somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

শূণ্যবাদী

২৭ শে আগস্ট, ২০২১ দুপুর ২:০৪
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



আমরা কেনো exist করি? মানব জাতির অগ্রযাত্রাকে এগিয়ে নিতে এই প্রশ্নের ভূমিকা ছিলো অসামান্য। “কেনো exist করি”-এই প্রশ্ন থেকে মানুষ জীবনের পারপাস খুঁজে বের করতে থাকে। জীবনে কি করতে হবে? কিভাবে করতে হবে? ইত্যাদি। নানা কালে, নানা জাতিতে, নানা ভাবে এসব প্রশ্নের নানা উত্তর তৈরি হতে থাকে। তৈরি হতে থাকে নানান রিচুয়াল, বিশ্বাস, রীতি-নীতি, নানান সংষ্কৃতি-সভ্যতা, সাহিত্য, নানান বৈচিত্র। তবে জীবন সম্পর্কে আমরা কেউ কখনো একমত হতে পারি নি।

We’re all practitioners. We practice life. - Jubair Hossain Jihad

আমাদের জেনারেশনের স্বাভাবিক জীবন চক্রের দিকে একবার চোখ বোলানো যাক। একটা খালি স্লেট এর মত আমরা জন্ম নেই। আমাদের আশেপাশের সব কিছু থেকে আমাদের স্মৃতি, চিন্তার গঠন, স্বাভাবিক (!) অনুভূতি, ভালো লাগা, খারাপ লাগা ইত্যাদির বিকাশ ঘটতে থাকে। জীবন, সমাজ, সংস্কৃতি, অর্থনৈতিক ও ধর্মীয় অবকাঠামো সম্পর্কে আমরা জানতে শুরু করি। সে অনুযায়ী আমাদের নিজেদের জীবন ও গড়তে শুরু করি। আবেগ, অনুভূতি, মস্তিষ্কের জটিল ক্রিয়াকলাপ আমাদের এইসকল অভিজ্ঞতা থেকে প্রভাবিত হতে থাকে। সময়ের (!) সাথে সাথে আমাদের নতুন নতুন অভিজ্ঞতা হতে থাকে, নতুন চিন্তাধারা বিকশিত হতে থাকে। আমাদের জেনারেশনে জীবনের প্রথম ভাগটা আমরা কাটাই জীবন, সমাজ, সংস্কৃতি, অর্থনৈতিক ও ধর্মীয় অবকাঠামো সম্পর্কে জানার মাধ্যমে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে জীবনের এই পর্যায় পর্যন্ত প্রাণী হিসেবে আমাদের জীবন পরিচালনার মূল (core) বিষয়গুলো আমাদের অবিভাবক হিসেবে আমাদের পিতা-মাতা পূরণ করে থাকে। একটা নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত জানার পর আমরা এবার জীবন যাপনের অসংখ্য পথ থেকে যে কোনো একটি বেঁছে নেই বা বেঁছে নিতে বাধ্য হই। আরও নানা আবেগ, অনুভূতি, অভিজ্ঞতার মধ্য দিয়ে আমরা জীবনের সময়টুকু পার করতে থাকি। এই যাত্রায় আমরা অনেক বাধার সম্মুখীন হই। ডিপ্রেশন, অবসেশন, হীনমন্যতা, শূন্যতা, একাকীত্ব, উচ্চাশা, উচ্ছ্বাস, রাগ, হিংসা - এককথায় আমাদের চেতনার নানান পরিক্রমার মুখোমুখি হতে হয় আমাদের। কোনো না কোনোভাবে আমরা এগুলোর মোকাবেলা করতে শিখি। কিছু কিছু ক্ষেত্রে একটা নির্মল বা দূর্বল মস্তিষ্কের জন্য চেতনার এই পরিক্রমা অতিক্রম করা কঠিন হয়ে উঠতে পারে। ফলাফল হিসেবে মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে ফেলা বা জীবনের ইতি টানার মত ঘটনা বিরল নয়। যদিও এই লেখার মুখ্য বিষয় জীবন কি, কে কিভাবে অতিক্রম করছে তা নয়। আমাদের চেতনা দ্বারা অনুভূত সকল পরিক্রমার বাইরে বের হয়ে অন্য একটি পরিক্রমায় জীবনের অবকাঠামোকে ফেলে সে অভিজ্ঞতা কেমন হতে পারে তা একটু বোঝার চেষ্টা করা।

Time is a great healer. - mentioned by “Allison Pearson”

