আপনারা অনেকেই জেনে থাকবেন বিশ্বের যত দামি দামি ও বিখ্যাত কফি পাওয়া যায় এর বেশিরভাগই কোনো না কোনো প্রাণীর মলের মাধ্যমে প্রক্রিয়া করে তারপর দামি ও সুস্বাদযুক্ত কফি তৈরি হয়।
ব্যাপার টা এমন কোনো হাতি, বিড়াল বা বিড়ালের মত প্রাণী খাটাশ বা গন্ধগোকুল কে কফি বিন খাওয়ানো হয়।
এরপর কফি বিন গুলো সেই প্রাণীদের পাকস্থলী তে যায়, কিন্তু তারা সেই কফি বিনগুলো হজম করতে পারেনা বরং পাকস্থলীর বিভিন্ন এনজাইম দিয়ে কফি বিন গুলোকে করে তোলে অনেক বেশি স্বাদযুক্ত।
আর সেই প্রাণীগুলো শুধুমাত্র সবচেয়ে ভাল ভাল কফিবিন গুলোই খেয়ে থাকে।
এরপর তারা যখন মলত্যাগ করে তখন সেগুলো সংগ্রহ করে কফিবিন আলাদা করা হয় এবং দুই স্তরের আস্তরণ থেকে মুল কফিবিন বের করা হয়।
ইন্দোনেশিয়া হল কফি উৎপাদনের জন্য অন্যতম একটা দেশ এবং আমরা বালিতে সবচেয়ে প্রসিদ্ধ কফিপ্ল্যান্ট এ গিয়েছিলাম তাদের কফি উৎপাদনের প্রক্রিয়া দেখার জন্য।
যেখানে খাটাশ/গন্ধগোকুল নামক বিড়াল সদৃশ প্রাণীর মাধ্যমে অত্যন্ত দামী এবং কম ক্যাফেইন যুক্ত লুয়াক কফি সহ অন্যান্য কফি উৎপাদন করা হয়।
এবং এই লুয়াক কফিকে বলা হয় বিশ্বের সবচেয়ে দামি কফিগুলোর একটি।
এরকম প্রাকৃতিক পরিবেশ কোনো কারখানার হতে পারে সেটা এই কফি প্ল্যান্ট না দেখলে হয়ত উপলব্ধি করা সম্ভব হত না।
সেখানে অবশ্য বিভিন্ন স্বাদের কফি টেস্ট করারও সুযোগ ছিল এবং আমরা সেই সুযোগ নিয়েছিলাম এবং সেখানকার পুরো প্রক্রিয়াটা একেবারে কাছে থেকে দেখেছি।।।
এবং তার কিছুটা ধারণ করার চেষ্টা করেছি এই ভিডিওটিতে ....
সর্বশেষ এডিট : ২২ শে জানুয়ারি, ২০১৮ বিকাল ৪:৪৯