বিদ্রোহী হয়ে উঠি,
নিষিদ্ধ ইস্তেহার গলার ভিতরে দপদপিয়ে উঠে আসে
"জেগে ওঠো, মেতে ওঠো,
ছুড়ে ফেলো নর্দমায়,
হত্যা করো জননীর স্মৃতির চিন্হ।
জেদি অশ্বরহী হয়ে ছুটে চলো
মধ্যযুগের মায়াবী দুঃস্বপ্নের ভিতরে।"
জননীর প্রসব বেদনার উন্মত্তার
প্রত্যুতরে, বঞ্চনা আর কপটতার ক্ষয়।
ভুকম্পনর মতো কেঁপে ওঠে শিরা-উপশিরা।
দুঃসহ্ ব্যথা ওঠে নাভিমুলে,
মগজে বেড়া লেগে যায়।
নির্বীকার উদাস মিথ্যার বিবাগী কবিতা,
ভুতুড়ে আশ্বাষে যৌবন ঝংকারে
নেচে ওঠা হৃৎপিন্ড;
ক্রোধে অন্ধ হয়ে ফালতু আস্ফালন,
আর কতোদিন এ-রকম মিথ্যার চিত্রিত আধার?
মাদি কুত্তার মতো খেখিয়ে উঠি,
যেন কার্তিকের রৌদ্রে ভেজা কুক্কুরির যৌবন।
জেগে উঠি একাকিত্বে,
ফ্রেমে সাজাই সাদাকালো ছবি।
রক্তে ভেজাই তীক্ষ্ণ দাঁত।
নিষিদ্ধ লিফলেট সেটে যায় হাড়ে, হাড়ে, সমস্ত কংকালে
"বিশুদ্ধ হও
অথবা
প্রস্থান করো চির স্তব্ধতার গভীরে।"