আমার সবচেয়ে কাছের মানুষ কে?
এই প্রশ্নটা ইদানিং ঘুরপাক খায় মাথায়। জানালার সামনে দাঁড়িয়ে রোজ রাতে ভাবতে চেষ্টা করি, সত্যিই তো চিন্তার বিষয়। আমার সবচেয়ে কাছের মানুষ কে?
আলভীকে দেখে মনে হয়, সে আজকাল খুব বিরক্ত হয়ে থাকে দিনরাত। খুব বেশি পরিমাণ! এইযে এখন আমি খাটে বসে বই পড়ছি। আলভী ড্রেসিং টেবিলের সামনে রাখা টুলে বসে চুল পরিপাটি করছে। ভুলেও আমার দিকে একবারো তাকাচ্ছেনা সে আয়নায়। আচ্ছা চুল আঁচড়ানোর সময় ও কি প্রতিটা চুল আলাদা আলাদা করে দেখছে? নাকি চুলের ফাঁকে ফাঁকে উকুন আছে কিনা সেটা বোঝার চেষ্টা করছে? অনেক দিনই তো হয়ে গেল, ওর সাথে তেমন কথা হয়না আমার। কি বলব ভেবে পাইনা। কিন্তু এভাবে তো চলতে দেওয়া ঠিক না। প্রতিদিনই ভাবি, ওর সাথে একটু গল্প করি। সহজ হয়ে যাক আমাদের সম্পর্কটা। যে দুরত্ব দিনকে দিন আমাদের মাঝে তৈরী হয়ে চলেছে, সেটা কমে আসুক!
স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্ক হবে দেওয়ালহীন। দেওয়াল গজাতে চেষ্টা করলেই সেটা ভেঙ্গে ফেলতে হবে। দেওয়াল ভাঙ্গার চেষ্টা স্বরুপ কেশে গলাটা একটু পরিস্কার করলাম। ইয়ে আলভী, রাতের ডিম রান্নাটা কে রেঁধেছিল?
আমার দিকে না তাকিয়েই ও জবাব দিল- বুয়া..
আশাভঙ্গ হওয়া মনে হয় একেই বলে। বউয়ের রান্নার তারিফ করতে চেয়েছিলাম। কিন্তু রেঁধেছে তো বুয়া। ভাগ্যিস আগে ভাগে বলে ফেলিনি যে রান্নাটা খুব অসাধারণ হয়েছিল! হাল না ছেড়ে বললাম- তোমার চুলে আজকাল উকুন হয়?
প্রশ্নটা করেই জীভ কামড়ালাম। একটু আগে উকুন নিয়ে ভাবছিলাম। বেখেয়ালে প্রশ্ন করে ফেললাম সেই ব্যাপার নিয়েই! আলভী ভ্রু কুঁচকে তাকালো। আউফাউ কথা বলছ কেন এত?
আমি হাসার চেষ্টা করলাম। নিজের উপর খুব হতাশ লাগছে। আসলেই! আউফাউ কথা বলার কোন মানে তো নেই।
আলভীর সাথে সম্পর্কটা দেখতে দেখতে এমন খাপছাড়া হয়ে গেল! এমন হবার পিছনে সম্ভবত আমার দায়টাই বেশি। ব্যবসার ব্যাস্ততায় ওকে খুব একটা সময় দিতে পারতাম না। ও চাকরিতে ঢুকল একসময়। তাও চলে যাচ্ছিল দিন। কিন্তু অকালে আমার চলতি ব্যবসাটা মুখ থুবড়ে পড়ে গেল! কপাল! গুদাম ভরা বিশ লাখ টাকার পেঁয়াজের মধ্যে আমার ছিল দুলাখ টাকার। গোটা গোডাউনে এক রাতে আগুন লেগে গেল! আমদানী ব্যবসাটায় পতন শুরু হল তখন থেকেই। বজলুকে ইন্ডিয়া পাঠিয়েছিলাম এডভান্স মসুরের ডালের জন্য ছ'লাখ টাকা দিয়ে। ওপারে গিয়ে ব্যটা হাওয়া হয়ে গেল! আপন মামাতো ভাই বজলু আমার। সে কেন আমার টাকা নিয়ে হাওয়া হবে? কিন্তু আজ দুমাস হতে চলল, বজলু একদম নিখোঁজ। ডালের চালানও আসেনি। গ্রামের জমিজমা বেচে ব্যাংকের লোনগুলো শোধ করলাম।
খাঁড়ার ঘা বলা ঠিকনা। কিন্তু আমার বলা না বলায় যায় আসেনা কিছু। সপ্তাহ খানিক আগে কাজের বুয়া আলমারী ভেঙ্গে আলভীর সাত ভরি সোনার গয়না-গাটি চুরি করে পালিয়ে গেল!
