নানান ধরনের দরিদ্রবান্ধব কর্মসূচী ও পরিকল্পনা নেয়ার কারণে দেশে প্রতিবছর ১ দশমিক ৭৪ শতাংশ হারে দারিদ্র্য কমে আসছে। সরকার নানা ধরনের দরিদ্রবান্ধব কর্মসূচী ও পরিকল্পনা গ্রহণ করায় দেশে দারিদ্র্যের হার বহুলাংশে কমে এসেছে। ধনী-দরিদ্রের বৈষম্য আগের তুলনায় কমেছে। দেশের সর্বস্তরের জনগণের ক্রয়ক্ষমতা বেড়েছে। সরকারের সার্বিক প্রচেষ্টায় প্রতিবছর প্রায় ১ দশমিক ৭৪ শতাংশ হারে দেশে দারিদ্র্য কমেছে ।সবকিছু বিচার-বিশ্লেষণ করেই দেশের প্রবৃদ্ধি ৭ দশমিক ০৫ ভাগ অর্জিত হবে। বিশ্বব্যাংকসহ দাতা সংস্থাগুলো অনেক সময় প্রবৃদ্ধি নিয়ে কিছুটা অনুমাননির্ভর তথ্য দেয়। গত বছরও বিশ্বব্যাংক বলেছিল প্রবৃদ্ধি ৬ ভাগের ওপর যাবে না। কিন্তু সরকার তখন বলেছিল প্রবৃদ্ধি সাড়ে ৬ ভাগ হবে, পরে বিশ্বব্যাংক তা মানতে বাধ্য হয়। এবারও বিশ্বব্যাংক প্রবৃদ্ধি ৭ দশমিক ০৫ ভাগই মেনে নেবে। বিশ্বব্যাংক একবারের জন্যও আশঙ্কা ব্যক্ত করেনি যে, প্রবৃদ্ধি ৭ ভাগের ওপরে যাবে না,বর্তমান সরকার দারিদ্র্য নিরসনে প্রভূত উন্নয়ন করেছে। এরপরও জনসংখ্যার একটি অংশ এখনও দারিদ্র্য সীমার নিচে রয়েছে। কারণ হিসেবে বিভিন্ন সময়ে প্রাকৃতিক দুর্যোগ, নদী ভাঙ্গন ইত্যাদি বিষয়গুলোকে চিহ্নিত করা হয়েছে। বর্তমান সরকার জাতীয় সামাজিক নিরাপত্তা কৌশলের আওতায় মোট ২৩টি মন্ত্রণালয় ও বিভাগকে সম্পৃক্ত করে ১৪২টি কর্মসূচী বাস্তবায়ন করে যাচ্ছে। সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনীর বিপরীতে চলমান কর্মসূচীর অনুকূলে গত অর্থবছরে ৩০ হাজার ৬৩৬ কোটি টাকা বরাদ্দ ছিল। চলতি ২০১৫-২০১৬ অর্থবছরে এ বরাদ্দের পরিমাণ ৩৭ হাজার ৫৪৬ কোটি টাকা।
সর্বশেষ এডিট : ০১ লা মে, ২০১৬ বিকাল ৩:০১