#Supermoon
আগামী ২৮ সেপ্টেমবর ২০১৫, পৃথিবীবাসী সাক্ষি হতে যাচ্ছে আরেকটি সুপারমুনের ।
সুপারমুন হলো চাঁদের একটি অবস্থা । চাঁদ যখন পৃথিবীর খুব কাছে আসে তখন চাঁদকে তুলনামূলক বড় (১২ থেকে ১৪ শতাংশ) ও উজ্জ্বল দেখায় । পূর্ণ গোলাকার চাঁদের এই অবস্থাকে সুপারমুন বলে । বাংলায় সুপারমুনের কোন প্রতিশব্দ নেই । অনেকে এটাকে অতিকায় চাঁদ বলে থাকে ।
সুপারমুনে চাঁদ স্বাভাবিকের চেয়ে ১৪ শতাংশ বড় ও ৩০ শতাংশ বেশী উজ্জ্বল দেখাবে ।
পৃথিবীর সাথে চাঁদের সর্বনিম্ন দূরত্ব ৩ লক্ষ ৫৭ হাজার কিলোমিটার ।
গত ৩০ বছরে চাঁদ পৃথিবীর এতো কাছে আসেনি ।
এই সুপারমুন স্থায়ী হবে কমপক্ষে ১ ঘন্টা ১২ মিনিট । এ সময় সূর্য,পৃথিবী ও চন্দ্র এক সরলরেখায় থাকবে যাকে বলে পূর্ণচন্দ্রগ্রহন ।
জ্যোতির্বিজ্ঞানের ভাষায় পৃথিবীর সাথে চাঁদের সবচেয়ে নিকটতম অবস্থাকে বলা হয় পেরিজি (Perigee) । উক্ত পূর্ণ চন্দ্রগ্রহনের টেকনিক্যাল নাম: "perigee-syzygy" ।
পূর্ণ চন্দ্রগ্রহনের আগে ও পরে সূর্যের আলো পরায় চাঁদের রং হবে কমলা ও লাল । তাই এই চাঁদকে ব্লাডমুন (blood moon) বা রক্তিম চাঁদও বলা হয় ।
এই অতিপ্রাকৃতিক দৃশ্য দেখা যাবে উত্তর আমেরিকা,দক্ষিণ আমেরিকার পঞ্চিমাঞ্চল,অস্ট্রেলিয়া ও পূর্ব এশিয়ার কিছু অংশ থেকে।বাংলাদেশেরচাঁদ অথবা বিজ্ঞানপ্রেমীদের জন্য মন খারাপেরই ব্যাপার ।
এই সুপারমুন ঘটে প্রতি ১৪ টি চন্দ্রমাস সম্পন্ন হওয়ার পর । অর্থাত্ একটি সুপারমুন ঘটার ১৫ তম চাঁদটি সুপারমুন ।
সময়ের হিসেবে এটি ১ বছর ১ মাস ১৮ দিন ।
১৯৯৩ সালে সুপারমুন সাধারণ চাঁদের থেকে ২০ গুণ উজ্জ্বল এবং ১৫ গুণ বড় ছিল । ১৪ জানুয়ারী ১৯৩০ সালে সবচেয়ে কাছে এসেছিল চাঁদ । সর্বশেষ সুপারমুন দেখা গেছে ১১ সেপ্টেম্বর ২০১৪, রাত ১২:১৪ মি. । তার আগে ১০ আগস্ট ২০১৩ ।
আগামী বছর সুপারমুন দেখা যাবে ১৪ নভেম্বর ২০১৬ । একুশ শতকের মধ্যে-২৫ নভেম্বর ২০৩৪ ও ৬ ডিসেম্বর ২০৫২ সালে বেশী নিকটে আসবে সুপারমুন ।
আবার বেশী নিকটে আসবে ১ জানুয়ারী ২২৫৭ তে ।
অনলাইন স্যাটেলাইট চ্যানেলগুলোতে লাইভ দেখার সুযোগ পাবেন বিশ্ববাসী।
এছাড়া চোখ রাখুন youtube.comএ।
তথ্যসূত্র:ইন্টারনেট।
সর্বশেষ এডিট : ২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৫২