এক পশলা বৃষ্টির আওয়াজ পেয়ে পেয়ে
বিকেলে আমাদের দুজনের আসর জমে গেল,
কেউ নেই, যন্ত্ররিকশায় তেমন আওয়াজও নেই,
আমাদের ভেতর প্রেম নেই, স্নেহ তাও এক পশলা জল,
আমাদের আকাশ যেন বিশাল এক বৃষ্টির ছাতা,
আমাদের ছাতার নিচে বৃষ্টির আওয়াজ নিরঝির...
দেখলাম, আমি এবং প্রীতমা অবিরল স্বপঝিল শালুক তুলে নেই,
শালুকের পাশে শাপলার জোড়, নীল হলুদ সব রঙ, রঙের দোকানে,
আমার গণিতের হিসেবসমূহ অদ্ভুত রকম ঝলমল কাটাকুটি,
দুজনার হাতে কিছু না রেখে ভাগফল যোগফল,
ইচ্ছেগুলো নিয়মের কতটাই জানে?
আমি তাকে এক পলক হাত ধরে রাখি,
ইচ্ছেরা মিলে না গেলেও তার সাদা হাতে নির্জন আলো এসে পড়ে,
তার সাদা হাতে নক্ষত্রেরা সাদা,
তার সাদা আঙুল চক মাখা ঘাস ফড়িঙ
আকাশের ছাতার এপাশে খিল খিল মৌসুমী মেয়েটি হাসে,
আকাশের ছাতার ওপাশেই, আমি ডাকছি নদীমাতৃক নামে
আমিই এক সুখের বিকেল,
বৃষ্টি হয়ে তার চোখ দেখি,
ঠিক মুখো মুখি বহুযুগ পর, ফ্রেঞ্চফ্রাই, কাল কফি, চুল ওড়ে ধুলোহীন শহরের কিনারে,
আমি একবারই পেয়েছি সুখের বিকেল, আর আমি,
শুধুই হতভাগ্য আমি, ভুল ঝাড়ি,
একদিনপরম স্নেহ নিয়ে
ভালবেসে আঙুল ছুঁয়েছিলাম, আমিই বললাম, থাক পড়ে অবশিষ্ট সংখ্যা খাতাতেই তোলা,
চায়ের কাপের চেয়ে নিবিড় তর্জনী মুড়িয়ে থাকা আঙুলের বারসাত,
আমি তার পাশে থেকে পেয়ে যাই, মিনারেল স্বচ্ছ জল, সাদা ছাতা, নদীটির পারে কলমীর বাগান,
হলুদ হলুদ আর নীল সেই জমিনের রঙ,
ছাতা আর পথ হেটে আমি এগিয়ে গেলাম
রোদ পোড়া আরেক বিকেল,
আমি তার শব্দ দিয়ে ডাকি, শুভ হয়ে যাক আজকের কাজ
...হতেই পারে আদুরে বেড়াল চলে যাচ্ছে আর ভাঙা পথের ঝাঁকুনিতে
ভেজা চুলের মাথায় ঝুর ঝুর করে পড়ছে আকাশের চল্টা
আবার যে সব মিলবে লেগোর মত হুবুহু, আবার সব কিছু শূন্য ধারাপাত,
সেই পুষ্পিত মিলঝিল, একটা চিকন সড়ক বেয়ে চলে যাওয়া।
-
ড্রাফট ১.০
-আমিও দেখিয়াছিলাম তূতনীল স্মৃতি তৃতীয় নয়নে।
-এ দেশটা চায়ের দেশ। এত বেশি চা ষ্টল পৃথিবীর কোথাওই মিলবে না। কফিও শহরে দেদারসে মেলে। জুস ঝুলছে দোকানে দোকানে। হয়তো পানীয়ের দেশ হয়ে গেছে।