প্রথমদিন পড়াতে গিয়ে স্বভাবতই জিজ্ঞাসা করলাম, "তোমার নামটা যেন কি?" লাজুক হেসে মেয়েটি বললো-
"জ্বী, মিচ্চোনিয়া চার!"
কি বললে ঠিক বুঝলাম না।
.
ফের জিজ্ঞেস করলাম, "কি নাম বললে??"
"মিচ চোনিয়া চার। চো-নি-য়া। চাবরিনা চিদ্দিকা চোনিয়া।"
ও আচ্ছা আচ্ছা, সোনিয়া!
"তা সোনিয়া, তোমাদের দেশের বাড়ী কোথায়?" উত্তর শুনে ঘটনা পরিস্কার হলো মেইড ইন নোয়াখালী!
.
পড়াতে শুরু করলাম সোনিয়াকে। আমি যখন খাতা-টাতা দেখতাম, সেসময় সে টুকটাক গল্প জুড়ে দিতে। একদিন এমন মনোযোগ দিয়ে বাড়ীর কাজ দেখাচ্ছি, সে গল্প শুরু করলো-
.
"চার, আপনি ভেন্ডের গান লাইক করেন"
"ভেন্ডের আবার কি? বলো ব্যান্ডের। হ্যা, করিতো।"
"চার কোন ভেন্ড আপনার পেবারিট?"
"নির্দিষ্ট কেউ না। সব ব্যান্ডেরই কিছু কিছু গান ভালো লাগে।"
"চার, আমার পেবারিট চার, চোলচ। চোলচের পরেষ্ট হিলে গানটা চুপার লাগে চার, প্যানটাচটিক লাগে।"
.
আরেকদিনের কথা।
খাতা দেখছি, কিছুটা উসখুস করে ছাত্রী বললো- "চার, আপনার কোন অ্যাপেয়ার আচে, চার?"
ওর দিকে শীতল দৃষ্টিতে এক মুহুর্তে তাকিয়ে চোখ ফিরিয়ে নিলাম খাতায়।
সে নাছোরবান্দা, "বলেননা চার, আচে?"
ধমকের সুরে বল্লাম, "হ্যাঁ আছে!"
"হি.হি..হি...! তা বাবীর নাম কি চার??"
.
রাগের দৃষ্টিতে তাকিয়ে কাটা-কাটা ভাবে বললাম, "ক্যাটরিনা কাইফ।"
"এহহহহ....! আপনি চার একদম চিরিয়াচ না, শুধু পান করেন। হি..হি...হি...। ওহ চার, বালা কতা, আপনাকে তো একটা কবর দিতে হবে।"
হোয়াট!!! "কি বললে? আমাকে কবর দিতে হবে? মানে কি?"
"জ্বী চার, জরুরী কবর, আগামী বিশ তারিকে আমার ভোনের বিয়ে চার।"
'ভোনের নয়, বলো বোনের।"
.
"জ্বি চার। চার কাওয়া-দাওয়া কিন্তু কোন কমিন্টি চেন্টারে হবে না, চাদে হবে।"
"কি? চাঁদে হবে?"
"জ্বী চার, আমাদের চার তালার চাদে হবে। চার, আপনাকে খাট দেবো?"
"খাট! আমাকে খাট দেবে মানে???"
"মানে চার, বিয়ের খাট।"
"হোয়াট?? বিয়ের খাট!"
"জ্বী চার, দাওয়াত খাট।"
"ও আচ্ছা! ইনভাইটেশন কার্ডের কথা বলছো তুমি??"
.
"জ্বী চার, চার জানেন, আমার দুলাভাই না দেখতে টিক ভোম্বের হিরুদের মতন।"
"ভোম্বে নয়, বোম্বে। আর হিরু নয়, হিরো। তা, উনি দেখতে কোন হিরোর মতন??"
"হি.হি.. হি...। দেকতে?? উনি দেকতে টিক ভোম্বের চালমান কান চার।"
"ঐত্তেরি" !!!!