আবদুল কালামের (১৫ অক্টোবর, ১৯৩১ - ২৭ জুলাই, ২০১৫) জন্ম তামিলনাড়ুর উপকূল সংলগ্ন রামেশ্বারামে। কার পিতার নাম জয়নুল আবেদিন ও মাতার নাম আসিআম্মা। তিনি খুব গরীব পরিবারের সন্তান ছিলেন এবং খুব অল্প বয়সেই তাকে জীবিকার প্রয়োজনে বিভিন্ন পেশায় কাজ করতে হয়েছিল। তার পড়াশুনার বিষয় ছিল এ্যারোস্পেস ইঞ্জিনিয়ারিং। চল্লিশ বছর যাবত তিনি ভারতের বিভিন্ন বিজ্ঞান ও গবেষনা প্রতিষ্ঠানে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেন। বিশেষ করে Defence Research and Development Organisation (DRDO) এবং Indian Space Research Organisation (ISRO) কর্তব্যরত অবস্থায় তিনি বেসরকারী মহাকাশ গবেষনা ও সামরিক মিসাইল তৈরীতে প্রচুর অবদান রাখেন। ব্যালেস্টিক মিসাইল ও তার উৎক্ষেপন যান তৈরীতে তার অবদানের জন্য তিনি ‘মিসাইল ম্যান’ হিসাবে স্বীকৃতি পান। ১৯৯৮ সালে ভারতের প্রথম সফল পারমানবিক পরীক্ষা পোখরান-২ এর তিনি ছিলেন মুখ্য অবদানকারী। তিনি ভারতপ্রজাতন্ত্রের রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হন।
বিখ্যাত কিছু উক্তি:
‘সূর্যের মতো দীপ্তিমান হতে হলে প্রথমে তোমাকে সূর্যের মতোই পুড়তে হবে।’
‘স্বপ্নকে সত্যি করতে হলে প্রথমে তোমাকে স্বপ্ন দেখতে হবে।’
'ঘুমের মধ্যে যা তুমি দেখো, সেটা স্বপ্ন না। যা তোমাকে ঘুমাতে দেয় না, সেটাই স্বপ্ন।'
‘শ্রেষ্ঠত্ব একটি চলমান প্রক্রিয়া এবং এটি কোনো আকস্মিক ঘটনা নয়।’
‘জীবন একটি কঠিন খেলা। ব্যক্তি হিসেবে মৌলিক অধিকার ধরে রাখার মাধ্যমেই শুধুমাত্র তুমি সেখানে জয়ী হতে পারবে।’
‘সাফল্যকে উপভোগ করার জন্যই জীবনে প্রতিবন্ধকতা প্রয়োজন।’
‘আমাদের তরুণ প্রজন্মকে সমৃদ্ধ এবং নিরাপদ ভারত প্রদান করতে পারলেই তারা আমাদের মনে রাখবে। অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি এবং সভ্যতার ঐতিহ্যকে ধরে রাখার মাধ্যমে তা সম্ভব।’
‘যারা হৃদয় দিয়ে কাজ করতে পারে না; তাদের অর্জন অন্তঃসারশূন্য, উৎসাহহীন সাফল্য চারদিকে তিক্ততার উদ্ভব ঘটায়।’
‘শিক্ষার্থীদের মাঝে অনুসন্ধানের প্রেরণা, সৃষ্টিশীলতা, উদ্যোগী মনোভাব এবং নৈতিক নেতৃত্ব সৃষ্টি করার মাধমে তাদের আদর্শ হয়ে উঠা একজন শিক্ষাবিদের দায়িত্ব।’
‘আকাশের দিকে তাকাও। আমরা একা নই। পুরো মহাবিশ্ব আমাদের প্রতি বন্ধুত্বসুলভ। যারা স্বপ্ন দেখে এবং কাজ করে শুধুমাত্র তাদেরকেই শ্রেষ্ঠটা দেয়ার জন্য চক্রান্তে লিপ্ত এই বিশ্ব।’
‘যদি একটি দেশকে দুর্নীতিমুক্ত এবং সুন্দর মনের মানুষের জাতি হতে হয়, তাহলে আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি এক্ষেত্রে তিনজন সামাজিক সদস্য পার্থক্য এনে দিতে পারে। তারা হলেন বাবা, মা এবং শিক্ষক।’
‘ভিন্নভাবে চিন্তা করার ও উদ্ভাবনের সাহস থাকতে হবে, অপরিচিত পথে চলার ও অসম্ভব জিনিস আবিষ্কারের সাহস থাকতে হবে এবং সমস্যাকে জয় করে সফল হতে হবে। এ সকল মহানগুণের দ্বারা তরুণদের চালিত হতে হবে। তরুণ প্রজন্মের প্রতি এই আমার বার্তা।’
সর্বশেষ এডিট : ২৮ শে জুলাই, ২০১৫ সকাল ১১:০১