সংবাদ পড়িয়া জানিতে পারিলাম দূর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক)
দুদকের বিরুদ্ধে সংসদ অবমাননার অভিযোগ এনেছে সংসদীয় স্থায়ী কমিটি । আরো জানিতে পারিলাম যে ঐ কমিটির সভাপতি হইতেছেন প্রাক্তন এক আমলা মহিউদ্দীন খান আলমগীর।
মাত্র কয়েকদিন আগে আমরা জানিয়াছিলাম যে দুদকের চেয়ারম্যান হইতে হাসান মশহুদ চৌধুরীকে বিতাড়িত করা হইয়াছে। এখন দুদককে সংসদ অবমাননার অভিযোগের মুখামুখি করিয়া দেওয়া হইয়াছে। সত্যিকারার্থে হইতেছে কী? মনে হইতেছে বর্তমান সরকার দুদকই শুধু নয় বরং সমস্ত দূর্নীতি বিরোধী কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধেই ধর্মযুদ্ধ ঘোষণা করিতে যাইতেছে। দুদক কি তাহাদের পথে কোনভাবে কন্টক হইয়া বসিয়াছে? দুদক লইয়া তাহারা এইরূপ ব্যস্ত হইয়া উঠিলেন কেন? তাহারা কি চাহিতেছেন দুদকে যেই দুই-একজন সত্যিকার দূর্নীতি বিরোধী কর্মকর্তা আছেন তাহাদিগকে তাড়াইয়া দিয়া নিজদিগের পছন্দ মাফিক কর্মকর্তা নিয়োগ করিতে, যাহার তাহাদের আজ্ঞাবহ হইয়া কর্মসম্পাদন করিবে? নাকি তাহারা চাহিতেছেন স্বাধীন দুদককে অধীন করিয়া লইতে যাহাতে নিজদিগের অসৎ উদ্দেশ্য সাধনের পথে কোনরূপ সমস্যা সৃষ্টি হইতে না পারে?
মখা আলমগীরের পক্ষ হইতে দুদককে সংসদ অবমাননার অভিযোগে অভিযুক্ত হইতে হইয়াছে। কে এই মখা আলমগীর? আপাদমস্তক দূর্নীতিগ্রস্ত এক প্রাক্তন আমলা। যেই সরকারের তিনি চাকুরী করিতেন তাহাকেই অবমাননা করিয়া তিনি জনতার মঞ্চ নামক মঞ্চে খলনায়কের ভূমিকায় অবতীর্ণ হইয়াছিলেন। যেই [অ]ভদ্রলোক নিজেই অনেক অবমাননার সহিত নিজের নাম জড়াইয়া রাখিয়াছেন তিনি কীরূপ আস্পর্ধা থাকিলে দূদককে সংসদ অবমাননার জন্য অভিযুক্ত করিতে পারেন? ইহাদের কত লোকদিগকে সংসদীয় কমিটির চেয়ারম্যান করা হইয়াছে। ভাবিতেই আশ্চর্য লাগে। দেশ কোন দিকে ধাবিত হইতেছে?
আমরা কী পূনর্বার বাকশাল দর্শন করিতে যাইতেছি? নাকি তাহার চাইতেও ভয়ংকর কিছু?
সর্বশেষ এডিট : ১২ ই এপ্রিল, ২০০৯ রাত ৯:২২