সময়ের যাত্রা থেকেই একটু ঘুরে আসা যাক। ইতিহাস, প্রত্নতত্ব ইত্যাদি নানান জ্ঞান বিকাশের মাধ্যমে মানব জাতি এখন পর্যন্ত যে তথ্যগুলো খুঁজে বের করেছে বা ধারণা করছে তা থেকে মানা যায় বা কেবল ধারণা করা যায় মানুষ একসময় বর্তমান মানুষদের থেকে ভিন্ন স্থানে (গুহা) বসবাস করতো, ভিন্ন ধরণের খাবার গ্রহণ করতো, ভিন্ন ভাবে শিখতো, ভিন্ন ভাবে ভাবতো, ভিন্ন ঈশ্বরের সামনে মাথা নত করতো। তদুপরি জীবনের অর্থ (!) বর্তমান মানুষদের থেকে সে সময়ের মানুষদের প্রবলভাবে ভিন্ন ছিলো। Try to be in that shoes for once. Try to use your corporate systematic modified weirdly used brain to imagine, what if you were born on that time. যদি এটুকু ভাববার মত সময় বা সামর্থ (!) থাকে তাহলে একটু হলেও বুঝতে পারবেন জীবনের অর্থ কিভাবে নিমিষেই বদলে যেতে পারে।

Every mind is a universe itself. - Unknown

সময় (!) একটি অভূতপূর্ব ব্যবধান। এর গণ্ডিও কল্পনাতীত। তাই সময়ের সাথে বিবাদে না গিয়ে সমসাময়িক জীবনের দিকে দৃষ্টিপাত করাটাই কম স্পর্ধার কাজ হবে বলে আমি মনে করি। তবে এখানেও বিবাদ নেই তা নয়। আছে পরিস্থিতির বিবাদ, স্থানের বিবাদ।

পরিস্থিতির বিবাদ:
এই বিষয়টি আমরা সবাই বুঝি, একই সাথে কেউ বুঝি না। কারণ আমাদের মস্তিষ্ক এত জটিল বিষয়াদি প্রসেস করার জন্য যথেষ্ট ক্ষমতাধর নয়। বোঝার সুবিধার্থে চলুন অন্য কারো জীবন থেকে ঘুরে আসা যাক।

