কৃষ্ণচূড়া একটি বৃক্ষ জাতীয় উদ্ভিদ যার বৈজ্ঞানিক নাম ডেলোনিখ রেজিয়া (Delonix regia)। এই গাছ চমৎকার পত্র-পল্লব এবং আগুনলাল কৃষ্ণচূড়া ফুলের জন্য প্রসিদ্ধ। এটি ফাবাসিয়ি পরিবারের অন্তর্গত একটি বৃক্ষ যা গুলমোহর নামেও পরিচিত।
কৃষ্ণচূড়া গাছের লাল, কমলা, হলুদ ফুল এবং উজ্জল সবুজ পাতা একে অন্যরকম দৃষ্টিনন্দন করে তোলে। কৃষ্ণচূড়া মাদাগাস্কারের শুষ্ক পত্রঝরা বৃক্ষের জঙ্গলে পাওয়া যায়। যদিও জঙ্গলে এটি বিলুপ্ত প্রায়, বিভিন্ন বিশ্বের অঞ্চলে এটি জন্মানো সম্ভব হয়েছে। সৌন্দর্য বর্ধক গুণ ছাড়াও, এই গাছ উষ্ণ আবহাওয়ায় ছায়া দিতে বিশেষভাবে উপযুক্ত। কৃষ্ণচূড়া উদ্ভিদ উচ্চতায় কম (সর্বোচ্চ ১২ মিটার) হলেও শাকা-পল্লবে এটি বেশি অঞ্চল ব্যাপি ছড়ায়। শুষ্ক অঞ্চলে গ্রীষ্মকালে কৃষ্ণচূড়ার পাতা ঝরে গেলেও, নাতিষীতোষ্ণ অঞ্চলে এটি চিরসবুজ।
আপনারা লাল কৃষ্ণচূড়া দেখে থাকলেও হলুদ কৃষ্ণচূড়া কয়জন দেখেছেন? কৃষ্ণচূড়া ফুলের প্রতি বাড়তি ভালোবাসা থাকার কারনে হলুদ কৃষ্ণচূড়া গাছও দেখার সৌভাগ্য আমার হয়েছে। আমার মত হয়ত অনেকেই দেখে থাকবেন। তবে আমার দেখা মতে মাত্র দুইটা গাছ আছে।
গাছ দুইটি আছে ঢাকায় বৃটিশ কাউন্সিলের ভিতরে। একটা আছে ১ম গেটের পাশে, আরেকটি আছে তাদের ভিতরের কম্পাউন্ডে। যে গাছটি বাইরে থেকে দেখা যায় না।
৪/৫ বছর আগে দেখে থাকলেও এবারই ১ম গাছ বিষয়ে আমি বৃটিশ কাউন্সিল কতৃপক্ষের সাথে কথা বলার চেষ্টা করি। তাদের কে বোঝানোর চেষ্টা করি এই হলুদ কৃষ্ণচূড়া বিলুপ্তির পথে। সুতারাং আপনাদের সহযোগিতা পেলে আমি/ আমরা এই গাছের বিলুপ্তি রোধে কাজ করতে পারি। কিন্তু বৃটিশ কাউন্সিল কতৃপক্ষ আমাকে কোন প্রকার সহযোগিতা না করে বরং আমি যাতে কোন ভাবে এই ফুলের ছবি না তুলতে পারি সেই ব্যাবস্থা করে। এমন কি আমি যেন দূর থেকেও কোন ছবি না তুলতে পারি তার জন্য তারা ৬/৭ গার্ডকে আমার দিকে নজর দিতে বলে। আমি তাদের উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তার সাথে ফোনে কথা বলে বোঝনোর চেষ্টা করি এবং ব্যার্থ হয়ে ফিরে আসি।
আমি একজন সাধারন মানুষ, আমার ক্ষমতাও খুব সিমিত। গত কয়েক দিনের এই সব ঘটনায় মনে হয়েছে গাছগুলি বিলুপ্ত রোধ আমার পক্ষে হয়ত সম্ভব হবে না। তবে আমি বিশ্বাষ করি আমরা সবাই যদি এগিয়ে আসি তাহলে এই সুন্দর হলুদ কৃষ্ণচূড়া বিলুপ্তি রোধ করতে পারি।
ধন্যবাদ।
নোটঃ
ছবি- বিভিন্ন সময়ে দূর থেকে তোলা।
পোস্টের ১ম দুই প্যারা কান্ডারি অথর্বের কৃষ্ণচূড়া - অপরাজিতা - জবা পোস্ট থেকে নেওয়া হয়েছে।