পারলো না ক্যাসেট বক্স
কত গান কত গল্প অবহেলায় গেলো ক্ষয়ে,
বন্ধ করলেই চোখ, দেখতে পাই কত সহস্র সুখ নক্ষত্র
কত মোহ নিহারীকা ঘুরে বেড়ায় চোখের পাতায়।

সব কী... ...বাকিটুকু পড়ুন

×