-এসবই লিখবো-
মন্দ নেই সাজাচ্ছি তাই সাজানো ক্রম ছিন্ন ভিন্ন।
আপনি আপনাকে আরো ভাল করতে পারতেন
নিখূঁত করার সব কিছুই সময় পেলে হতো
ডিনো বললেন, আমি বিশুদ্ধতাবাদী নই, এমন কি পারফেকশনিস্ট ও না
ডিনোর সুহৃদ বললেন, ঈশ্বরের সেরা জীব পারফেক্ট হতে পারে নি। দেখুন তার হাত পা সব কদাকার লোমশ। আর অন্তরের সবটুকুই জোড়াতালি।
আমি একটা বই বের করে মনস্তাপে ভুগি। কেন এমন শব্দের ছিন্ন ভিন্ন আয়োজন বাজারে নিয়েছি, যে কিনেছে তার হতাশা আমাকে স্পর্শ করে। আমি ছাপাখানার কাছে প্রার্থনা করেছি। কত বিশুদ্ধ পুস্তক এলো গেল। কেন হলো না তার মত।
ডিনো বললেন, আপনি যে সুস্থির নন, এও আপনার বৈশিষ্ট্য। শান্ত হয়ে সুশান্ত হয়ে রইলে কৃত্রিম হতেন। আপনি ভাবছেন আপনি নগন্য, তা নয়। আপনি একজন অন্যরকম ঈশ্বর।
হ্যা, আমি ঈশ্বরের এক প্রতিলিপি। আমার লেখা অপ্রকাশিত হয়ে থাকতে পারতো। বৈথেলহামে যিশুর মত আমার সব অক্ষর। সেও নিখুঁত নয়। মানুষ। আমি মানবিক।
২
নিরক্ষর কিছু মানুষ আছে জগতে। আমাকে কি বলা যায়?আমার জন্য কিছু শান্তি গচ্ছিত অক্ষর না পঠনে। স্থান ছাড়া অস্থানে অহমিকায় ছায়া ছায়া বালবাচ্চার ম্যাজিক, মন্টুর দমফাটানো কাহিনি, জামবাটিতে মদ মাখানো বিষ। কল্পদ্রুমের প্লাস্টিক সংজ্ঞায় কি আনন্দ আকাশে বাতাসে। বাতাস রৈ রৈ করে পরশুদিন খাবে। সর্দি ও নাকের দোস্তানি, গর্মিতে মগজের ঝিম। স্যাত স্যাতে করছিল যেদিন নিশানের কোণ, গ্রহণের যন্ত্রণায় হাসতে হাসতে আমি বললাম, আহরে কি আর হবে? এই দেশ সেই দেশের মত না। তিনি উঠলেন কপালে, কাক? কাকের পিছে চিল উড়ছে, ঐতে চিলাকান্দার মাস্টারের ঘুড়ি। মাস্টারের পর্যদুস্ত হসন্ত আর জেলের কৈ মাছের ফাস! হযবরল এখন গদ্যায়িত পাষাণ। অহংকার হলো সেই অবোধ বিক্রয়ে? বাদ বাকি হাজার মান্দার গাছ। সাদা মিছরির দানায় এখন সোনার মান্দার গাছ। মশারীর শেকল কিংবা জানোয়ারের খাতায় লিখে রাখা রৌমারী বন্দর।
কাক, কাক! সমার্থক পাখি। কাকাবাবুর প্রত্যাবর্তন কি কোন কবিতার নাম? আমার এসব মনে রাখার ইচ্ছে নেই কিন্তু একটা হোল্ডঅলে সব তোষক বেঁধে উঠে পড়লেন ট্রেনে। পায়জামা সাদা, ফিঁতে বাঁধলেন। কাকা, কাকা এই নরসিন্দির পর কোন জায়গায় যাবার ইচ্ছে? কামরুপ কামাক্ষ্যার নারীদের কথা শুনতে হলে বইখানির শেষ পৃষ্ঠা পড়ুন। নেয়ার বেঁধে বাথরুমে নেমে গেলেন আর ঘুঘনির অবিশুদ্ধ হলুদ মশলায় আমি বলছি যাবেন এবার মোসাহেব বাজার মোড়ে?
আপনি? খেয়েছেন বুন্দিয়া পরোটা। কিছু দিন আর সময় প্লেটে করে দিয়ে গেছে। একবার যদি খেতেন আমার সঙ্গে বসে, হাতের পায়ের মগজের পাছার সব কিছু দিয়ে অনুরোধ হাঁটু গেড়ে, আমি এক বাড়ন্ত পুঁইগাছের পিছনে খরচ করেছি যৌবনের পনের বছর। মৌসুমী আনন্দ পেতে কত জনই মরহুম কাফনের উপর বর্নমালা ছড়ায়। আমি বুড়ো হতে হতে নুয়ে পড়লাম মরুভূমিতে কিন্তু জল নেই। এই নাই দেশে ভেরেন্ডা বটবৃক্ষ।
-
ড্রাফট ১.০
নেট বিচ্ছিন্ন থাকার পর টাইপ টেস্ট।
সর্বশেষ এডিট : ২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ১:৫৫