“আপনি, বর্তমান সময়ের একজন স্বাভাবিক মানুষ। যে স্বাভাবিক ভাবে জীবন যাপন করছেন এবং স্বাভাবিক চেতনাগত পরিক্রমার মধ্য দিয়ে যাচ্ছেন। আপনি জীবনের একটি নির্দিষ্ট সময় জীবন, সমাজ, সংস্কৃতি, অর্থনৈতিক ও ধর্মীয় অবকাঠামো সম্পর্কে জেনেছেন। আপনি আপনার এই শিক্ষাজীবন (!) এর অধিকাংশ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন আপনি শৈশবের প্রিয় একটি কোম্পানিতে চাকরী করার জন্য। এবং আপনি গত চার বছর ধরে এই কোম্পানিতে কাজ করছেন। সম্প্রতি কোম্পানিটি একটি নতুন মালিকানায় পরিবর্তীত হওয়ায় কোম্পানির লাইনআপে বেশ কিছু পরিবর্তন আনতে হয়। এই পরিবর্তনের সূত্র ধরে আপনিসহ আরও প্রায় ৪০ জন তাদের চাকরী হারান। অর্থনৈতিক স্বাধীনতার বিষয়টিকে সরিয়ে রেখে যে বিষয়টি আপনাকে বিব্রত করছে তা হলো শৈশবের প্রিয় কোম্পানি থেকে আপনার বিচ্যুতি। আপনি আপনার ছাড়পত্র হাতে নিয়ে কোম্পানি থেকে বেরিয়ে পরলেন এবং কোনোরকম ভাবনা ছাড়াই হাঁটতে শুরু করলেন। আপনি আপনার মস্তিষ্কের চাঞ্চল্যতার এবং চেতনাগত স্বাভাবিক ক্রিয়াপ্রণালী দ্বারা নিয়ন্ত্রিত ভাবনার মধ্যে সীমাবদ্ধ থেকে রাস্তা দিয়ে হাঁটছেন। অফিস থেকে বাসার পথে পার্কের ধার দিয়ে হাঁটার সময় আপনি আপনার সামনে কিছু মানুষের দলকে একত্রে হেঁটে যেতে দেখলেন। এবং তারা সাতিশয় ধীর গতিতে হাঁটছিলো। আপনি আপনার সাম্প্রতিক চেতনাগত অভিজ্ঞতা থেকে হতাশ থাকায় ইতিমধ্যেই ধীর গতিতে হাঁটছিলেন। আপনি ভাবছেন কিভাবে মানুষদের একটি পুরো দল এত ধীরগতিতে হাঁটতে পারে। আপনি আরও কয়েকপা এগিয়ে গেলেন এবং এই ধীরগতিতে চলা দলের ওপর স্বাভাবিক কারণে বিরক্তি এবং ক্ষিপ্ত অনুভব করতে লাগলেন। আপনি মোটামুটি নিশ্চিত হলেন যে এই দলটির অন্যের জন্য বিন্দুমাত্র কদর নেই এবং তাদের পেছনে আপনার উপস্থিতি অনুভব করেও তারা ধীরগতিতেই হেঁটে চলেছে। আপনার চেতনাগত দিক থেকে এই দলটি আপনার সম্পূর্ণ পথরোধ করে হেঁটে চলেছে। আপনি দৃঢ়ভাবে হাঁটতে লাগলেন এবং সারির দুজন ব্যাক্তির সাথে কাঁধ ঠেকিয়ে সামনে এগিয়ে গেলেন। দলটিকে অতিক্রম করার সময় আপনি বললেন, “Excuse me.”। যার শাব্দিক অর্থ “Excuse me” হলেও, ভাবগত অর্থ অনেকটা এরকম শোনালো “Get out of my way.” তারপর আপনি আপনার পথে এগিয়ে গেলেন। যে দুজনের সাথে কাঁধ ঠেকিয়ে আপনি এগিয়ে গেলেন, তাদের মধ্যে একজন, স্যাম। যে ৬ মাস আগে জানতে পারে সে ASL বা Amyotrophic lateral sclerosis নামে একটি প্রান্তিক ব্যাধিতে আক্রান্ত। যা মস্তিষ্ক এবং স্পাইনাল কর্ড এর সাথে জড়িত কোষগুলোকে প্রভাবিত করার মাধ্যমে শরীরের পেশীগুলিকে ধ্বংস করে। স্যামের পরিবার এবং বন্ধুরা স্যামকে নিয়ে বাইরে খেতে গিয়েছিলো এবং তার সাথে হাঁটছিলো। এই রোগটির কারণে স্যামের হাঁটার ক্ষমতা ধীরে ধীরে বিলুপ্ত হচ্ছিলো এবং সে হুইলচেয়ারে অথবা খুব ধীরে ধীরে এবং ডাক্তারের বর্ণিত পদ্ধতিগতভাবে হাঁটতে বাধ্য হচ্ছে। যখন আপনি স্যাম এবং তার একজন বন্ধুর সাথে কাঁধ ঠেকিয়ে এগিয়ে গেলেন, স্যামের বন্ধু এবং পরিবার খুব দুঃখিত এবং লজ্জিত বোধ করতে লাগলো। যা স্যামকে মনে করিয়ে দিচ্ছিলো যে সে মারা যাচ্ছে এবং তার আশেপাশের মানুষদের কাছে বিরক্তির কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে। তারপর স্যাম ভাবলো আপনি কতটা অবিবেচক এবং স্বার্থপর ছিলেন। এই ভাবনাটি স্যামের মন খারাপকে মুহুর্তেই রাগে বদলে দিলো। স্যামের মা এসময় স্যামকে জিজ্ঞেস করলেন যে সে ঠিক আছে কিনা, এবং বাড়ি ফিরে যাবার প্রস্তাব করলেন। স্যাম ভাবলো তার মা তার অনুভূতি সম্পর্কে বুঝতে পারছে না এবং তাকে বিব্রতকর পরিস্থিতিতে ফেলছে। স্যাম তার মাকে ক্ষীণ রাগত স্বরে বললেন, “আমার কাছে কিছু সময় বাকি আছে মা, দয়া করে এটাকে নষ্ট করো না।” স্যামের মার নিজেকে শক্ত রাখার প্রচেষ্টার কারণে