আমি যদি হতাম পাড়ার বখাটে
ইশকুল কামাই
কোন এক পোড়ো বাড়ির সিঁড়ি বেয়ে
উঠে এসে মেলে দিতাম হাত
জল! উফ, স্যাতস্যতে ঢেঁকিশাক
ছিপছিপে এক কিশোর
এক নিরালায় একাকী
তাহলে এই অনিমেষ অচল নৈশব্দে
হঠাৎ এক পশলা বৃষ্টি পড়তে দেখে
তোমার এভাবে কখনই ফিরে যেতে হতো না,
আকাশ থেকে রূপালী জ্যোৎস্নায় কালো মেঘের ভিতর একশ বার ডিঙি বেয়ে
আমাদের শুধুই শৈশব কিনে হলুদ হয়ে যেতে হতো, আর রক্তের ভিতর অণু-
নীলচে এক ঘাস ফড়িং দেখে ছুটতে ছুটতে নীতি হারা বালক হয়ে যেতে হতো
প্রাচী, বন্য এক বখাটে আর নির্জন তুমি
খরগোসের ছুটে যাবার মত
হয়তো এক গুলতি হাতে
আমাদের পাখিদের কোন পথ রয়ে যেত না
আমাদের শুধুই থাকতো অরন্যের সুখ
হয়তো একটা গুলতি ছুটে যায়;
আমাদের এই সংসার
আমাদের সুখ,
আর কি করে ঘাতক হবার মত কথা ভাবতাম, ওসব তো একান্ত কৈশোর,
আমাদের অবজ্ঞায় পরষ্পর মরে যাবার কোন দিন থাকতো না
আজকের অজস্র অভিযোগ ফুল হয়ে ঝরে পড়তো না,
আমি যদি হয়ে যেতাম শুধুই বালক
সেই বখাটে কৈশোরে,
কোন এক শ্যাওলা মস সবুজ সিঁড়ির ধারে
পুরনো বাড়িতে এক হাতে ঘুড়ি হাতে
উঠে যাওয়া
আর তোমাকে ডাকতে থাকা
-
ড্রাফট ১.০