ফেসবুকে আপনার মনের অবস্থা শেয়ার করার আগে ভেবে দেখুন এমন অবস্থা কি আপনার বন্ধুদের মাঝেও সংক্রমিত করতে চান কি না।
ফেসবুকে ১০ কোটি ইউজারের প্রায় ১০০ কোটি স্ট্যাটাস পর্যালোচনা করে গবেষকরা দেখতে পান যে সংক্রামক রোগের মত মানসিক অবস্থাও ফেসবুকের মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়তে পারে খুব দ্রুত।
বাস্তব জীবনের মত অনলাইনেও আবেগ অনুভূতি ছড়িয়ে পড়ে। গবেষণায় উঠে আসে যে- একজন মানুষ ফেসবুকে একটি আনন্দের অনুভূতি শেয়ার করলে তা আরও ১-২ জন বন্ধুকে একটি করে আনন্দময় পোস্ট লিখতে উদ্বুদ্ধ করে। অপরদিকে একটি বিষাদময় স্ট্যাটাস কমপক্ষে ১ জন বন্ধুকে আরেকটি বেদনার অনুভূতি শেয়ার করতে উদ্বুদ্ধ করে।
এটি সর্বজন স্বীকৃত যে বাস্তব জীবনে আবেগ খুব সহজেই সংক্রমিত হয়, যেমন- একজন সহকর্মীর জীবনে ঘটে যাওয়া কোন দুঃখের ঘটনা আপনাকেও দুঃখিত করে। অজ্ঞাত কারনে অনলাইন জগতেও এমনটি ঘটতে দেখা যায়। এ বিষয়ে আরও জানতে গবেষকরা একটি কম্পিউটার প্রোগ্রাম এর সহায়তা নেন, এই প্রোগ্রামের সহায়তায় তারা আবেগময় পোষ্টগুলোকে ইতিবাচক এবং নেতিবাচক দুই ভাগে বিভক্ত করেন। এ কাজে তারা ৩ বৎসর সময় নেন এবং ১০০ টি শহরের ফেসবুক ব্যবহারকারীদের অন্তর্ভুক্ত করেন। এ সময়ে প্রাপ্ত ফলাফল পর্যালোচনা করে দেখা যায় যে এমন অনেক ঘটনা আছে যেসব ক্ষেত্রে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীরা তাদের আবেগ নিয়ন্ত্রণ করতে পারেন না। উদাহরন দিতে গিয়ে গবেষকরা মেঘলা দিনের কথা উল্লেখ করেন। তারা দেখতে পান যে মেঘলা দিনে নেতিবাচক পোষ্টের পরিমান ১.১৬% বৃদ্ধি পায় এবং ইতিবাচক পোষ্টের পরিমান ১.১৯% হ্রাস পায়
বিস্তারিতঃ Click This Link