আপনিও করতে পারেন স্কুবা ডাইভিং তাও আমাদের দেশে..........
আমদের এই পৃথিবীর প্রায় তিন ভাগ জল আর এক ভাগ স্থল। তার মানে আমরা আমাদের চারপাশে যতটুকু দেখি তার চাইতে পানির নিচের অদেখা ভুবনটা অনেক বড়। সেই অদেখা ভুবনটা দেখার জন্য মানুষের চেষ্টা অনেক দিনের। সেই দেখার চেষ্টা থেকেই শুরু হয়েছিল পানির নিচে অভিযাত্রীদের অভিযান। যাদের আমরা আজ চিনি স্কুবা ডাইভার হিসাবে।
বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন মানুষের হাতে ডাইভিং গিয়ারের পরিবর্তন, উন্নতি হয়ে আজকের অবস্থানে এসেছে।
****** সাঁতার জানা অত্যাবশ্যক******
ভ্রমণ খরচ: ৮৫০০ টাকা জন প্রতি (ঢাকা টু ঢাকা)
সেন্টমার্টিন থেকে শুধু স্নরকেল ৭০০ টাকা
সেন্টমার্টিন থেকে শুধু স্কুবা ডাইভিং ২৫০০ টাকা
সেন্টমার্টিন থেকে স্নরকেল ও স্কুবা ডাইভিং ৩০০০ টাকা
রেজিষ্টেশন ও বিস্তারিত তথ্যের জন্য যোগাযোগ করুন:
০১৭১৪৪৪৪৩৩০
***** প্রত্যেক অংশগ্রহণকারীকে অবশ্যই ঢাকায় রেজিস্টেশন করতে হবে*****
ভ্রমণ খরচ: ৮৫০০ টাকা জন প্রতি (ঢাকা টু ঢাকা) খরচের অন্তভুক্ত:
* সকল পরিবহন (ঢাকা টু ঢাকা নন এসি)
* খাবার ( প্রতিদিন ৪ বেলা)
* অভিজ্ঞ ট্রেনার দ্বারা স্কুবা ডাইভিং ও স্নরকেল করানো
* সেন্টমার্টিন ভ্রমণ
* আবাসন
********অন্য কোন কিছু ভ্রমণ খরচের অন্তভুক্ত নয়******
সংক্ষেপে ভ্রমণ পরিচিতি:
১২ ডিসেম্বর রাতে ঢাকা থেকে টেকনাফের উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু
১৩ ডিসেম্বর টেকনাফ হয়ে সেন্টমার্টিন পৌছানো, স্কুবা ডাইভিং ও স্নরকেল থিওরী ক্লাস ও যন্ত্রাংশ (গিয়ার) পরিচিতি
১৪ ডিসেম্বর স্কুবা ডাইভিং ও স্নরকেল করা এবং সেন্টমার্টিন ভ্রমণ ও রাতে BBQ
১৫ ডিসেম্বর সেন্টমার্টিন থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে যাত্রা
১৬ ডিসেম্বর সকালে ঢাকা পৌছাব ইনশাল্লাহ
ভ্রমণে যাওয়ার আগে করনীয়:
১) প্রচুর পানি পান করবেন (দিনে অন্তত ৪ লিটার)
২) নিয়মিত হাটাচলা করবেন (দিনে অন্তত ৫ কি:মি
৩) নিয়মিত হালকা ব্যায়াম করবেন
Trip Cost:
Tk 8500 per person
For Registration & More Information
Please Call: 01714444330
প্রাচীন কিছু পান্ডুলিপিতে শুরুর দিকের ডাইভারদের কিছু ছবি পাওয়া যায়। এর কতটা সত্যি আর কতটা মানুষের কল্পনা তা যাচাই করার কোন উপায় আজ আর নেই। তবে মুক্তা বা এই ধরনের মূল্যবান বস্তুর জন্য মানুষ জলের নিচে ডুব দিচ্ছে এমন কিছু হাতে আঁকা ছবির দেখা মেলে সেই সব পান্ডুলিপিতে। গ্রীক সাহিত্যে স্পঞ্জ ডাইভারদের কথা পাওয়া যায়; যারা সাগরে ডুব দিয়ে স্পঞ্জ সংগ্রহ করতো। হেরোডটাস (৫০০বি.সি), সিসিলিস নামের এক গ্রীক নাবিকের কথা তার গল্পে উল্লেখ করেন যে কিনা পার্সিয়ান যুদ্ধ জাহাজের নোঙর কেটে দিয়েছিল; তখন সে নলখাগড়া পাইপের মতো ব্যবহার করেছিল শ্বাস- প্রশ্বাসের নেয়ার জন্য। ধারণা করা হয় যে তখন থেকেই মানুষ পানির নিচে লম্বা সময়ের জন্য শ্বাস নেয়ার উপায় বের করার চেষ্টা শুরু করে; আর তার সাথে শুরু করে আরও গভীরে যাবার সাধনা।
