বাজারে গুজব চলতেছে সিনহা বাবু নাকি প্রেসিডেন্ট হইতে চায়। হাসিনার লগে নাকি হের আড়াই ঘন্টা গোপন বৈঠক হয়েছে। বৈঠকের বিষয়বস্তু জানা যায় নাই। আবার মোদি নাকি হাসিনারে কি একটা চিঠি দিছে, সেইটার বিষয়বস্তুও নাকি জানা যায় নাই। বাংলাদেশের রাজনীতি বহু আগেই গনতনন্ত্রের বেড়া ভাইংগা রাজতন্ত্র হইয়া গেছে। এখন রাজতন্ত্র থেইকা ১০০% উপনিবেশ/করদরাজ্য না হইলে বাঁচি।
১/১১ এর ফকরু-মঈনু চুশিল সরকারের পরে সেইরকম আরেকটা সরকার দেশের লোক চায় না - এইটা নিশ্চিত। ১//১১ এর পরে মিডিয়া-দাতা সংস্থার ফরমুলার সরকার যে গরীব মানুষের জন্য বান্ধব না এইটা এই দেশের মুর্খলোকেরা বুইঝা গেছিল এবং তাদের ফটোগ্রাফিক মেমরিতে সেই বিভষিকা এখনো বাকি থাকার কথা। মাইনাস টু ফরমুলার নামে বাংলাদেশরে নেতৃত্বশুন্য করার সেবারের সেই জোর-চেষ্টার ফলাফল ছিল দেশের জন্য ভয়াবহ, এইটা জাতি পিলখানা থেইকা শাপলা চত্তর পর্যন্ত অনেক মূল্য দিয়া বুঝতে পারছে।
তাইলে এখন কথা হইল, সামনে কি হইতে পারে?
সামনে কি হইতে পারে, তা বুঝার আগে আমাদেরকে বুঝতে হইব পিছনে কি হ্ইয়া আসতেছে। পিছনের ঘটনা আমি যেইটা বুঝি সেইটা হইল, মার্কিন হারামজাদারা ইন্ডিয়ার লগে মিলা বাংলাদেশ কব্জা করার চেষ্টা করছিল। এরআগে বহু বছর ধইরা দুধ-কলা দিয়া বিশ্বব্যাংক টাইপের কালসাপ পোষার খেসারত ছিল সেইটা। ইন্ডিয়ান দাদারা চান্স পাইয়া মার্কিন গো লগে মিলা বাংলাদেশ কব্জা করছিল ঠিকই কিন্তু চিকনে মার্কিনীগো পাছায় লাথি মারতে তারা ভুলে নাই। ফলাফল আমাগো পিএম হাসিনা কর্তৃক মার্কিনীগো বুড়া আংগুল দেখানো।
৫-জানুয়ারির ইলেকশনের টাইমে মার্কিন হারামজাদাদের (এবং সেই সাথে তাদর উপর ভরসা কইরা বইসা থাকা বিম্পি-জামাতের) অসহায় অবস্থা বুঝা গেছিল। যেহেতু সেইটা একটা দড়ি-টানাটানি খেলা ছিল, তাই তখন ইন্ডিয়ার দাদারা হাসিনারে পুর্ন নিরাপত্তার আশ্বাস দিতে পারে নাই। ফলাফল ছিল হাসিনার নিরাপত্তার অনুভুতির ঘাটতির যায়গাটাতে মলম লাগানোর মাধ্যমে চাইনীজ মামাদের চিকনে খেলার মধ্যে ঢুইকা পড়া। ৫-জানুয়ারির ইলেকশনরে যখন চিংকুরা তাদের দুইটা ভেসেল ষ্টেট সহ স্বীকৃতি দিয়া দিল তখন বিম্পি-পন্থিরা চায়নারে বেইমান বইলা গালি দিছিল।
আজকে সিনহা বাবু যেই ট্রাম্পকার্ড খেলতেছে, তারে যতই চুশিল হারামিরা বাহবা দিয়া বেকুব জনগনের মগজ ধোলাই করুক, আমার মত বদ লোকেদের চোখ কিন্তু ফাঁকি দিতে পারা কঠিন।
সিনহা বাবুর ট্রাম্পকার্ড আসলে খেলতেছে ইন্ডিয়ান লবি, কারণ, কয়েক যুগের চেষ্টায় তারা যেই ভাতটা থালায় বাড়ছিল খাওয়ার জন্য, চাইনিজ বদনায় কইরা হাসিনা সেইখানে পানি ঢাইলা দিবে- এইটা তাদের পক্ষে মাইনা নেওয়া অত্যন্ত কঠিন।
দোকলাম ভ্যালিতে, চাইনিজ মিলিটারি ভারতীয় দাদাদের চিকন গলার উপরে নিঃশাস ফেলার সাথে বাংলাদেশের সিনহা বাবুদের কার্ড খেলার একটা যোগসুত্র আছে বইলা মনে হয়।
দেখা যাক সামনে কি হয়।
(সংগৃহিত)
সর্বশেষ এডিট : ১৭ ই আগস্ট, ২০১৭ রাত ৯:০৮