মধ্যবিত্তদের কোন শখ থাকতে নেই, তাদের জীবনের শুরু টা হয় স্টিলের চামচ মুখে নিয়ে, পাওয়া না পাওয়ার এক মিশ্র অনুভূতি নিয়ে তাদের কাটাতে হয় সারাটা জীবন। অভাবে পড়লে বা মাসের শেষে টাকায় টান পড়লে তাদের অবস্থা হয় “জলে কুমির ডাঙ্গায় বাঘ” এর মত। ধনীরা টাকার সমস্যায় পড়লে ব্যাংক থেকে লোন নেয় অথবা কারো কাছ থেকে ধার করে, গরীবরা সমস্যায় পড়লে হাত পাতে, কিন্তু মধ্যবিত্ত!! বেশীরভাগ মধ্যবিত্তের এমন কিছুই থাকে না যেটার জন্য তাকে ব্যাংক লোন দিবে, আবার আত্মসম্মানের ভয়ে কারো কাছে হাত পাততে পারে না, টাকা কিভাবে শোধ করবে এই ভয়ে কারো কাছে ধার করতে পারে না। একটা কথা ছোট বেলায় পড়তাম এখন পড়লে হাসি পায় “ লেখাপড়া করে যে গাড়িঘোড়া চড়ে সে” হাসি পায় এই জন্যই যে বেশীরভাগ মধ্যবিত্তরাই সমাজের অন্য সব স্তর থেকে তুলনামূলক বেশি শিক্ষিত এবং মেধাবী। অথচ সমাজের সবচেয়ে নিকৃষ্ট অবস্থায় আছে এই স্তরটি। ব্যবসায়ীরা জিনিস পত্রের দাম বাড়ালে, রিকশা চালক, CNG চালক, মজুররা তাদের ভাড়া বাড়িয়ে দেয়, কিন্তু মধ্যবিত্তের বেতন আর বাড়ে না। টাকা নেই বলে মধ্যবিত্তের জীবনে কোন শখ ঠিক ভাবে পূরণ করা হয় না, প্রেম- ভালোবাসা জিনিসগুলো তাদের কাছে খুব এ জটিল ও কষ্টসাধ্য ব্যাপার। টাকার অভাবে পারিবারিক কলহ তো লেগেই থাকে। .।বে এত কিছুর পরও কিছু ক্ষেত্রে মধ্যবিত্তরা সুখী, তাদের পারিবারিক বন্ধন অনেক দৃঢ় থাকে, সমাজে একটা সম্মান থাকে তাদের। পাওয়া না পাওয়ার মিশ্র অনুভূতি থাকায় তারা বাস্তব জীবন সম্পর্কে অনেক সচেতন ও অভিজ্ঞ.
সর্বশেষ এডিট : ২০ শে অক্টোবর, ২০১৪ রাত ১১:২৪