স্যামের কোনো ধারণাই ছিলো না কথাটি তার মাকে কতটা প্রভাবিত করেছে। পরের দিন স্যামের মা পাশের একটি লিকারের দোকানে যান। যখন সে লাইনে দাঁড়িয়ে ছিলেন, তার সামনের চারজনের মধ্যে প্রথম জন একজন বয়স্ক ব্যক্তি ছিলেন। যার কার্টে ওয়াইনসহ প্রায় ৩৫ টি আলাদা ধরণের লিকার ছিলো। যার কারণে দোকানীর লেনদেন এ আপত্তিজনকভাবে বেশি সময় লাগছিলো। স্যামের মা ভাবলেন, "কে একসাথে এত পরিমাণ লিকার কেনে? নিশ্চয় লোকটি একজন এলকোহলিক এবং সারা মাসের লিকার একসাথে স্টক করছে।" যখন বয়স্ক লোকটি আরও কিছু বোতলের জন্য দোকানীকে বললেন, স্যামের মা বিরক্তিসহকারে বললেন, “Oh my God! Are you serious?” স্যামের মা কথাটি যথাসম্ভব নমনীয় ভাবে বললেও লোকটির শোনার জন্য যথেষ্ট ছিলো। এদিকে বয়স্ক লোকটি কোনো এলকোহলিক ছিলেন না। সে তার শৈশবের একমাত্র বন্ধুর শেষযাত্রার জন্য লিকারগুলো কিনছিলেন, যে কিনা দীর্ঘ ভোগান্তির পর মৃত্যুবরণ করেছিলেন। সে একাই শেষযাত্রার সকল ব্যবস্থা করছিলেন এবং প্রকৃতপক্ষে অন্য কারো তাকে সাহায্য করার ইচ্ছা ছিলো না বলেই সে বোধ করছিলো। বয়স্ক লোকটি স্যামের মা'র সম্পর্কে ভাবলেন, “মাত্র কিছু মিনিট বেশি সময়ের জন্য মহিলাটি অধৈর্য হয়ে পরছেন এবং সে কতটা অনান্তরিক।” লোকটি লিকার ক্রয় শেষে দোকান পরিত্যাগ করলেন এবং তার গাড়িতে করে শেষযাত্রার দিকে যাচ্ছিলেন। তার যাত্রাপথে একটি ছোট টোল ব্রিজ পরে যেখানে সকল পথযাত্রীকে পঁয়তাল্লিশ টাকা টোল ফি পরিশোধ করতে হয়। বয়স্ক লোকটি টোল অতিক্রম করার সময় টোল কালেক্টরকে ঠিকভাবে না খেয়াল করেই পঁয়তাল্লিশ টাকা প্রায় ছুড়ে মারলেন এবং তার গাড়ি নিয়ে এগিয়ে গেলেন। টোল কালেক্টরের কাছে এমন ঘটনা নতুন কিছু ছিলো না। সে ছোট থেকেই এমন ব্যবহারের সঙ্গে পরিচিত এবং টোল কালেকশন এর চাকরীটি তাকে অনেকটাই তিক্ত করে তুলেছিলো। এধরণের অপ্রীতিকর অভিজ্ঞতা তার জন্য নতুন কিছু ছিলো না, অথবা ঘটনাটি তার চেতনাগত কাঠামো থেকে মোটেই অপ্রীতিকর ছিলো না। বয়স্ক লোকটি গাড়ি নিয়ে চলে যাবার সাথে সাথেই টোল কালেক্টর ঘটনাটি সম্পর্কে ভুলে গেলেন। লাইনের পরবর্তী গাড়িটি টোল কালেক্টরের বুথের সামনে এসে দাঁড়ালো। টোল কালেক্টর নিষ্প্রাণ চোখ নিয়ে ড্রাইভারের দিকে তাকিয়ে বললেন, “পঁয়তাল্লিশ টাকা”। ড্রাইভার তার ওয়ালেট থেকে চল্লিশ টাকা বেড় করলেন এবং ভাঙ্গতি পাঁচ টাকা খুঁজতে লাগলেন। টোল কালেক্টর বিরক্তিসূচক কণ্ঠে বললেন, “পরেরবার থেকে ভাঙ্গতি টাকা নিয়ে ব্রিজে উঠবেন।” গাড়িটির ড্রাইভার টোল কালেক্টরের দিকে তাকালেন এবং ভাবলেন "গাড়ি থেকে নেমে এই কালেক্টরের গালে কয়েকটা ঘুষি বসিয়ে দেয়া যায় কিনা। তার সাহস কিকরে হয় আমার সাথে এভাবে কথা বলার!” লোকটি কিছুক্ষণ আগে তার প্রেমিকার সাথে একপ্রকার ঝগড়া করে এসেছেন এবং সঠিকভাবে জানতেন না তার সম্পর্কের পরবর্তী ধাপ কি হতে পারে। হয়তো সম্পর্কটি ভেঙ্গে যেতে পারে এবং সে একটি অনিয়ন্ত্রিত মানসিক চাঞ্চল্যের স্বীকার হতে পারে, যা তার পরবর্তী জীবনে সম্পর্কের ক্ষেত্রে প্রভাব ফেলতে পারে। তারপর ড্রাইভার ভাবলেন, "হয়তো টোল কালেক্টর একটি খারাপ দিন অতিবাহিত করছে। হয়তো তার জীবনে সম্প্রতি কোনো খারাপ ঘটনা ঘটেছে। সে হয়তো স্বাভাবিকভাবে এমন নয়।" তারপর ড্রাইভার তার গাড়িতে খুচরা পাঁচ টাকা খুঁজে পেলেন এবং টোল ফি পরিশোধ করলেন। গাড়ি ছেড়ে যাবার পূর্বমূহুর্তে ড্রাইভার টোল কালেক্টরের দিকে তাকিয়ে ক্ষীণ হাসি নিয়ে বললেন, “Have a good rest of the day, man!” অবশ্যই ড্রাইভার ভুল ছিলো। টোল কালেক্টরের জন্য এটি অন্য সাধারণ দিনের মতোই ছিলো এবং সম্প্রতি কোনো কিছুই পূর্বের থেকে বেশি খারাপ ঘটেনি। যদিও ড্রাইভার টোল কালেক্টরের বিষয়ে ভুল ছিলো, তবুও এই ঘটনাটিতে তার পঁয়তাল্লিশ টাকাই খরচ হলো। না বেশি, না কম।"

