দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময়, পোল্যান্ড তখন যুদ্ধে বিধ্বস্ত এবং প্রচুর পোলিশ নাগরিকদের concentration ক্যাম্পে বন্দি করা হয়েছিল। সেইসময় ৬০০ এরও অধিক পোলিশ মানুষ (প্রধানত নারী ও শিশু) সেখান থেকে একটি জাহাজে করে পালাতে সক্ষম হয়।
তবে, সেশেলস, এডেন ইত্যাদির মতো অনেক ইউরোপীয় ও এশিয়ান বন্দর তাদের জাহাজকে নোঙ্গর করতে অনুমতি দিতে অস্বীকার করে। জাহাজটি ইরানের একটি বন্দর বন্দরে পৌঁছায় এবং সেখানেও তারা প্রবেশ করতে অনুমতি পায়নি। অবশেষে তারা তৎকালীন বোম্বে, ভারতের বন্দরে পৌঁছেছিল। কিন্তু ব্রিটিশ গভর্নরও প্রথমে তাদের প্রবেশ করতে দেয়নি। তখন মহারাজা শরণার্থীদের প্রবেশ করতে দিতে ব্রিটিশ সরকারকে চাপ দেন। সহানুভূতির অভাব এবং ব্রিটিশ সরকারের পদক্ষেপের অনিশ্চয়তা দেখে অবশেষে , মহারাজা তার প্রদেশে (বর্তমানে গুজরাতের জামনগর) রোজি পোর্টে ডকিং করার আদেশ দেন।
যখন তাদের জাহাজ নওয়ানগরে ( বর্তমানে জামনগর) এসে পৌঁছায়, তখন তাদের মহারাজ নিজে স্বাগত জানালেন। তিনি বলেন, "নিজেদের অনাথ বলে চিন্তা করো না। আপনারা এখন নওয়ানগরের অধিবাসী এবং আমি বাপু, সব নওয়াগারিয়ার পিতা, আপনাদেরও।"
মহারাজা শুধু উদ্বাস্তুদের স্বাগত জানাননি, তাদের জন্য বাসস্থানও তৈরি করেছিলেন,স্কুল, হাসপাতাল এবং অন্যান্য মৌলিক প্রয়োজনের অভাবও দূর করেছিলেন। পরে পাটিয়ালার নবাব, বরোদার শাসকরা এবং টাটা মত কিছু ব্যবসা প্রতিষ্ঠান শরণার্থীদের সহায়তায় এগিয়ে আসে এবং ৬,০০,০০০ রুপী (যা ১৯৪২-১৯৪৫ সময়কালে প্রচুর ছিল) চাঁদা জোগাড় হয়েছিল। বালাছড়ি মত কাছাকাছি স্থানে আরও শিবির স্থাপন করা হয়েছিল। মহারাজা পোলিশ সরকারের সাথে সমন্বয় সাধন করে পোলিশ ভাষায় শিক্ষা প্রদানের জন্য পদক্ষেপ গ্রহণ করেন এবং ক্যাথলিক পুরোহিতদের আমন্ত্রন জানান, উদ্বাস্তুদের ধর্মীয় আচার অনুসরণ করার জন্য ব্যবস্থা করেন।
১৯৪২ থেকে ১৯৪৮ সালের মাঝামাঝি সময়ে, প্রায় ২০০০০ শরণার্থী ছয় মাস থেকে ছয় বছর পর্যন্ত তৎকালীন ভারতে চলে আসেন এবং অস্থায়ীভাবে আশ্রয় নেন।
পোল্যান্ড সম্প্রতি “Commanders Cross of the Order of the Merit of the Polish Republic” পুরস্কার দ্বারা মরণোত্তরভাবে রাজাকে সম্মানিত করেছে। পোল্যান্ড এ তাঁর নামাঙ্কিত স্কুল ও রাস্তা বানানো হয়েছে।
an indian king offered shelter to 1,000 polish orphans