কি খবর মা কেমন আছিস?
আমার ছোট খালা এমন মিস্টি করেই কথা বলেন। মিস্টি কথার মত উনার হাতের রান্নাও বেশ মজার আর উপদেয়। এই বয়সেও মজার মজার রান্না করে আমদের মুগ্ধ করে দেন। আমি তার একজন গুনমুগ্ধ ভক্ত। খালামনি গতকাল পোটলা পাটলি নিয়ে হাজির। সাথে আমার খালতো বোন লামিয়া, বুঝলাম বেশ ভালই কাটবে সামনের দিনটা। লামিয়া আবার কম্পউটার সায়েন্সের ছাত্রী, পড়ালেখায় ভীষন ভালো। হরতাল তার ওপর ঠান্ডাও লেগেছে একটু একটু হেড স্যারকে বলে ছুটি নিয়ে নিলাম। কিন্তু যেমন ভেবেছিলাম তেমন হলো না। লামিয়াকে নিয়ে খালা খুব চিন্তিত, কোন এক ছেলের সাথে প্রেম ট্রেম আরকি। আমাকে দায়িত্ব দেওয়া হলো ওকে বুঝাতে, খালার একান্ত অনুরোধ। লামিয়ার ভাব দেখে মনে হলো আমি তার শত্রু পক্ষের কেও, আমাকে কিছুই বললো না। মাঝে মাঝে লুকিয়ে লুকিয়ে মেসেজ লেখা ছাড়া।
নিজের স্মৃতিগুলো মনে পড়ে গেল, কতটাই কাছের ভাবতাম ওকে । কখনও মনে হয়নি এত দেরি হবে। মনে হত ও যে করেই হোক একটা উপায় বের করবে। এত ভালো চাকরি নিজের বাসা নিয়ে সংসারটা তা শুরু করা যেত। এখনও আনিশ্চিত সময় কাটাতে হচ্ছে, বিয়েটা করব করব করেও শুধুই প্রতীক্ষা। লামিয়াকে বোঝাবার চেস্টা করি, কিন্তু কোন জোর পাইনা।
খালা প্রায়ই বলতেন দেখ মা দেরি করে কি লাভ, একদিন তুই বুঝবি। এখন হয়ত কিছুটা বুঝি, কিন্তু অন্যকে বুঝাবো কি করে। তাই সবশেষে লামিয়াকে বললাম যাই করিস দেরি করিসনা, প্রতীক্ষার সাস্তি অনেক কঠিন।