একজন লেখক চলে গেলে, মনে হয় ও ঘরে
গেলেন মাত্র। ঘর বদল করতে করতেই তার
কলম কাগজে সচল হয়ে যায়। লেখকের
তন্দ্রা আসে, গহনে ঘুম ঘুম তুলট বালিশে
মাথা গুঁজে দেন কখনো, শিশু কয়টি ঘুমিয়ে
গেলে ফের তার ঘুম ভাঙে। করিডোরে চটি
পায়ে পায়চারী করবেন মধ্য রাতে। গেলাস
ভরা জল টেবিলের বাম পাশে রাখবেন
চাঁদের বলয়ে শহুরে বৈদ্যুতিক বাতির
বর্তনী চেপে রামধনুর পিঠে চেপে বসবেন,
চন্দ্র ও মেঘের স্বপ্ন তাকে জলের তৃষ্ণায়
ডেকে তুলবে।
পাঠকের বাড়িতে আলো জ্বলছে, ভুতুড়ে
স্বপ্নের ঠুলি পরে নীরব তুষার কণা একান্তে
মৌর্যযুগের ঘোড়ার মত পোড়া মাটিতে সেঁটে
আছে।
ঘুমিয়েছেন আজও। দৈনিক ঘুমের পর ক্লান্তি কি
খুব বেশি আজ তার? মোরগ ঘড়ি প্রার্থনাগৃহের
ঘন্টার মত চাকুরীজীবির ঘুম ভাঙালো, দিন রাত
চক্রবৃদ্ধি সুদ পরিমাপ করল, শব্দের কাননে
অ থেকে চন্দ্রবিন্দু নামের পাখি যুঁথিবদ্ধ ডাকছে,
অনন্ত অপেক্ষা চোখের পল্লব খুলে যদি কখনো
ঘুম ভাঙে তার!
-
ড্রাফট ১.০ / জীবনানন্দ দাশের ছায়ার ব্লগে মন্তব্যকৃত
সর্বশেষ এডিট : ২৩ শে জুলাই, ২০১২ রাত ১:৫০