চাকুরিজীবি আধুনিকতমা আলভী আজকাল আমার উপর ত্যাক্ত বিরক্ত। এখন বরং পীর-ফকিরে তার ভক্তি বেড়েছে। হতাশা এসে গ্রাস করলে মানুষ ধর্মের আশ্রয় নিতে ব্যগ্র হয়ে ওঠে। ভ্রান্ত-অভ্রান্ত বোধ তার মাঝে তখন সম্ভবত কাজ করেনা।
গেল সপ্তাহের কথা। এক দুপুরে বড় চাচা ফোন করলেন। ঘুমাচ্ছিলাম। ফোন ধরতে একটু দেরিই হয়েছিল। চাচা রাগী স্বরে বললেন- দিন দুপুরেও মরার মত ঘুমাস? কাজকর্ম নেই যখন, ঘরদোরও তো পাহারা দিতে পারিস।
বড়চাচা রাতে ঘুম হয়নি আসলে..
গাঁজা টেনেছিলি নাকি? জোয়ান মর্দ মানুষের আবার রাতে ঘুম হয়না!
চাচা, ইনসমনিয়া হচ্ছে কদিন ধরে।
কথার এই পর্যায়ে বড় চাচার গলা হঠাৎ অন্যরকম হল। যেন খুব গোপন কোন ব্যাপার বলছেন। বউমার মতিগতি কেমন দেখিস আরিফ ইদানিং?
মতিগতি তো চাচা ভালই। কেন?
আমার নিস্তেজ স্বরে বড় চাচা খানিকটা রেগে গেলেন। কেন মানে? নিজের বউ কোথায় যায় কি করে কোন খোঁজ রাখিস? ঘরের বউ শেরেক বেদাত করে বেড়াচ্ছে!
আমি এবার অবাক হলাম। কি বলেন চাচা? আলভী শিরক বিদাত করছে মানে?
বড় চাচা উত্তেজিত স্বরে বললেন- গতকাল তোর চাচি খিলজি রোডে তার বোনের বাসায় গিয়েছিল। ফেরার সময় দেখল- তোর বউ বেঁকা বাবার মাজার থেকে বেরুচ্ছে!
বেঁকা বাবার মাজারও আছে নাকি খিলজি রোডে? নাম শুনিনি তো!
বড়চাচার গলার স্বর খাদে নেমে গেল। আজ বউমা বাসায় ফিরলে সরাসরি জিজ্ঞেস করবি। ব্যাপারটা পরিস্কার হওয়া দরকার। আমাদের বংশের বউ শেরেক বেদাত করবে, এটা মেনে নেয়া যায়না। যা বললাম- মনে থাকবে তো?