সমসাময়িক জীবনে পরিস্থিতির বিবাদ সম্পর্কে আমরা অবগত থাকলেও বিষয়টিকে আমরা ততটা গুরুত্ব নিয়ে দেখতে পারি না। পূর্বেই বলেছি, আমাদের মস্তিষ্ক ঠিক এই ধরণের ঘটনায় অন্যের পরিস্থিতি সম্পর্কে বিবেচনা করার জন্য যথেষ্ট দূর্বল।

অন্যদিকে স্থানগত বিবাদকে আমাদের মস্তিষ্ক কিছুটা বেশি গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনা করে। আমরা প্রায় সকলেই অন্য স্থানের (দেশ) বা অন্য ভাষাভাষী মানুষদের সম্পর্কে ভাবি যে তাদের জীবন কতটা অন্যরকম (সেটা ভালো বা খারাপ দু অর্থেই হতে পারে)।

এসকল চেতনাগত পরিক্রমা, নানান অভিজ্ঞতার মাধ্যমে মানুষের জীবনে নানাবিধ পরিবর্তন এবং বৈচিত্র্য আসে। আমরা কেনো exist করি? কিভাবে আমাদের জীবন অতিবাহিত করা উচিৎ এমন নানান মতাদর্শ তৈরি হতে থাকে। যাদের মস্তিষ্ক নিজেদের মতাদর্শের উন্নতি ঘটানোর পক্ষে যথেষ্টই দূর্বল, তারা জীবন যাপনের জন্য অন্যের মতাদর্শকে অনুসরণ করে থাকে। তৈরি হয় নানান জীবন দর্শন। জীবনে হাজারো বৈচিত্র্য থাকা সত্বেও মানুষ তাদের জীবনকে দর্শনসাস্ত্রের কিছু গদবাধা ছকের মাধ্যমেই মেপে নিতে পারে। এই গদবাধা ছকের একটি পূর্ণাঙ্গ তালিকা দেখতে এই লিংক থেকে ঘুরে আসতে পারেন: Click This Link
আর যারা দর্শনের কঠিনতম সৌন্দর্যকে উপেক্ষা করে জীবন সম্পর্কে প্রবল দূর্যোগের মুখোমুখি হতে চান না, তারা একদৃষ্টিতে দর্শনের প্রয়োজনীয় ধারায় নজর দিয়ে নিতে পারেন Simplified Philosophy এর এই স্থিরচিত্র থেকে:



Stoicism, Humanism, Theism, Holism, Modernism সহ আরও বেশ কিছু দর্শনের সাথে আপনি পরিচিত হলেন। একবার ভেবে দেখার চেষ্টা করুন তো, কোনো এক নির্দিষ্ট চেতনাগত চিন্তাধারায় বিকশিত হওয়া অন্য একজন মানুষের জীবন বা জীবনের অর্থ কেমন হতে পারে। অবশ্যই আপনি নিজেও কোনো না কোনো একটি নির্দিষ্ট চেতনাগত চিন্তাধারায় বিকশিত হওয়া মানুষ। আমার এই লেখার মূল বিষয় পূর্বেও একবার উল্লেখ করেছি। "আমাদের চেতনা দ্বারা অনুভূত সকল পরিক্রমার বাইরে বের হয়ে অন্য একটি পরিক্রমায় জীবনের অবকাঠামোকে ফেলে সে অভিজ্ঞতা কেমন হতে পারে তা একটু বোঝার চেষ্টা করা।" আসুন Nihilism কেই বোঝার চেষ্টা করা যাক। কেনো?