প্রথমে মানুষ ফাঁপা নলখাগড়া ব্যবহার করা শুরু করে পানির নিচে শ্বাস নেয়ার জন্য। কিন্তু নলখাগড়া দুই ফিটের বেশি লম্বা হলে পানির চাপের কারণে তা ব্যবহার অনুপযোগী হয়ে পড়ে। এটা আসলে স্কুবা ডাইভিং এর শুরু ছিল, যা আজ স্নরকলিং নামে পরিচিত। ব্যাগে বাতাস ভরে সেটা ব্যবহারের চেষ্টা করা হয়। কিন্তু ব্যাগ থেকে বাতাস নিয়ে আবার তা ব্যাগের মধ্যে ছাড়ার কারণে অল্প সময়েই ব্যাগ কার্বন- ডাই- অক্সাইডে পরিপূর্ণ হয়ে যেত। তাই এই প্রচেষ্টাও আলোর মুখ দেখেনি।
১৫৩০ সালে মানুষ প্রথম ডাইভিং বেল ব্যবহার করে পানির নিচে নিঃশ্বাস নেয়ার জন্য। এ পদ্ধতিতে পানির মধ্যে একটি বেল মানে ঘন্টা বা বেল সদৃশ্য জিনিস খাড়া ভাবে নিচে নামানো হতো। এর কিছু অংশ থাকতো পানির উপর বাকিটা পানির নিচে। পানির চাপের কারণে উপরের অংশে বাতাস জমা হতো। একজন ডাইভার এক থেকে দুই মিনিট পানির নিচে থেকে বেলের কাছে চলে আসতো; উপরের অংশে জমে থাকা বাতাস সংগ্রহ করে আবার ডুব দিত। এভাবে বেলের মধ্যে যতক্ষণ বাতাস থাকতো ততক্ষণ ডাইভাররা এটা ব্যবহার করতো। স্পঞ্জ শিকারী ডাইভাররা প্রথম এই প্রযুক্তি ব্যবহার করে।
ষোড়শ শতাব্দীর দিকে ইংল্যান্ড এবং ফ্রান্সের ডাইভাররা চামড়ার তৈরী ডাইভিং স্যুট ব্যবহার করতে শুরু করে। ১৬৫০সালে ভন গুয়েরিক প্রথম বাবের মতো সফল ভাবে হাতে চালানো এয়ার পাম্প ব্যবহার শুরু করেন ডাইভিং-এর জন্য। এ সময় পানির নিচে ৬০ ফুট গভীরতায় যাওয়া সম্ভব হয়। ১৬৬৭সালে ব্রিটিশ পদার্থ বিজ্ঞানী রবার্ট বয়েল সাপের চোখে বাতাসের বুদবুদের সংকোচন ও প্রসারন লক্ষ্য করেন। যা ছিল প্রথমবারের মতো সংকোচন জনিত অসুস্থতার পর্যবেক্ষণ যেটা ডাইভারদের কাছে “The Bend” নামে পরিচিত।
এরপর বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন মানুষের হাতে ডাইভিং গিয়ারের পরিবর্তন, উন্নতি হয়ে আজকের অবস্থানে এসেছে।
বর্তমানে ডাইভাররা আবহাওয়া ভেদে ড্রাই স্যুট, সেমি ড্রাই স্যুট, ওয়েট স্যুট ব্যবহার করে। এছাড়া অন্যান্য গিয়ারের মধ্যে আছে ফিন, ফেস মাস্ক, মাউথ পিস, ডিমান্ড ভাল্ভ সহ রেগুলেটর, প্রেশার গেজ, কম্পাস, বুয়েন্সি কম্পেনসেটর, গ্যাস সিলিন্ডার, ডাইভিং ওয়েট, ডাইভিং লাইট প্রভৃতি।
PADI (Professional Association of Diving Instructors) ডাইভিং প্রশিক্ষকদের আন্তর্জাতিক সংস্থা। যোগ্য ও প্রশিক্ষিত ডাইভার তৈরী করাই এ সংস্থার লক্ষ্য। বর্তমানে নেদারল্যান্ডে আনুপাতিক হারে সব চাইতে বেশি ডাইভার আছে। প্রত্যেক ৭ জনের ডাচের মধ্যে ১ জন প্রশিক্ষিত ডাইভার।
কি কি নিতে হবে- Thinks to Carry
১) ব্যাগ- Bag
২) গামছা- Gamsa
৩) ছাতা- Umbrella
৪) শীতের কাপড়
৫) অতিরিক্ত ০১(এক) সেট কাপড়- Extra One Set Cloth
৬) পানির বোতল- Water Bottle
৭) টুথপেষ্ট+ সাবান+শ্যম্পু (Toothpaste + Tooth Brush+ Bath Soap + Shampoo )
৮) কেডস/ সেন্ডেল (Shocks )
৯) ক্যামেরা (ওয়াটার প্রুফ/ আন্ডার ওয়াটার হলে ভাল হয়)+ব্যাটারী+চার্জার (Camera + Films + Battery + Mamore Card + Charger) (
১০) পলিথিন (Polythene)
১১) সানক্যাপ (Cap)
১২) সানগ্লাস (Sunglasses )
১৩) সানব্লক ( Sun Block)
১৪) টিস্যু (Tissue/Toilet Paper )
১৫) ব্যক্তিগত ঔষধ (Personal Emergency Medicine )
১৬) লোশন
১৭) লিপ জেল
রেজিস্টেশন ও বিস্তারিত:
Eco Travelers
(ট্যুরিজম প্রমোটার)
ট্রপিক্যাল ট্রপিকানা টাওয়ার
৪৫,তোপখানা রোড (ঠিক পুরানা পল্টন মোড়ে)
ইমেইল: [email protected]
[email protected]