শুক্র বার দুপুরটা একরকম। বৃষ্টি বৃষ্টি শেষে নীল আকাশটা একটু একটু উকি দিচ্ছে... চারদিকে একটা ভেজা ভেজা আবহ। বারান্দায় বসে আছি রাজ্যের অলসতা নিয়ে। রাস্তা দিয়ে দু চারটা রিক্সা পানি সরিয়ে চলে গেল। পাশের নতুন কন্স্ট্রাকসন হওয়া বিল্ডিংটার যেন কোন বিশ্রাম নেই। খনে খনে ধুম ধারাক্কা চলছে। শ্রমিকদের হৈ হৈ আর বড় বড় যন্ত্রপাতির ধুপ ধাপ। যেন উৎসব চলছে বড়ও কোন।
এমন সময় একটা রিক্সা থামলো, আপা বেশ হৈ চৈ করে নামলো। হাতএ অনেক কিছু সাথে পিচ্চি।
ওন্তি কেমন আছো? নেমেই গম্ভির মুখে ওর জিগ্গাসা। আমাকে আন্টি না বলে ওন্তি
ভালো তুমি কেমন আছো বাবু?
আমি বাবু না আমি বরো... আমি চা খাই না!
ও আমিতো ভুলেই গেছি তুমতো চা খাও...জিব কাটি আমি কপট হেসে।
জুতা খুলে দাও..বেশ জোশের সাথে বলে ও।
জো হুকুম জাহাপনা...
জানাপান কি ওন্তি?
ও!! ওটা হলো রাজা...ঐ যে রাজা রানীর গল্প বলছিলাম মনে নেই।
না আমি জানপনা না তুমি পচা.. বলেই আম্মার ঘরে দৌড়। কি বুঝলো কি জানি? আপা হাসে বলে ওর জ্বালায় থাকয় কঠিন। তোর খবর কি?
আমি হাসি..ভিতরে আয়।
ও আম্মার ঘরে চলে যায়। আমি রান্না ঘরে যাই কিছু নাস্তা বানবো বলে।
আপা আর আম্মা এসে পাশে গল্প জুড়ে দেয়... বেশ কেটে যায় দুপুরটা।