এবার বন্যা নিয়ে আমি আজকের প্রথম আলো থেকেই কয়েকটা নিউজ দেই-
বন্যায় এই পর্যন্ত মারা গেছে ৩৭ জন। দেশের ২১ জেলায় বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ৩২ লাখ ৮৭ হাজার মানুষ। ফসলি জমির ক্ষতি হয়েছে ১ লাখ ৭২ হাজার ২১৭ হেক্টর।
এখন পর্যন্ত আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে ১ হাজার ৫৯৯টি। এগুলোতে আশ্রয় নেওয়া মানুষের সংখ্যা ৪ লাখ ১১ হাজার।
... এটা সরকারী হিসাব। আমাদের দেশে সরকারী হিসাবের সাথে বাস্তবতার যে শুভংকরের ফাঁকি আছে সেটা মাথায় নিলে বন্যায় ক্ষয় ক্ষতির সত্যিকারের চিত্র আরো ব্যাপক হওয়ার কথা।
৩৭ জন মানুষ মারা গেছে, তেত্রিশ লাখ মানুষ পানিবন্দি অবস্থায় আছে, হাজার হাজার কোটি টাকার ফসল নষ্ট হয়েছে। মৃত গবাদি পশুর কোন হিসাব নেই। বন্যা দুর্গত এলাকায় পর্যাপ্ত ত্রাণ পৌঁচছেনা। মানুষ আশ্রয়ের জন্য বাঁধের উপর আশ্রয় নিচ্ছে। মাথার উপর চাল নেই, চুলো নেই। তারপরেও মুন্নি সাহাদের চোখে সব স্বাভাবিক!
এই মুন্নি সাহাদেরকেই গত বছরের এই দিনে ভারত থেকে বানের জলে ভেসে আসা বঙ্গবাহাদুরের মৃত্যুতে চোখের জল নাকের জল এক করে ফেলতে দেখেছিলাম। ভারতীয় হাতির জন্যে তাদের মানবতাবোধ সেইদিন ডেগচী উপচে চুইয়ে চুইয়ে পড়েছিল। অথচ নিজের দেশের সাতত্রিশ জন মানুষের মৃত্যুতে মুন্নি সাহাদের মানবতাবোধ জাগেনা।
মুন্নি সাহারা মানুষের সবচেয়ে বড় অপচয়ের উদাহরণ।
সর্বশেষ এডিট : ১৭ ই আগস্ট, ২০১৭ সকাল ৭:৩৫