আলভীকে এ ব্যাপারে জিজ্ঞেস করা না করা একই ব্যাপার। চোখের সামনেই তো দেখতে পাচ্ছি তার বাড়াবাড়ি রকমের পীরভক্তি। প্রতি সোমবার শীরনি নিয়ে আসছে পীরের দরগা থেকে। ঘরে সন্ধ্যার পর আগরবাতি জ্বালাচ্ছে নিয়মিত। শোবার ঘরে কাঁচের ফ্রেমে বাঁধানো রোগা হাড় জিরজিরে এক বৃদ্ধের একটা ছবি। ছবির ফ্রেমে সবুজ আলখেল্লা পরা ধবধবে শাদা বৃদ্ধটিই মনে হয় বেঁকা বাবা। নাম বেঁকা বাবা। কিন্তু বৃদ্ধ দাঁড়িয়ে আছে ঋজু হয়ে। মজার ব্যপার বৃদ্ধের মাথায় চুল নেই, দাড়ি গোঁফ নেই। ভ্রুও কামানো!
পীরের কেরামতিতেই আমার জীবনে ঘোর কলি নামলো কিনা কে জানে! শীরনি নামক বাতাসার মতো খাদ্য বস্তুটি প্রতি সোমবার আলভীর কারণে খেতে হচ্ছে আমাকে। বেঁকা বাবা নাকি বলেছেন- আমার উপর খুব খারাপ বস্তুর নজর পড়েছে। যে শনীর আসর পড়েছে, তা ছাড়ার কথা না সহজে। অবশ্য এই সোমবার শীরনি খেতে হয়নি। আলভী সম্ভবত আমার আশা পুরোপুরি ছেড়ে দিয়েছে!
এক সন্ধ্যায় তার তল্পি-তল্পা গুটিয়ে আলভী বলল, আমি বাবার বাড়ি যাচ্ছি আরিফ। ওখান থেকে একটা অফিসিয়াল ট্যুরে মালয়েশিয়া যাব। আর একটা কথা। আমি ডিভোর্সের চিন্তা করছি। বড় ক্লান্ত লাগছে তোমার সাথে বসবাস করতে। স্বিদ্ধান্তটা আমি নিজে থেকেই নিতে চাচ্ছি। তুমি ভেবনা তোমার কোন দোষ।
আমি কি বলব ভেবে পেলাম না। এদেশীয় সমাজ যুগ যুগ ধরে মানুষের মাঝে এ নিয়মের বীজ বুনে দিয়েছে। পরিবারের নিয়ন্ত্রণ করবে পুরুষ। উপর দিয়ে অধীকার অধীকার বলে চেঁচালেও এদেশের বেশিরভাগ মেয়েরাই নিজেদের সবচেয়ে নিরাপদ মনে করে একজন সামর্থ্যবান পুরুষের ছায়ায়। আর্থিক ভাবে সামর্থ্যহীন পুরষ তাদের কাছে বোঝাই বটে!
খানিকটা কেশে গলা ঝাড়লাম। খুব গরম লাগছিল কেন কে জানে! আলভী বাসা থেকে বের হয়ে যাবার পর হঠাৎ মনে হল- জীবনটা অর্থহীন! দীর্ঘ তিন বছরের সংসার ছিল আমার আর আলভীর। ওর চাকরির কারণেই হোক কিংবা আমার ব্যবসায়ের ব্যস্ততা, আমাদের কোন বাচ্চা-কাচ্চা হয়নি এদ্দিনেও। তবু তিনটা বছর অল্প সময় তো নয়।
আমার তল্পিতল্পা কিছু অবশিষ্ট ছিলনা। গ্রামে চলে আসলাম। মা-বাবা দুজনেই গ্রামে থাকেন। শহরের ধুলোবালিতে আসার তাড়না তাদের মাঝে দেখা যায়নি কখনও। এই ষাটে এসেও দূর্দান্ত কৃষক আমার বাবা। মা শক্ত পোক্ত গৃহিনী। শুয়ে বসে এদের মাঝে থেকে আমার দিন কেটে যাচ্ছে। এক দুপুরে বাবা আমার ঘরে এসে বসলেন। বিছানা থেকে উঠে বসলাম আমি। বাবা বললেন- দিনকাইল যাসসে কিরাম বাপ?
এই তো আব্বা, যাচ্ছে ভালই..