যারা আমার টুকটাক লেখা পড়েন তারা জানেন, আমার পূর্বের লেখাগুলোয় নিহিলিজমকে বেশ কয়েকবার উপস্থাপন করা হয়েছে। কেনো করা হয়েছে?
-যেহেতু মানুষের চেতনাগত বিকাশ সাধিত হয়, তাই কোনো একটি মানুষ তার পুরো জীবন কোনো একটি নির্দিষ্ট ছকে পার করেন না। জীবন মতাদর্শের রদবদল হতে পারে, সম্পূর্ণ একটি নতুন জীবন দর্শন তৈরি হতে পারে। যে বিষয় কিছুদিন আগে খারাপ লাগতো তা এখন ভালো লাগতে পারে, যে ঘটনা কিছুদিন আগে অবাক করতো তা এখন খুব সাধারণ মনে হতে পারে। আর বেশিরভাগ মানুষ তার জীবনের কোনো না কোনো মুহুর্তে নিহিলিজমের মুখোমুখি হয়ে থাকে। আমার টাইমলাইনে "Nothing” শিরোনামে পূর্বের দুটি লেখা পড়লে হয়তো বিষয়টা পুরোপুরি বুঝতে পারবেন। আর একজন নিহিলিস্ট এর জীবন বোঝার আরেকটা কারণ হতে পারে, এটি একটি চিরন্তন সত্য। মানুষের চেতনাগত উন্নতির একটি পর্যায়ে এসে আপনাকে নিহিলিজম এর মুখোমুখি হতে হবে, যা উপেক্ষা করা প্রায় অসম্ভব। কারণ মস্তিষ্ক পেছনের দিকে চলা বা নিজের জ্ঞানের কিছু অংশ মুছে ফেলার মত উন্নত এখনো হয়ে ওঠেনি।

Even a nihilist can't imagine how another nihilist feels like. - Jubair Hossain Jihad

তাহলে, একজন নিহিলিস্ট এর জীবন কেমন? তার কাছে জীবনের অর্থ কি?

মনে করুন আপনি একজন ভোজন রসিক মানুষ। খেতে প্রচণ্ড ভালোবাসেন। এবার এমন একটা পরিস্থিতির কথা চিন্তা করুন তো যেখানে আপনার ক্ষুধা অনুভব হয় না। আপনি কোনো ভারী খাবার ছাড়াই শুধু পানীয় পান করে দিন অতিবাহিত করছেন। কিন্তু এতে আপনার স্বাভাবিক দৈহিক জীবনে কোনো পরিবর্তন ই আপনি অনুভব করতে পারছেন না। কোনো ক্ষুধা নয়, পেটের পীড়া নয়, মাথা ঘোরা নয়। অতঃপর ক্ষুধার কথা বিবেচনা না করে আপনি শুধুমাত্র খাবারের স্বাদ গ্রহণের জন্য খাবার গ্রহণের কথা চিন্তা করলেন, কিন্তু আপনার জিহ্বার টেস্ট বাডস আপনার সিদ্ধান্তে স্বায় দিলো না। আপনার সামনে টেবিল ভর্তি আপেক্ষিকভাবে প্রচণ্ড মজাদার (!) খাবার সাজানো। আপনি প্রতিটি খাবার মুখে দিচ্ছেন এবং ভাবছেন এই খাবারের উপকরণগুলো বা কোনো একটি নির্দিষ্ট উপকরণ আপনার মস্তিষ্কের থ্যালামাস হয়ে সেলেব্রাল কর্টেক্স এবং গাস্টেটরি কর্টেক্স এ কোনো ধরণের রাসায়নিক ক্রিয়ার মাধ্যমে আপনাকে স্বাদের অনুভূতি প্রদান করবে। কিন্তু সেরকম কিছুই ঘটে না। কোনো কারণ ছাড়াও আপনি খেতে পারছেন না, because you’re not feeling empty. Seems like you’ve lost your ability to feel empty or full. খাবার গ্রহণের পুরো প্রক্রিয়াকেই আপনার তখন অর্থহীন মনে হতে থাকবে।

Nihilism এর প্রারম্ভিক কালে আমার অভিজ্ঞতা নিয়ে একটা পোস্ট করেছিলাম। লেখাগুলো অনেকটা এরকম:

“I'm not a nice guy next door. I'm a freak, an oddball. I wake up every morning with a limited amount of tolerance and a lot of arrogance. I walk to my workplace with a smile, expressing care for people and saying good things to them. Inside, I don't really care about them or got any interest to talk with them. I wake up every morning with a reflection in my mind that there is another day I have to live. I feel no inner peace, no purpose, just a rough feeling that It'll end someday. I tell people what they should do, while I'm living with zero ideas about what I should do. I stay quiet when you're telling me how should I live, while you have zero ideas about what I'm going through. I take care of my .Xauthority and /configs, while I lost my ownership and living's necessities. End of the day, I'm just a human with emotions, lackings, weakness, and pains. A rough, arrogant human.”

