গতকাল ঈদের দিন নির্ধারনে ব্যবসায়ী সমিতির এক গুরুত্ত্বপূর্ণ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে রমযানের পূর্ণ ৩০ দিন রোজা পালন শেষে ঈদ উদযাপনের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন সালাম মুর্শীদি, সালমান এফ রহমান, আব্দুল আওয়াল মিন্টু সহ শীর্ষস্থানীয় ব্যবসায়ী নেতা ও আলেমগন।
সালাম মুর্শীদি জানান, দেশে পাপ বেড়ে গেছে। আর রোজা হল পাপ মোচনের এক হাতিয়ার। তাই যত বেশী রোজা হবে তত দেশের মানুষ পাপ মোচনের সুযোগ পাবে। তাই দেশ ও জাতির বৃহত্তর স্বার্থে ৩০ দিন রোজা রাখা অবশ্য কর্তব্য।
বিশিষ্ট আলেম সালমান এফ রহমান বলেন, ব্যবসায়ীরা ১১ মাস লোকসান দিয়ে ব্যবসা করে। আর একমাস আল্লাহর রহমতে সামান্য লাভ করে। কিছু ফাকিবাজ লোক, রোজা ফাকি দেবার জন্য রমজান মাস শেষ হবার পূর্বেই রমজান মাস শেষ করার চেষ্টা করে। এদের ফাসি দেয়া উচিত।
আব্দুল আওয়াল মিন্টু বলেন, রমজান হল সংযমের মাস, কিন্তু সংযম পালনের করার পরিবর্তে মানুষের ভোগের পরিমান বেড়ে যায়। তাই ব্যবসায়ীরা জিনিষের দাম বাড়িয়ে মানুষের মাত্রতিরিক্ত ভোগ নিয়ন্ত্রন করে মানুষ্কে সংযমী করার চেষ্টা করে ও রমজানের পবিত্রতা রক্ষা করে। তিনি আরও বলেন এখন থেকে ঈদ, চাঁদ দেখা কমিটি নয় ব্যবসায়ীদের চাঁদ দেখার উপর নির্ভর করবে। ব্যবসায়ীরা অনেক দূর-দৃষ্টি সম্পন্ন, চাঁদ দেখা কমিটির লোকদের থেকে এরা আরো ভালো চাঁদ দেখতে পারবে।
বিশিষ্ট ধার্মিক ব্যবসায়ী আলহাহাজ্ব মোসাদ্দেক আলী ফালু বলেন রোজা খুব ভালু জিনিস। তিনি বছরে দুইমাস রোজার রাখার ফতোয়া বের করার জন্য আলেম ওলামা দের অনুরোধ করেন।
বৈঠকে উপস্থিত ওলামা-মাশায়েখ ও চাঁদ দেখা কমিটির সদস্যরা ব্যবসায়ী নেতাদের বক্তব্যে "লাইক" দেন।