আমরা যারা ব্যাচেলর, মেস বা বাসা ভাড়া নিয়ে থাকি, তাদের অনেক সময়ই ডিমের ওপর প্রচন্ড রকম ভরসা রাখতে হয়।
এই যেমন গতকালই সকালে খিচুরীর সাথে ডিম সেদ্ধ করে খেয়ে অফিসে গেলাম, অফিসে লাঞ্চেও দেখলাম ডিমের তরকারি, সেখানেও ডিম খেলাম।
রাতে বাসায় এসে দেখি বুয়া নাই, কি আর করা; আবারো আমি আর এক বড়ভাই মিলে গমের রুটি, কলা আর ডিম পোচ করে ডিনার করলাম।
অর্থাৎ অনেক সময় ৩ বেলাও ডিম খাওয়া লাগে।
এই ডিম কখনো সেদ্ধ, কখনো ভাজি আবার কখনো পোচ করে খেতে হয়।
তবে বিভিন্ন সময়ে সময় স্বল্পতা বা আমাদের সবকিছুর সঠিক অনুপাতের অভাবে পারফেক্ট বা উপযুক্ত ভাবে ডিম টা সেদ্ধ হয়না।
কখনো হয়ত বেশি শক্ত হয়ে যায়, কখনো কুসুম বেশি নরম থেকে যায়, আসলে অনেক সময়ই মনঃপুত হয়না।
তো ইন্টারনেট ঘাটাঘাটি করতে করতে ডিম সেদ্ধ করার একটা পারফেক্ট সুত্র পেলাম।
যেটার দ্বারা আমরা খুব সহজেই ডিমকে আমাদের চাওয়ার মত করে সেদ্ধ করতে পারি।
কোয়ান্টাম ফিজিক্স এর মাধ্যমেই কাজটা আমরা ভালভাবে করতে পারি।
কোয়ান্টাম ফিজিসিস্ট চার্লস ডি.এইচ উইলিয়াম একটি পারফেক্ট সুত্র আবিস্কার করেন ডিমকে সেদ্ধ করার জন্য।
যদিও এক্ষেত্রে আমরা যে যায়গাটাতে ডিম সেদ্ধ করব, সেখানকার লঞ্জিটিউড, ল্যাটিটিউড আর অল্টিটিউড কেও বিবেচনায় রাখতে হবে।
উইলিয়ামস এর সুত্র অনুযায়ী,
একটি পারফেক্ট সফট বয়েলড ডিম এর জন্য তাপমাত্রা থাকতে হবে ১৪৯ ডিগ্রি ফারেনহাইট,
এবং হার্ড বয়েলড ডিম এর জন্য তাপমাত্রা থাকতে হবে ১৭০.৬ ডিগ্রি ফারেনহাইট।
এবং তার দেয়া সুত্রটি হলঃ
t=m*K*log(ywr*(Tegg-Twater)/(T-Twater)
যেখানে,
t= time বা সময়,
m= mass বা ভর,
K= Thermal Conductivity of egg বা ডিমের তাপ পরিবাহিতা,
T= Temperature between white & yolk বা ডিমের সাদা অংশ আর কুসুম তাপমাত্রার পার্থক্য,
Tegg= Temperature of egg বা ডিমের তাপমাত্রা,
Twater= Water temperature বা পানির তাপমাত্রা,
ywr= Yolk white ratio বা ডিমের কুসুম আর সাদা অংশের অনুপাত।
কি???
সুত্র দেখে মাথা ঘুড়ছে?
মাথা ঘুড়তে থাকুক, তার চেয়ে বরং একটি ডিম সেদ্ধ করে খেয়ে নিন।
নরম হোক বা শক্ত হোক...
আর যাই হোক, ভালবাসা আর সুত্র দিয়ে ডিম সেদ্ধ করা ডিম খাওয়া ঠিক হবেনা...
কিছু জিনিস থাক না রহস্য!!!!
সর্বশেষ এডিট : ১৯ শে জুলাই, ২০১৮ রাত ১০:৩৯