অনুতথ্য-১ : ঢাকা ভার্সিটির অর্থনীতির পাঠ চুকিয়ে, ১৯৫৭ সালে তিনি আমেরিকায় চাটার্ড একাউন্ট এ ডিগ্রি নিয়ে, ১৯৬৮ সালে তিনি পশ্চিম পাকিস্তানের শোষণের বিরুদ্ধে লেখালেখির মাধ্যমে তার সাংবাদিকতার শুরুটা শুরু করেন।
অনুতথ্য-২: ১৯৭০ সালে তার বিরুদ্ধে পাকিস্তান সরকার গ্রেফতারী প্রয়াণে জারি করার ফলে তিনি আমেরিকায় নির্বাসিত হন (দৈনিক ইত্তেফাক-১৯৭০).
অনুতথ্য-৩: ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় তিনি আমেরিকায় থাকাকালীন, অধ্যাপক
সাইদ চৌধুরীর সাথে মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষে বিপুল পরিমান পশ্চিমা জনমত তৈরীই করেন এবং মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য অর্থ সংগ্রহ করেন।
অনুতথ্য-৪: "৭৩ এ স্বাধীন দেশে নির্বাচনের আবেগ ছিলো, উত্তেজনা ছিলনা। টেলিভিশনে বিশেষভাবে শফিক রেহমান ও তৌফিক আজিজ খানের উপস্থিতি বারবার ১৯৭০ কে মনে করিয়ে দিচ্ছে। (আমার ছেলেবেলা ১৯৭১ এবং বাবা তাজউদ্দিন আহমেদ,
লেখিকা তাজউদ্দিনের মেয়ে- সিমিন হোসেন রিমি).
অনুতথ্য-৫: জার্মান নাৎসী বাহিনীর অত্যাচারের চিত্র, ও রশম্যান এর কাহিনীই তার মৌচাকে ঢিল ম্যাগাজিনের সম্পাদিয়কতায় লিখে নতুন প্রজন্মকে এর পরিষ্কার ধারনা দিয়ে সঠিক ইতিহাস জানান অতি নাতিদির্ঘ রিপোর্টে। (মৌচাকে ঢিল -২০১২)
অনুতথ্য-৬ : তিনি বাংলাদেশের প্রথম আর্ট শোও লাল গোলাপ এর প্রতিষ্ঠাতা যা প্রথমে বিটিভি এবং পরে বাংলাভিশনে প্রচারিত হয়।
অনুতথ্য-৭: ১৯৮৬ সালে তিনি এরশাদ সরকারের আমলে তার লেখার জন্য পরপর দুবার কারাগারে নিক্ষিপ্ত হন এবং পরে ৬ বছরের জন্য দেশের বাইরে নির্বাসিত হোন।
অনুতথ্য-৮ : তিনি ১৯৯৩ সালে সর্বপ্রথম বাংলাদেশে "Valentains Day" এর সুচনা করেন।
অনুতথ্য-৯ : ২০০৮ সালে তিনি তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে তার লিখার জন্য তার "দৈনিক যায় যায় দিন" পত্রিকার সম্পাদক থেকে সরকারের রোষানলে পরে জোরপূর্বক অপসারিত হন।
অনুতথ্য-১০: ৮২ বছর বয়সে, ২০১৬ সালের ১৬ এপ্রিল তাকে ক্ষমতাসীন প্রধানমন্ত্রীর ছেলেকে ২০১৩ সালে বিদেশে বসে হত্যার ষড়যন্ত্রে চেষ্টার অভিযোগে ৫ দিনের রিমান্ডে নেয়া হয়...
হুম, মানুষটি হলেন
সাংবাদিক
#শফিক_রেহমান।
সর্বশেষ এডিট : ০২ রা মে, ২০১৬ রাত ১:০৪