মানুষের চেতনাগত সকল অনুভূতির মধ্যে একধরণের মিল খুঁজে পাওয়া যায়। যখন একজন মানুষের অনুভূতি এসকল চেতনাগত পরিক্রমা থেকে একটু ভিন্ন হয় (যদিও তা চেতনাগত পরিক্রমার অন্য একটি রূপ) তখন আমাদের পূর্ব অনুভূত সত্য বা বাস্তব collapse করতে থাকে। বিষয়টা একটু বোঝার চেষ্টা করা যাক।

আজ সকালে আপনি ঘুম থেকে জেগে উঠলেন, ঠিক প্রতিদিন যেমন ওঠেন, কোনো বস্তুগত অসাদৃশ্য পরিলক্ষিত না করেই। সব কিছুই সাধারণ ছিলো। আপনি প্রতিদিনের মত আপনার মুখমণ্ডল পরিষ্কার করলেন এবং খাবার টেবিলে বসে খাবার গ্রহণ করতে লাগলেন। এমন সময় আপনি কিছু একটা শুনতে পেলেন যা আপনার কাছে প্রচণ্ড অদ্ভুদ মনে হতে লাগলো, কিন্তু আপনি ঠিক নিশ্চিত ছিলেন না কোন বিষয়টি অদ্ভুদ। একটু মনোযোগ দেবার পর আপনি বুঝতে পারলেন, পাশের ঘরে আপনার সন্তান গণিত নামক একটি সুনির্দিষ্ট এবং সুবিন্যস্ত সাংকেতিক পদ্ধতিগত নিয়ম সম্পর্কে জানার চেষ্টা করছে। কিন্তু সে যে পদ্ধতিগত উত্তরে এসে উপনীত হচ্ছে তা আপনার এ পর্যন্ত অর্জিত জ্ঞান দ্বারা ভুল বলে বিবেচিত হচ্ছে। সে পড়ছে, "দুই যোগ দুই সমান পাঁচ"। আপনি পাশের ঘরে গেলেন আপনার সন্তানের ভুল শুধরে দেবার জন্য। আপনি তার ঘরে গেলেন, কিন্তু তার ভুল ধরিয়ে দেবার পূর্বেই আপনার চোখ পরলো তার সামনে খুলে রাখা বইয়ের ওপর যেখানে লেখা আছে "দুই যোগ দুই সমান পাঁচ"। আপনার কাছে এই বিষয়টিও খুব অদ্ভুদ মনে হলো এবং আপনি আপনার সন্তানকে কিছু না বলেই সে ঘর থেকে চলে আসলেন। কিচেনে আপনার স্ত্রীকে বিষয়টা জিজ্ঞেস করলে সে উত্তর দিলো "দুই আর দুই সমান পাঁচ" এবং আপনাকে নিয়ে বিদ্রূপ করে জানতে চাইলো আপনার কিছু হয়েছে কিনা, আপনি এমন অদ্ভুদ প্রশ্ন করছেন কেনো? এবার আপনি বিষয়টি নিয়ে আশ্চার্যজনক ভাবে বিভ্রান্ত এবং ঐকান্তিক হতে শুরু করলেন। আপনি আপনার ঘরে ফিরে গেলেন, এবং আপনার ল্যাপটপ থেকে বিষয়টি সার্চ করলেন। কয়েক মিলিসেকেন্ড সময়ের ব্যবধানে আপনার ল্যাপটপের স্ক্রিনে উত্তরটি ভেসে উঠলো। সেখানে লেখা ছিলো "দুই যোগ দুই সমান পাঁচ"। আপনি তাৎক্ষনাত আপনার সেল ফোন হাতে নিলেন এবং আপনার একজন বন্ধুকে কল করে সমস্যাটি সম্পর্কে বললেন। আপনার বন্ধুও আপনাকে একই উত্তর দিলেন, "দুই যোগ দুই সমান পাঁচ"। আপনি ছোট থেকে আপনার পরিবার, বন্ধু-বান্ধব, শিক্ষক-শিক্ষিকা, আত্মীয়-স্বজন, সকলের কাছে যা জেনে এসেছেন তা হলো, "দুই যোগ দুই সমান চার"। এমনকি গতরাতে আপনি ঘুমানোর আগ পর্যন্ত যা ছিলো তা হলো "দুই যোগ দুই সমান চার"। আপনি ভাবতে লাগলেন নিশ্চয় আপনার হ্যালুসিনেশন হচ্ছে অথবা সবাই আপনার সাথে একটা গুরুত্বর মজা করার চেষ্টা করছে।

One plus one equals two. That's all we've learned. But one plus one is never equal to two. There are, in fact, no numbers and no letters. We've codified our existence to bring it down to human size to make it comprehensible. We've created a scale so that we can forget its unfathomable scale. - Lucy: Lucy

সত্য এবং বাস্তবিকতার সাথে আমাদের চেতনাগত অনুভুতি এবং অভিজ্ঞতাগুলোর বিবাদের আরেকটি উদাহরণ দেয়া যেতে পারে।

