বাংগালী জাতির পিতা বংগবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের বিয়ে ঠিক হয়েছিল ১৩ বছর বয়সে। আর বেগম ফজিলাতুন্নেসার বয়স তখন ছিল মাত্র ৩ বছর। সম্পর্কে দু'জন ছিলেন চাচাতো ভাইবোন।
.
বেগম ফজিলাতুন্নেসার ডাকনাম ছিল রেণু। মাত্র ৫ বছর বয়সে তার বাবার মৃত্যু হলে বংগবন্ধু ও রেণু উভয়ের দাদা শেখ আব্দুল হামিদ ছেলে লুতফরকে বিয়েটা সেরে ফেলার নির্দেশ দেন। সে হিসেবে মুজিবের বয়স হওয়ার কথা ১৫ বছর।
.
কিন্তু অনেকে দাবি করেন,বংগবন্ধু আর রেণুর বিয়ে হয়ছিল ১৯৩৮ এ যখন বংগবন্ধুর বয়স ছিল ১৮ বছর, আর রেণুর ৮ বছর। ১৯৪৭ সালে যখন শেখ হাসিনার জন্ম হয় তখন ফজিলাতুন্নেসা রেণুর বয়স ছিল ১৭ বছর। [১]
.
.
ইসলাম অনেক আগেই বলেছে বিয়ের বয়স নির্দিষ্ট নয়। কারও তাড়াতাড়ি হয়ে যায় তো কারও সামান্য দেরিতে। কিন্তু অঞ্চলভেদে কমবেশি ছেলেদের ১২-১৬ বছরেই আর মেয়েদের ৯-১৪ এর মধ্যেই বিয়ের বয়স হয়ে যায়। এবং তারা সুস্থ সন্তান জন্ম দিতেও সক্ষম হয়ে যায়।
.
আজকে ছেলে ও মেয়েদের বিয়ের বয়সে সীমারেখা দেওয়া হয়েছে যথাক্রমে ২১ আর ১৮, কিন্তু পরস্পরের সম্মতিতে বিয়ে ছাড়াই যিনা করবার বয়স কিনা ১৪! [২] দু'দিন পর পর বাল্যবিবাহ(!) ঠেকিয়ে পত্রিকায় শিরোনাম হয় স্থানীয় চেয়ারম্যান, পুলিশ বা নারী অধিকার কর্মীরা। সপ্তাহে সপ্তাহে ইউনেস্কোর অফিসিয়াল পেইজ থেকে বাল্যবিবাহ ঠেকানো নিয়ে শর্টফিল্ম টাকা দিয়ে বুস্ট করে দেশের মানুষকে দেখানো হয়। আদতে যে মেয়েগুলোর ব্যক্তিগত জীবন ঘাঁটলে দেখা যায়, বয়ফ্রেন্ড আর জাস্টফ্রেন্ড টুইটম্বুর সেই মেয়েগুলোই কিন্তু শর্টফিল্মগুলোয় নিজের বাল্যবিবাহ (!) ঠেকানো নায়িকা চরিত্র!
.
কিন্তু যেই মূর্তিমান বংগবন্ধুকে এদেশের আদর্শ বলে প্রচার করা হয়, তার বিবাহের কথা কেন যেন কৌশলে এড়িয়েই যাওয়া হয়। আসলে কি তারা বাল্যবিবাহ রোধ করে, নাকি দেশের পরবর্তী প্রধানমন্ত্রীদের বাবামায়ের বিয়ে রোধ করে দেয় সে প্রশ্ন কেউ করে না।
.
[১] Click This Link
[২] https://www.ageofconsent.net/world/bangladesh
.
লেখকঃ তানভীর আহমাদ
সর্বশেষ এডিট : ১৫ ই আগস্ট, ২০১৭ রাত ১১:০৪