নিউ ইয়র্ক থেকে প্রকাশিত সাপ্তাহিক "বাংলা পত্রিকার" রিপোর্ট (আগস্ট ২৭, ২০০৭)
নিউ ইয়র্কে উদীচীর অনুষ্ঠানে আব্দুল গাফফার চৌধুরী - সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে সশস্ত্র সংগ্রাম ছাড়া মুক্তির পথ নেই
==============================
বিখ্যাত কলামিস্ট ও লেখক আব্দুল গাফফার চৌধুরী বলেছেন, বাংলাদেশের সকল সমস্যার উত্স হচ্ছে সেনাবাহিনী। বঙ্গবন্ধু, ৪ নেতা সহ দেশের সেরা সন্তানদের হত্যা করেছে ওরাই। এরাই এখন চক্রান্ত করছে আওয়ামী লীগ এবং শেখ হাসিনাকে শেষ করার। এজন্য বর্তমান সরকারের বিরুদ্ধে সশস্ত্র সংগ্রাম ছাড়া মুক্তির পথ নেই।
উদীচী যুক্তরাষ্ট্র শাখা আয়োজিত রবীন্দ্র-নজরুল-সুকান্ত জয়ন্তী ও দ্বিবার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির ভাষনে তিনি উপরোক্ত মন্তব্য করেন।
গত শনি ও রোববার নিউ ইয়র্ক সিটির এস্টোরিয়াতে অবস্থিত পি.এস. ১১২-তে অনুষ্ঠিত হয় এ সম্মেলন।
আব্দুল গাফফার চৌধুরী বলেন, বর্তমান সেনাবাহিনী বাংলাদেশের নয়। ওরা ভাড়াটে পাকিস্তানী। ৭১ সালে আমরা যুদ্ধ করেছিলাম পাকিস্তানী হানাদারদের বিরুদ্ধে। আর এবার যুদ্ধ করতে হবে পাকিস্তানী দাসদের বিরুদ্ধে।
তিনি বলেন, এই সেনাবাহিনী প্রতিটি হত্যাকান্ডের জন্য দায়ী। বাংলাদেশের জাতীয় নেতা ছাড়াও উদীচী ও রমনা বটমূল বোমা হামলার নেপথ্য নায়ক হচ্ছে তারা। এজন্য এদের বিরুদ্ধে সশস্ত্র সংগ্রাম ছাড়া জাতি মুক্তি পাবেনা।
............................
গাফফার চৌধুরীর বক্তব্য রিপোর্টে আরো অনেক উস্কানীমূলক কথা উল্লেখ করা হয়েছে। আমি তা আর উল্লেখ করে পাঠকদের বিরক্তি উত্পাদন করতে চাইনা।
কিন্তু একটা বিষয় পরিষ্কার। তার বক্তব্য সুস্পষ্টভাবে গৃহযুদ্ধের আহবান। সেনাবাহিনী এবং সরকারের বিরুদ্ধে "সশস্ত্র সংগ্রামকে" গৃহযুদ্ধ ছাড়া আর কিছু বলা যায় কিনা আমার জানা নেই।
কি চান, মিঃ আগাচৌ? যারা তার মতো করে ভাবেন তারাও কি চান? দেশটাকে ছারখার করলে কার লাভ? গৃহযুদ্ধ লেগে গেলে লাভ হবে কাদের? দুনিয়ার অসংখ্য সশস্ত্র সংঘাত থেকে আমরা কি কোন শিক্ষালাভ করতে পারিনা?
দেশের নাগরিকরা যারা নানামূখী রাজনৈতিক দ্বন্দ্বে দিশেহারা তাদেরকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে এ সমস্ত ধংসের দূতদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানো ছাড়া এখন আর কোন বিকল্প নেই। সশস্ত্র যেকোন সংগ্রামকে রুখে দেয়ার জন্য আমাদেরকে তৈরি থাকতে হবে।