আমরা সবাই জীবন সম্পর্কে একমত না হতে পারলেও মৌলিক কিছু বিষয়ে আমরা সবাই একমত। যেমন ধরুন একটি নীল গাড়িকে আমরা সবাই নীল গাড়িই বলবো। এবার একজন বর্ণান্ধ মানুষের কথা ভাবুন। আমাদের চোখের আলো থেকে রঙ আলাদা করার বা চেনার যে পদ্ধতি তা বর্ণান্ধ মানুষদের জন্য একরকম নয়। একজন টোটাল কালার ব্লাইন্ড (known as Monochromacy) মানুষের জন্য বস্তুজগতের সকল কিছুই সাদা-কালো। বস্তু জগতের বাস্তবিকতা বা সত্যকে যদি আমরা আমাদের পূর্ব অভিজ্ঞতা এবং অনুভূতি দ্বারা বিবেচনা করি তাহলে একজন বর্ণান্ধের কাছে বাস্তব বা সত্য এটাই যে বস্তুজগতে রঙ এর কোনো উপস্থিতি নেই। সে যদি এটা স্বীকার করেও নেয় যে গাড়িটি নীল রঙয়ের, তাহলে সে সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষের অনুভূতি বা অভিজ্ঞতাকে বাস্তব বা সত্য হিসেবে স্বীকার করে নিচ্ছে। যেখানে সে কখনো নীল বা বস্তুত কোনো রঙয়ের সাথেই পরিচিত হয়নি।

If you open your mind too much, your brain will fall out. - Tim Minchin

--
Story credit: Pursuit of Wonder
Simplified Philosophy: ©John Atkinson, Wrong Hands
Being a Nihilism Artwork: Jubair Hossain Jihad
সর্বশেষ এডিট : ২৭ শে আগস্ট, ২০২১ দুপুর ২:০৫
২টি মন্তব্য ২টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। ট্রাম্পকে শুভেচ্ছা জানালেন ড. ইউনূস

লিখেছেন শাহ আজিজ, ০৬ ই নভেম্বর, ২০২৪ রাত ৯:১০





যুক্তরাষ্ট্রের ৪৭তম প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ায় ডোনাল্ড ট্রাম্পকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস।শুভেচ্ছা বার্তায় ড. ইউনূস বলেন, ‘মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে বিজয়ের জন্য আপনাকে... ...বাকিটুকু পড়ুন

শীঘ্রই হাসিনার ক্ষমতায় প্রত্যাবর্তন!

লিখেছেন সৈয়দ মশিউর রহমান, ০৭ ই নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ৯:৩৮


পেক্ষার প্রহর শেষ। আর দুই থেকে তিন মাস বাকি। বিশ্ব মানবতার কন্যা, বিশ্ব নেত্রী, মমতাময়ী জননী, শেখ মুজিবের সুয়োগ্য কন্যা, আপোসহীন নেত্রী হযরত শেখ হাসিনা শীগ্রই ক্ষমতার নরম তুলতুলে... ...বাকিটুকু পড়ুন

কাছে থেকে আমির হোসেন আমুকে দেখা একদিন....

লিখেছেন জুল ভার্ন, ০৭ ই নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ১০:৪৬

আমির হোসেন আমুকে দেখা একদিন....

২০০১ সালের কথা। খাদ্য মন্ত্রণালয়ের একটা আন্তর্জাতিক দরপত্রে অংশ গ্রহণ করে আমার কোম্পানি টেকনিক্যাল অফারে উত্তীর্ণ হয়ে কমার্শিয়াল অফারেও লোয়েস্ট হয়েছে। সেকেন্ড লোয়েস্টের সাথে আমার... ...বাকিটুকু পড়ুন

=নারী বুকের খাতায় লিখে রাখে তার জয়ী হওয়ার গল্প (জীবন গদ্য)=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ০৭ ই নভেম্বর, ২০২৪ দুপুর ২:৩২



বুকে উচ্ছাস নিয়ে বাঁচতে গিয়ে দেখি! চারদিকে কাঁটায় ঘেরা পথ, হাঁটতে গেলেই বাঁধা, চলতে গেলেই হোঁচট, নারীদের ইচ্ছেগুলো ডিমের ভিতর কুসুম যেমন! কেউ ভেঙ্গে দিয়ে স্বপ্ন, মন ঢেলে... ...বাকিটুকু পড়ুন

বিশ্রী ও কুশ্রী পদাবলির ব্লগারদের টার্গেট আমি

লিখেছেন সোনাগাজী, ০৭ ই নভেম্বর, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:০৫



আমাকে জেনারেল করা হয়েছে ১টি কমেন্টের জন্য; আমার ষ্টেটাস অনুযায়ী, আমি কমেন্ট করতে পারার কথা; সেটাও বন্ধ করে রাখা হয়েছে; এখন বসে বসে ব্লগের গার্বেজ পড়ছি।

সম্প্রতি... ...বাকিটুকু পড়ুন

×