খানিক ইতস্তত করে বাবা বললেন- তো বউ তুমারে সাইড়ে দেলো শ্যাষতক?
আমার অবস্থা তো আব্বা শেষ। সংসার চালানোর মত অবস্থা দেখিনি। ওকে ওর বাবার বাসায় পাঠিয়ে দিলাম।
বাবা হাসলেন। লুকাইয়ে পার পাবা বাপ? চহির সামনে পাইলে পুইষে বড় কল্লাম তুমারে। গলার আওয়াজ শুইনে তুমার বুহির কতা বুজদি পারি...
বুকের ভিতরের কথা বাবা ঠিক কতটা বোঝেন আমি তল পাইনা। হয়তো আসলেই বোঝেন। জন্মদাতা তো! তিনি বললেন- শুইয়ে বইসে থাকলি জুয়ান মদ্দা মানুষির জীবন নষ্ট হয়। চাষবাষ তুমারে দিয়ে হবেনা সত্য কথা। তুমি এহেইনকের জুট মিলি ঢুইকে যাউ...
বাবা চলে যাবার পর খানিকটা স্বগোতক্তি বেরুলো মুখ দিয়ে। স্নাতক ডিগ্রিটা বেচে স্থানীয় জুট মিলের কর্মচারি হবার একটা পথ তাহলে আমার সামনে খোলা আছে!
আমাদের বাসার খোলা টানা বারান্দায় বসে আছি এখন। বড়ো আরামের বাতাস দিচ্ছে। এটা কোন কাল যাচ্ছে এখন? ঋতুর হিসাবে সব সময় আমি গন্ডগোল করি। ব্যবসায়িদের কাছে ষড়ঋতু টিতু কোন ব্যাপার না অবশ্য। আলভী আবার এসব বিষয়ে খুব খেয়াল করতো। ওর প্রিয় সময় ছিল বর্ষা..
গ্রামে আসার পর থেকেই দেখছি আকাশ মেঘলা মেঘলা হয়ে আছে। কিন্তু বৃষ্টি হচ্ছেনা। মেঘ ভেদ করে রোদও আসে মাঝে মাঝে। তীব্রতাহীন রোদ। গ্লাস ভর্তি চা এনে মা পাশে বসলেন।
-আব্বা কি করবি এন্নে কিসু ঠিক এরিসিশ?
বললাম- না আম্মা, এখনো কিছু ঠিক করিনাই।
পান চিবাতে চিবাতে মা বললেন- ঠিক এ্যরা এরির কি আসে? পিরাইমারি ইস্কুলি ঢুইকে জানা।
হেডসার গতকাল বাসায় আইসে বইলে গেল.. দিন রাত শুইয়ে বইসে থাকার চাইয়ে মাস্টারি এ্যরা ভাল না?
হ্যাঁ, মন্দ তো না মাস্টারি..
হয়, সেইডেই তো কসসি। আর বউএর সাতে তালাক দিয়ে ফেলাইসিশ?
না, আম্মা। এখনো তেমন কিছু তো আমাদের মাঝে হয়নি।
আসসা। যত জলদি পারিশ ব্যাবস্তা নিয়ে ফেলা। পিরথিবিতি মাইয়ের অভাব আসে নাই? পুব পাড়ার নুরু মিয়ার মাইয়েডারে আমার খুব পসন্দ। বেধবা হতি পারে, কিন্তু বড়ো ভাল মাইয়ে!
আজকাল জীবনের বিচিত্র রুপ অনুভব করে করে দিন কেটে যাচ্ছে। কত জনার কত রকম পরামর্শ! ওদিন মায়ের শেষ কথাটাতে যা অবাক হয়েছিলাম। আবার বিয়ে দেবার জন্য মেয়ে পর্যন্ত পছন্দ করে ফেলেছেন। ভাবা যায়! আমি আলভীকেও মাঝে মাঝে খুব বেশি অনুভব করি। বুকের ভিতর কেমন চিনচিনে একটা ব্যাথা হয়। গলার কাছে সেই ব্যাথা এক সময় দলা পাকিয়ে আসে। রাতে ঠিকমতো ঘুমাতে পারিনা।
আহা কি মধুর দিনগুলোই না আমরা কাটিয়েছি একসাথে। অথচ আমাদের ভালবাসার বিয়ে ছিলনা। ছোটমামার ঘটকালিতে বিয়ে। তার বন্ধুর মেয়ে ছিল আলভী। শহুরে, শিক্ষিত মেয়ে বাবা মায়ের পছন্দ ছিলনা। কিন্তু আমাদের বিয়েটা হয়ে গিয়েছিল..
জীবনটা খুব নিস্তরঙ্গ হয়ে গেছে। শুয়ে বসেই কেটে যাচ্ছে দিন। মাস্টারিতে ঢুকে যেতে পারি। ব্যাপারটা খুব খারাপ না। অবশ্য লাভের দিক বিবেচনায় নিলে, জুটমিলে ঢোকাটাই ভাল। সেটা অসম্ভব কিছু না। আমি কি কিছুর জন্য অপেক্ষা করছি? আলভীর পাঠানো একটা উকিল নোটিশ? আমার মতো অপদার্থ, বিকল একজন মানুষ এর চেয়ে ভাল কিছুর জন্য তো অপেক্ষা করতে পারেনা।
আমার দিনের সবচেয়ে আনন্দের সময়টা আসে বিকেল বেলা। গ্রামের বাজারে চলে যাই। মিন্টুর ফার্মেসিতে দৈনিক পত্রিকায় ছাপা হওয়া রাজনৈতিক খবর নিয়ে তুমুল তর্ক বিতর্ক হয়। সেসবে অংশ নেই বিজ্ঞজনের মতো। গ্রামের লোকদের মাঝে একটু বেশিই গুরুত্ব পাই আলোচনায়। আমার জন্য সেটা বিশাল ব্যাপারই বটে। আজ আলোচনা হচ্ছিল পরবর্তি রাষ্ট্রপতি কে হচ্ছে সেইটা নিয়ে। যিনি এখন রাস্ট্রপতি হবেন, তার কিন্তু পোয়াবারো। দুবছর পরই সংসদ নির্বাচন! অন্তর্বর্তিকালিন সরকারের সময়টাও তিনি গদিতে আরামে বসে থাকবেন..
রাতের প্রথম প্রহরে বাসার পথ ধরলাম। প্রণব কাকু আটটার দিকে বাসায় থাকতে বলেছেন। স্টার মিলের মেকানিক্যাল সেক্টরের ম্যানেজার তিনি। জুটমিলের চাকরিটা নিয়ে আজ চুড়ান্ত কিছু হবে। বাবা তাকে রাতে খাবার দাওয়াত দিয়েছেন। হাঁটতে হাঁটতে এসবি ভাবছি। জীবন কোথায় এনে দাঁড় করিয়ে দিয়েছে আমাকে! হঠাৎ কিছুর সাথে পা পিছলে দড়াম করে আছড়ে পড়লাম রাস্তায়..
গোবরে মাখামাখি হয়ে বাসায় ফিরে দেখি, দাওয়ার এক পাশে পা ঝুলিয়ে আলভী বসে আছে! ভূত দেখার মতো চমকে উঠলাম। অথচ এই মেয়েটা নিঃসন্দেহে জগতের প্রথম শ্রেণীর সুন্দরিদের একজন। আমাকে দেখে গলা চড়িয়ে সে জিজ্ঞেস করলো- হাতে পায়ে গু মেখে একি কান্ড করেছো আরিফ? চারপাশে ফ্লুয়োরসেন্টের লাল আলোয় আমার অবাক মুখটা দেখে আলভী কি মজা পাচ্ছে? আমি কাঁপা স্বরে বললাম- গোবরে পা পিছলে গেছিল..
-------------------------
অতঃপর এনামুল রেজা
সর্বশেষ এডিট : ১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১২:১৩